বিজ্ঞাপন

সেই কক্সবাজারের ‘মেসি’ই বাংলাদেশ-সেরা

March 14, 2018 | 5:03 pm

 স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

ঢাকাঃ শরীরের গড়ন লিওনেল মেসির মতোই। ক্ষিপ্রতা-ড্রিবলিং-নিয়ন্ত্রণ মনে করিয়ে দেয় বার্সেলোনার ফরোয়ার্ডকে। সেজন্যই হয়তো নামের উপধা পেয়েছেন কক্সবাজারের ‘মেসি’। চট্টগ্রামের জেলা থেকে মাত্র ১৩ বছরের মেয়েটি পদক এনে দিলেন ঢাকা বিভাগকে।

যুব গেমসের মেয়েদের ফুটবলে ক্লাস সেভেনের মেয়েটি হয়েছেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। কক্সবাজারের এই দুরন্ত মেয়ের নাম শাহেদা আক্তার রিপা। চূড়ান্ত পর্যায়ে ঢাকাকে স্বর্ণ জিতিয়েছেন ১৩ গোল করে। তাও মাত্র তিন ম্যাচে।

পেয়েছেন টুর্নামেন্ট সেরার খেতাব। তবে একটা দুঃখ আছে নাকি বিকেএসপির এই ছাত্রীর। নিজ জেলা বা বিভাগ থেকে খেলার অনুরোধও পাননি তিনি। খেলেছেন ঢাকা বিভাগের হয়ে। ময়মনসিংহকে ৩-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ঢাকা বিভাগকে স্বর্ণ পদক এনে দিয়েছেন। হয়েছেন ম্যাচ সেরাও।

বিজ্ঞাপন

তবে এই সেরা হওয়ার শুরুটা আজ নয় রিপার। এর আগে বঙ্গমাতা গোল্ড কাপে সেরা হয়েছিলেন। বিকেএসপির হয়ে প্রণব মুখার্জী কাপে ভারত জয়ের সেই টুর্নামেন্টেও নিজেকে চিনিয়েছেন তিনি। ম্যাচের ৪০ সেকেন্ডের মধ্যেই গোল করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন এই ‘মেসি’ই।

তবে ফুটবলে আসার গল্পটা নাকি তার ছেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই। খেলতে খেলতে ফুটবলার হওয়া। রিপার মুখেই শুনুন গল্পটি, ‘ছোটবেলা থেকে ফুটবল পছন্দ। ছেলেদের সঙ্গে খেলতাম। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে সেরা হই। তারপর গতবছর বিকেএসপিতে ভর্তি হই।’ মেসি বলার কারণ কি? জিজ্ঞাসা করতেই মুচকি হেসে বললেন, ‘ড্রিবলিং ভালো করতে পারি। তাই কক্সবাজারের সবাই মেসি বলে ডাকেন।

দরিদ্র পরিবারের পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে চার নম্বর রিপা। ফুটবল সংগঠক সানাউল্লাহ তুলে নিয়ে বিকেএসপি ভর্তি করিয়ে দিয়েছেন। তার প্রতিভা দেখে আর্থিক সহায়তা করছেন বলে জানান সানাউল্লাহ, ‘সে এর আগেও চট্টগ্রামে সেরা হয়েছে। তার মধ্যে ফুটবলের জন্য যে আগ্রহ তাতে মুগ্ধ আমি। সেজন্যই এগিয়ে এসেছি।’

বিজ্ঞাপন

এগিয়ে যেতে চান আরও। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়াতেন চান তিনি। যেভাবে খেলছেন তাতে দেশসেরা হওয়ার সুযোগ থাকছে। প্রয়োজন শুধু পরিচর্যার।

সারাবাংলা/জেএইচ/ এএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন