বিজ্ঞাপন

নিরাপত্তার জন্য রুশ সামরিক কোম্পানিকে মোতায়নের প্রস্তাব মালির

September 26, 2021 | 2:03 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

চলমান সংঘর্ষ রোধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাশিয়ার প্রাইভেট মিলিটারি কোম্পানিকে দায়িত্ব নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে মালি। মস্কো জানিয়েছে, ফ্রান্স দেশটি থেকে অধিক সংখ্যায় সৈন্য প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মালির নেতা। এ কারণেই রাশিয়ার কোম্পানিকে নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। খবর আলজাজিরা।

বিজ্ঞাপন

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ গতকাল শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বলেছিলেন, রাশিয়ার সামরিক ঠিকাদারের মালিতে থাকার বৈধতা রয়েছে। কারণ, নিজেদের ক্রান্তিকালে দেশটির সরকার তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। তবে এতে রাশিয়ার সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এদিকে, মালির প্রধানমন্ত্রী চোগুয়েল কোকাল্লা মাইগা অভিযোগ করেছেন, ফ্রান্স ‘একতরফা’ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তার দেশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে এ মন্তব্য করেন তিনি।

জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বাহিরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, দেশটির সালেহ অঞ্চল থেকে নিজ দেশের সেনাদের উপস্থিতি কমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে ফ্রান্স। বাহিরের সহায়তা ছাড়া নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সামর্থ অপ্রতুল বলে মনে করে মালির সরকার। আর এ কারণেই তারা রাশিয়ার কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা শুরু করে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘বৈধভাবে এই কাজ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখানে আমাদের কিছু করার নেই।’

এর আগে, রাশিয়ার বিতর্কিত বেসরকারি সামরিক ঠিকাদার ওয়াগনার গ্রুপকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হলে মালির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেপ বোরেল। এই বার্তার পরই রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

তথ্য মতে, সামরিক বাহিনী সমর্থিত মালির সরকার দেশটিতে সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়দা ও আইএসআইএল’কে (আইএসআইএস) মোকাবিলায় ওয়াগনার আধাসামরিক বাহিনীর এক হাজার সৈন্য নিয়োগ দিতে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

মালির সালেহ অঞ্চলে বারখান মিশনের অধীনে পাঁচ হাজারের বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছে ফ্রান্স। কিন্তু এর মধ্যে বড় একটি অংশ প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছে ফ্রান্স। এছাড়াও জার্মানির সেনাবাহিনীও মোতায়েন রয়েছে মালিতে। তারাও রাশিয়ার বিতর্কিত কোম্পানিকে নিয়োগ না দেওয়ার জন্য দেশটির সরকারকে সতর্ক করেছে।

সম্প্রতি আফ্রিকার দেশগুলোতে রাশিয়ার আধাসামরিক বাহিনী ও বেসরকারি নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও কোম্পানিগুলো ব্যাপক প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে- বিশেষ করে সংঘর্ষে জর্জরিত মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে (সিএআর)। যেখানে রাশিয়ার ওয়াগনার গ্রুপের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করার অভিযোগ এনেছে জাতিসংঘ।

সারাবাংলা/এনএস

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন