বিজ্ঞাপন

আমেরিকায় থাকেন দ্বৈত পাসপোর্টধারী সাড়ে ১০ হাজার বাংলাদেশি

April 1, 2021 | 9:30 am

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দ্বৈত নাগরিকত্ব ও পাসপোর্টধারী ১০ হাজার ৭৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক আমেরিকায় বসবাস করেন। এছাড়া দেশের ১৩ হাজার ৯৩১ জন দ্বৈত পাসপোর্টধারী নাগরিক পৃথিবীর ১০৪টি দেশে বাস করেন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৩১ মার্চ) দ্বৈত পাসপোর্টধারী ১৩ হাজার ৯৩১ জন নাগরিকের তালিকা জমা দিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ সুপারের পক্ষে (ইমিগ্রেশন) অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে এ তালিকা দাখিল করা হয়।

তবে কারা অর্থপাচার এবং দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে বাড়ি নির্মাণ বা কিনেছে তার তথ্য যাছাই করার সুযোগ ইমিগ্রেশন পুলিশের নেই বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদনের ওপর আগামী সপ্তাহে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পুলিশের এই তথ্য যে কোনো দিন হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালতে দায়িত্বরত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

ইমিগ্রেশন পুলিশের প্রতিবেদন অনুযায়ী দ্বৈত পাসপোর্টধারীদের মধ্যে আমেরিকায় ১০ হাজার ৭৭৩ জন, আফগানিস্তানে ৯ জন, আলজেরিয়ায় এক জন, এন্টিগুয়ায় পাঁচ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ১৭৮ জন, অস্ট্রিয়ায় ছয় জন, বাহামিয়ায় এক জন, বাহারাইনে দুই জন, বারবাডিয়ায় এক জন, বেলজিয়ামে ২২ জন, ভুটানে দুই জন, বলভিয়ায় এক জন, বসনিয়ায় এক জন, ভারতে ৬১৭ জন, ইন্দোনেশিয়ায় ৩৯ জন।

ইরানে সাত জন, ইরাকে সাত জন, আয়ারল্যান্ডে ১১ জন, ইতালিতে ১১৭ জন, জাপানে ৬৫ জন, জর্ডানে এক জন, কেনিয়ায় তিন জন, উত্তর কোরিয়ায় এক জন, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪১ জন, কুয়েতে দুজন, কিরগিজস্তানে দুজন, লাটভিয়ায় একজন, লেবাননে দুজন, লিবিয়ায় একজন, মালয়েশিয়ায় ১২৬ জন ও মালদ্বীপে ১৩ জন।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া মালিতে চার জন, মরিশাসে দুজন, মলডাভিয়ায় দুজন, মঙ্গোলিয়ায় পাঁচ জন, মিয়ানমারে আট জন, ব্রাজিলে দুজন, ইংল্যান্ডে ৫৬৮ জন, কানাডায় ৪১৫ জন, ব্রুনাইয়ে দুজন, বুলগেরিয়ায় একজন, কম্বোডিয়ায় দুজন, চাঁদে একজন, চিলিতে একজন, চীনে ১৭৭ জন, ডেনিসে পাঁচ জন, জিবুতিতে একজন, ডমিনিকান রিপাবলিকে তিন জন এবং ডাচ ১২ জন।

পূর্ব তিমুরে একজন, মিশরে ১১ জন, কোস্টারিকায় একজন, সাইপ্রাসে দুজন, ফাইরু আইল্যান্ডে একজন, ফিলিপাইনে ৪০ জন, ফিনিসে ২১ জন, ফ্রান্সে ২১ জন, জার্মানিতে ৬২ জন, ঘানায় একজন, গ্রিসে তিন জন।

হংকংয়ে ১৫ জন, নেপালে ২২ জন, নিউজিল্যান্ডে ১২ জন, নাইজেরিয়ায় তিন জন, নরওয়েতে তিন জন, পাকিস্তানে ১১৯ জন, ফিলিস্তিনে এক জন, পেরুতে এক জন, পলিসে চার জন, পর্তুগালে ছয় জন।

কাতারে এক জন, রোমানিয়ায় তিন জন, রাশিয়ায় ৬৫ জন, সেন্ট ভিনসেন্ট অ্যান্ড গ্র্যানাডিয়ান এক জন, সৌদিতে ১০ জন, সিঙ্গাপুরে ১৭ জন, সোমালিয়ায় দুজন, দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৩ জন, স্পেনে ১১ জন, শ্রীলঙ্কায় ৫৭ জন, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নোভিসে চার জন, সুদানে সাত জন, সুইডেনে ৫০ জন, সোমালিয়ায় ১৪ জন, সুইজারল্যান্ডে ২৩ জন ও তাইওয়ানে ছয় জন।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া তানজানিয়ায় আট জন, থাইল্যান্ডে ২৬ জন, তিমুরে এক জন, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে এক জন, তুরস্কে ১৫ জন, ইউএইতে আট জন, উগান্ডায় ছয় জন, ইউক্রেনে চার জন, উজবেকিস্তানে দুজন, ভেনিজুয়েলায় দুজন, ভিয়েতনামে পাঁচ জন, ওয়ালিস অ্যান্ড ফুটানা আইল্যান্ডে এক জন, ইয়েমেনে তিন জন, জাম্বিয়ায় একজন ও জিম্বাবুয়েতে একজন।

এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর অর্থপাচার ও দুর্নীতির মাধ্যমে যারা বিদেশে বাড়ি নির্মাণ করেছে অথবা কিনেছে, সেই বাংলাদেশিদের মধ্যে যাদের দ্বৈত নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট আছে এবং যারা দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশে-বিদেশে ঘন ঘন আসা-যাওয়া করছেন, তাদের তালিকা চেয়েছিলেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

আদালতে ওইদিন দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এমআই

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন