সিরিয়া থেকে ‘যুদ্ধ করে ফেরা’ আনসার আল ইসলামের নেতা রিমান্ডে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: গ্রেফতার হওয়া নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের ‘আইটি বিশেষজ্ঞ’ সাখাওয়াত আলী লালুকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।

শনিবার (১২ জুন) চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হোসেন মো. রেজা এ আদেশ দিয়েছেন।

সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিএমপির কাউন্টার টেররিজম বিভাগের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাছিব খান সারাবাংলাকে জানান, সাখাওয়াতকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত তিনদিন মঞ্জুর করেছেন।

এর আগে, গতকাল শুক্রবার (১১ জুন) বিকেলে নগরীর দক্ষিণ খুলশীতে আহলে হাদিসপন্থীদের একটি মসজিদের সামনে থেকে কাউন্টার টেররিজম বিভাগের কর্মকর্তারা সাখাওয়াত আলী লালুকে গ্রেফতার করেন। তার কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়েছে। এসব বইয়ের মধ্যে আছে— মুরতাদ হত্যার বিধান, বাংলাদেশ: হিন্দুত্ববাদী প্রকল্পের এক বিপদজনক ও নতুন পর্যায়, তারাবিয়াহসহ আরও কয়েকটি বই। এছাড়া একটি পাসপোর্ট এবং একটি ট্যাব ও মিনি নোটবুক উদ্ধার করা হয়েছে।

আর পড়ুন: সিরিয়ায় প্রশিক্ষণ-যুদ্ধ শেষে দেশে ফেরেন ‘জঙ্গি’ সাখাওয়াত

গ্রেফতার সাখাওয়াত আলী লালু (৪০) নগরীর খুলশী থানার এম এম আলী রোডের বাসিন্দা শেখ মো. শমসের আলীর ছেলে। নগরীর লালখান বাজার এলাকার অভিজাত লন্ড্রি ‘ওয়াশো ড্রাই ক্লিনার্স’র মালিক তার বাবা।

কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ২০১৭ সালে সাখাওয়াত সিরিয়ায় গিয়ে একটি জঙ্গিগোষ্ঠীর কাছ থেকে সশস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। এরপর তিনি সিরিয়ার ইদলিবে সেখানকার সশস্ত্র গোষ্ঠীর পক্ষ হয়ে যুদ্ধে অংশ নেন।

যুদ্ধ শেষে আরও কয়েকটি দেশ ঘুরে গত ২২ মার্চ বাংলাদেশে ফেরেন কম্পিউটার বিজ্ঞানে লন্ডন থেকে উচ্চতর ডিগ্রি সম্পন্ন করা এই জঙ্গি নেতা। গ্রেফতারের পর সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে নগরীর খুলশী থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের হয় বলেও জানিয়েছে কাউন্টার টেররিজম বিভাগ।

সারাবাংলা/আরডি/এনএস