বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: ৭ আসামির জামিন স্থগিতই থাকছে

May 30, 2021 | 1:46 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ২০০২ সালে সাতক্ষীরায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নিম্ন আদালতে সাজাপ্রাপ্ত সাত আসামিকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণ বেঞ্চ।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৩০ মে) এই আদেশ দেওয়া হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং আসামিদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

এর আগে, ২৭ মে সাজাপ্রাপ্ত সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুস সাত্তারসহ সাত আসামির জামিন ৩০ মে পর্যন্ত স্থগিত ঘোষণা করেছিল চেম্বার আদালত।

তারও আগে, ২৫ মে এই মামলার সাত আসামি হাইকোর্ট থেকে জামিন পায়। ১৮ আসামি জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। তাদের মধ্যে জামিন মঞ্জুর হয় গোলাস রসুল, আব্দুস সামাদ, আব্দুস সাত্তার, জহুরুল ইসলাম, রাকিব, শাহাবুদ্দিন এবং মনিরুল ইসলামের। বিচারপতি মুস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে সাতক্ষীরার কলারোয়ার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার পর ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে তাকে দেখে মাগুরা ফিরছিলেন। সে সময় যশোর-সাতক্ষীরা মহাসড়কে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র, বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। একইসঙ্গে গুলিবর্ষণ এবং বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে।

শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পেলেও তার গাড়িবহরে থাকা সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুজিবর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেত্রী ফাতেমা জাহান সাথী, জোবায়দুল হক রাসেল, শেখ হাসিনার ক্যামেরাম্যান শহীদুল হক জীবনসহ অনেকেই আহত হন। বেশ কয়েকজন সাংবাদিকও ওই ঘটনায় আহত হন। ওই দিনই কলারোয়া উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, ২০১৫ সালে ওই মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়। এর মধ্যে মামলার এক আসামি রাকিবের বয়স ঘটনার সময় ১০ বছর ছিলো উল্লেখ করে হাইকোর্টে মামলা বাতিলের আবেদন করা হয়। ২০১৭ সালে ওই আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট মামলার ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন।

বিজ্ঞাপন

আবার, ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর ওই রুল খারিজ করে রায় দেওয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে রাকিব। এ আবেদনের শুনানিতে আপিল বিভাগ তিন মাসের মধ্যে নিম্ন আদালতে বিচার সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন। এরপর বিচার শেষে সাতক্ষীরার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ তিনজনের সর্বোচ্চ ১০ বছর করে এবং বাকি ৪৭ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়ে রায় দেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একেএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন