বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পরও বিমানবন্দরে ল্যাব স্থাপনে ধীরগতি

September 17, 2021 | 12:06 am

সৈকত ভৌমিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার পরেও সহসাই বিমানবন্দরে বসছে না প্রবাসী ও বিদেশগামীদের নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্তকরণের জন্য প্রয়োজনীয় র‌্যাপিড পিসিআর ল্যাব। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী সাতটি ল্যাবকে দ্রুততম সময়ে এবং স্বল্প খরচে নমুনা পরীক্ষার জন্য বিবেচনা করে অনুমোদন দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করতে পারেনি বিমানবন্দরে। ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা বুঝে নিতে গেলে তাদের জানানো হয়েছে নতুন নির্দেশনা।

বিজ্ঞাপন

ল্যাবগুলোর অভিযোগ একটিমাত্র প্রতিষ্ঠানকে কাজ দেওয়ার পাঁয়তারার কারণে বিলম্ব হচ্ছে ল্যাব স্থাপনের পুরো প্রক্রিয়া। যদিও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বলছে, অভিযোগ সত্য নয়। তবে আবুধাবি থেকে আসা নতুন নির্দেশনার কারণে রোববারের (১৯ সেপ্টেম্বর) আগে ল্যাব স্থাপনের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে না।

এসব বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি না প্রবাসী কল্যণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য জানা যায়নি।

৬ সেপ্টেম্বর দেশের তিন বিমানবন্দরে জরুরিভিত্তিতে করোনা সংক্রমণ শনাক্তকরণের আরটি-পিসিআর টেস্ট চালুর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ দিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর টেস্ট চালু করতে সিভিল এভিয়েশনসহ সংশ্লিষ্টরা অচিরেই কাজ শুরু করবেন।’

বিজ্ঞাপন

তবে এ নির্দেশনার পরেও দ্রুতই কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। মন্ত্রী ইমরান আহমেদ ‘ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক’ নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ল্যাব স্থাপনের জন্য অনুমতি দেওয়ার কথা জানালেও পরবর্তীতে তাদের আবেদন পত্রে থাকা নানা রকমের অসঙ্গতির কারণে বিষয়টি বিলম্ব হয়।

দেশের বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমেদ কাউকাউসের সভাপতিত্বে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব স্থাপনে আগ্রহী বেসরকারি ল্যাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বৈঠকে পিসিআর মেশিন স্থাপনের জন্য আবেদন করা ২৪টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৮টি ল্যাব কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন। তারা ল্যাব স্থাপনে নিজেদের প্রস্তাবনা ও নমুনা পরীক্ষার খরচ জানায়। একইসঙ্গে দ্রুততম সময়ে ও কত মেশিন দিয়ে নমুনা পরীক্ষা করতে পারবে, সে বিষয়েও তারা জানান অধিদফতরকে। পরে অধিদফতর বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের জন্য সাতটি প্রতিষ্ঠানকে চূড়ান্ত করে।

বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের অনুমোদন পেল ৭ কোম্পানি

অনুমোদন পাওয়া ল্যাবগুলো হলো— স্টেমজ হেলথ কেয়ার (বিডি) লিমিটেড ঢাকা, সিএসবিএফ হেলথ সেন্টার, এএমজেড হাসপাতাল লিমিটেড, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জয়নুল হক সিকদার ওমেন্স মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটাল, গুলশান ক্লিনিক লিমিটেড ও ডিএমএফআর মলিকুলার ল্যাব অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক।

বিজ্ঞাপন

১৫ সেপ্টেম্বর ল্যাবগুলো অনুমতি দেওয়ার কথা জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। ১৬ সেপ্টেম্বর ল্যাবগুলোর পক্ষ থেকে কর্মকর্তারা ল্যাব স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জায়গা বুঝে নেওয়ার জন্য যান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। তবে এ দিন তাদের জানানো হয় নতুন একটি নির্দেশনার কথা।

আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্মকর্তা মো. সুমন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী চার দিনের মধ্যে ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু করার জন্য গিয়েছিলাম। তবে আমাদের কোনো জায়গা বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। আমাদের জানানো হয়েছে আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে নতুন একটি নির্দেশনা এসেছে। সেখানে আমাদের একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেশন প্ল্যান বা এসওপি জমা দিতে বলা হয়েছে। এতো অল্প সময়ে সেটা আজই দেওয়া সম্ভব ছিল না। কারণ এ বিষয়ে আমাদের আগে জানানো হয়নি। ছয়টা প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে কিছু দিতে পারেনি। শুধুমাত্র ডিএমএফআর ল্যাব এটি নিয়ে প্রস্তুত ছিল।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকটি ল্যাবের একজন কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘১৪ সেপ্টেম্বর একটা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে আবুধাবি থেকে। কিন্তু সে বিষয়ে কাউকে কিছু জানানো হয় নাই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য অধিদফতর দূরে কথা এমনকি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়েও এ বিষয়ে কিছু জানে না। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ আজকে জানিয়েছে এই নির্দেশনার কথা অথচ এটা কারিগির কমিটির বৈঠকেও আলোচনা হয়নি। ১৪ তারিখ আমাদের অনুমোদন দেওয়া হয় কারিগরি কমিটির বৈঠক থেকে। ১৫ তারিখ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। অথচ ১৬ তারিখ জানানো হয় আমাদের ১৪ সেপ্টেম্বর দেওয়া নির্দেশনা বিষয়ে।’

তিনি বলেন, ‘এই নির্দেশনা অনুযায়ী দেখা যায় কিছু মেশিনের বিষয়ে জানানো হয়েছে। এই মেশিনগুলোর মাঝে কিছু মেশিন আবার একটা প্রতিষ্ঠান আগে থেকেই তাদের প্রস্তাবনাতে দিয়ে রেখেছিল। তারা আবার এসওপি নিয়েও প্রস্তুত ছিল। ডিএমএফআর ল্যাবকে কাজ যদি দিতেই হয় তবে আমাদেরকে এভাবে হয়রানি করার মানে কী? প্রবাসীদের নমুনা পরীক্ষার জন্য আমরা এগিয়ে এসেছি আমাদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী। এখন সেখানে যদি পদে পদে এভাবে বাধা সৃষ্টি করা হয়, তবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনারও তো কোনো মূল্য থাকে না। আর এভাবে আলাদা মেশিনের নাম বলাটা প্রফেশনাল না। কারণ এখানে প্রবাসীদের নমুনা পরীক্ষা করে দেশের উপকারেই সবাই কাজ করতে চাচ্ছে। কিছু মেশিনের মার্কেটিং করার উদ্দেশ্য তো কারো নাই।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জানানো হয়েছে আজ আগামীকাল সকাল ১০টার মাঝে এসওপি জমা দিতে। সেক্ষেত্রে আমরা অনুরোধ করে বলি অন্তত আরও কিছু সময় দিতে। পরে আমাদের বলেছে দুপুর ১২টার মধ্যে এসওপি জমা দিতে। সেটা নাকি আবার আবুধাবি পাঠানো হবে। সেখান থেকে আসবে আবার আমাদের দেশে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতের দূতাবাসে। এরপরে সিদ্ধান্ত হবে কোন ল্যাব কাজ করবে সে বিষয়ে তারপরে নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাব স্থাপনের অনুমতি দেওয়া হবে।’

এদিকে আবুধাবি থেকে আসা ফ্যাক্স কপিটি সংরক্ষিত রয়েছে সারাবাংলার কাছে। এতে দেখা যায় আবু জাফর নামে এক ব্যক্তির সই করা কপিতে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন দেশের দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের বিমানবন্দরে ব্যবহার করা পিসিআর মেশিনের নাম। এই মেশিনগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া বলে জানানো হয় চিঠিতে। একই সঙ্গে বিমানবন্দরে পিসিআর মেশিন স্থাপনের জন্য একটি এসওপি সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়ার বিষয়ে জানানো হয়।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশের ল্যাবগুলোকেও সেই এসওপি জমা দিতে হবে বলা জানানো হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার প্রক্রিয়া, মেশিনের নাম ও ল্যাবের কাজের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানিয়ে এই এসওপি দ্রুত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া বিষয়েও জানানো হয়।

বিমানবন্দরে পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজে অগ্রগতি কতটুকু?
জানতে চাইলে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানববন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান সারাবাংলাকে বলেন, ‘ল্যাব কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছি। কিন্তু তারা সাতটি প্রতিষ্ঠান মিলে কোন জায়গা নিবে বা কিভাবে পরিকল্পনা করবে সেটা এখনো করে নাই। তাদের একসঙ্গে মিলিয়ে কাজের পরিকল্পনা করতে হবে। এক্ষেত্রে তারা আগামীকাল তারা একটি এসওপি জমা দিবে। এর আগে তারা জায়গা দেখে নাই। এক্ষেত্রে আমাদের পক্ষ থেকে পানি-বিদ্যুতের বিলসহ জায়গা কোন শর্তে বরাদ্দ দেওয়া হবে সেগুলো জানানো হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এসওপি অনুমোদন হওয়া বিষয়ে। সেটা আমরা তাদের জানিয়েছি। সেটা দেওয়ার পরে সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান সেটাকে অনুমোদনের জন্য পাঠাবে। অনুমোদন সাপেক্ষে তাদের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। এরপরে তারা কাজ শুরু করবে।’

নতুন নির্দেশনা কেনো ল্যাব অনুমোদনের আগে বিবেচনায় নেওয়া হলো না? জানতে চাইলে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (সিভিল অ্যাভিয়েশন) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান প্রথমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয় বলে দাবি করেন।

চিঠিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাউকে দেওয়া হয়নি জানালে তিনি বলেন, ‘এটা পররাষ্ট্র বোধ হয় পেয়েছে। আমি আজই তাদের কাছ থেকে পেয়েছি। সেখানে দেখলাম নতুন নির্দেশনার কথা। তাই সবাইকে ডেকে আমি এটা জানিয়েছি। তারা আগামীকাল দুপুর ১২টার মধ্যে এসওপি জমা দিতে। এরপরে সেটি আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের কাছে পাঠাবো। তিনি সেখান থেকে আরেকটা প্যারালালি বাংলাদেশে থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের কাছে পাঠাবে। তারা যেনো এটা একদিনের মধ্যে অনুমোদন করে দেয়। এরপরে আমরা হয়তো আগামী রোববার থেকে কাজ শুরু করতে পারি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখানে এতগুলো প্রতিষ্ঠানকে নির্বাচিত করা সমীচিন হয় নাই। কারণ আমাদের জায়গা তো কম। কারিগরি কমিটির প্রথম বৈঠকে আমি বলেছিলাম এ বিষয়ে। এক্ষেত্রে অনেকেই গ্রাউন্ড রিয়েলিটি বুঝতে পারেনি বলে আমার ধারণা।’

অনেক প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ শুধুমাত্র একটি ল্যাবকে কাজ দেওয়ার জন্য বিলম্ব করা হচ্ছে? বেশি দাম চাইলেও প্রতিষ্ঠানটিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে? এমন অভিযোগের সত্যতা জানতে চাইলে মফিদুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর বলতে পারবে। কারিগরি কমিটির প্রথম বৈঠকে আমি ছিলাম। সেখানে তাদের প্রস্তাবনা দেখে মনে হয়েছে ল্যাবটির ক্যাপাসিটি আছে। তবে এটার দায়িত্ব আমার না।’

সর্বশেষ মো. মফিদুর রহমান বলেন, ‘রোববার থেকে আশা করছি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ল্যাব স্থাপনের কাজ শুরু করতে পারবে। এরপরে তারা তাদের সময় অনুযায়ী ল্যাব স্থাপন করবে। এরপরে ল্যাব স্থাপনের কাজ শেষ করলে নমুনা পরীক্ষা শুরু হবে।’

জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি বলেন, ‘ফোনে কোনো বিষয়ে আমি আর মন্তব্য করবো না।’

ফোন করলেও সাড়া দেননি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন। মোবাইলে মেসেজ পাঠালেও উত্তর দেননি তিনি।

আবুধাবি থেকে পাঠানো নতুন নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রী এ কে এম আবদুল মোমেনের সঙ্গে। তবে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। একইভাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

এর আগে, বিমানবন্দরে র‌্যাপিড পিসিআর পরীক্ষা না করালে বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার। এ নির্দেশনায় বিপাকে পড়েন দেশটি থেকে বাংলাদেশে ছুটি কাটাতে আসা প্রবাসীরা। পরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে র‍্যাপিড পিসিআর মেশিন স্থাপনের উদ্যোগ নেয় প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

আগস্ট মাসে দেওয়া এই নির্দেশনা বিষয়ে বাংলাদেশে সরকারি পর্যায়ে আলোচনা শুরু হয় সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে। সর্বশেষ ১৫ সেপ্টেম্বর সাতটি প্রতিষ্টানকে অনুমোদন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন:

সারাবাংলা/এসবি/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন