বিজ্ঞাপন

১৪ হাজার দ্বৈত পাসপোর্টধারী নাগরিকের তালিকা হাইকোর্টে

March 31, 2021 | 4:39 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশের দ্বৈত পাসপোর্টধারী ১৩ হাজার ৯৩১ জন নাগরিকের তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৩১ মার্চ) পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপারের (ইমিগ্রেশন) পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে ১৩ হাজার ৯৩১ দ্বৈত নাগরিকের তালিকাসহ এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।

এই তালিকা হলফনামা আকারে আদালতে দাখিল করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দীন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদন উপস্থাপনের পরে দ্বৈত নাগরিকদের নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গত বছরের ২১ ডিসেম্বর অর্থপাচার ও দুর্নীতির মাধ্যমে যারা বিদেশে বাড়ি নির্মাণ করেছেন অথবা কিনেছেন, সেই বাংলাদেশিদের মধ্যে যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট আছে এবং যারা দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে-বিদেশে ঘন ঘন যাতায়াত করছেন, তাদের তালিকা চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।

পুলিশের বিশেষ শাখার সুপারকে (ইমিগ্রেশন) এ তালিকা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এসব অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চান আদালত।

এর আগে গত ১৮ নভেম্বর এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমার কাছে ২৮টি কেস এসেছে। এর মধ্যে রাজনীতিবিদ হলেন চারজন।

বিজ্ঞাপন

পরে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে নিয়ে গত বছরের ২২ নভেম্বর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের তথ্য চেয়ে রুলসহ আদেশ দেন।

হাইকোর্ট দেশের বাইরে অর্থপাচারে জড়িত দুর্বৃত্তদের নাম, ঠিকানা ও পাচার করা অর্থে তাদের বিদেশে বাড়ি তৈরিসহ বিস্তারিত তথ্য জানতে চান। এর ধারাবাহিকতায় গত ১৭ ডিসেম্বর বিষয়টি আদালতে শুনানিতে ওঠে। সেদিন আদালত দেশের বাইরে অর্থপাচারে জড়িত ও পাচার করা অর্থে যারা বিদেশে বাড়ি তৈরি করেছেন, তাদের নাম-ঠিকানা ও তাদের বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানতে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পররাষ্ট্রসচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, দুদকসহ বিবাদীদের সময় দেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ওই তালিকা দাখিল করা হয়।

কিন্তু, এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর দুদকের পক্ষ থেকে ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে তথ্য দাখিল করা হয়। সেখানে অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে করা মামলার একটি তালিকা দিলে অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।

আদালত বলেন, ‘আমাদের পুরানো কাহিনী শুনিয়ে কোনো লাভ নাই। নতুন কী তথ্য আছে সেট দিন। যারা কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে অর্থপাচার করে গাড়ি-বাড়ি করেছে তাদের বিচারটা করা না গেলেও নামটাও কি দেশের জনগণ জানতে পারবে না? দ্বৈত নাগরিক ও পাসপোর্টধারী কারা, সেটা আমরাও জানতে চাই। দ্বৈত পাসপোর্ট নিয়ে বিদেশে যাতায়াতকারীদের তথ্য জানা প্রয়োজন।’

বিজ্ঞাপন

এরই ধারাবাহিকতায় অর্থপাচারকারীদের দ্বৈত নাগরিকত্ব ও দ্বৈত পাসপোর্টধারীদের তালিকা তলব করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

রুলে টাকা পাচারকারী সরকারি কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুসারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট।

আদালতে ওইদিন দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এমআই

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন