৬ জেলায় মন্দিরে হামলা: বিচারিক তদন্তের আদেশ স্থগিতই থাকছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশের ছয়টি জেলায় গত ১৩ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, উপাসনালয় ও তাদের বাড়িঘরে সহিংস হামলার ঘটনায় বিচারিক তদন্ত করতে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

একই সঙ্গে এ ঘটনায় বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

রোববার (৩০ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী।

আপিল বিভাগ বলছেন, হাইকোর্টে রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ চলমান থাকবে।

একই সঙ্গে এই বিষয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চকে স্বল্প সময়ের (সম্ভাব্য তিন মাস) মধ্যে রিটটি শুনতে ও নিষ্পত্তি করতে বলেছেন আদালত।

এর আগে এ বিষয়ে রিটের শুনানি নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর হাইকোর্ট রুলসহ বিচারিক তদন্তের আদেশ দিয়েছিলেন।

এরপর গত ২১ ডিসেম্বর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে আদেশ দিয়েছিলেন চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

হাইকোর্টের আদেশ ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করে সেদিন বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দিয়েছিলেন চেম্বার আদালত।

সেদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরশেদ ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। অন্যদিকে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

শারদীয় দুর্গাপূজার উৎসব চলাকালে কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, রংপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে পূজামণ্ডপ ও মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর, হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ ও তাদের বাড়িঘরে হামলার ঘটনায় বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

গত ২৮ অক্টোবর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার হাইকোর্ট এ আদেশ দিয়েছিলেন।

আদালত এসব ঘটনার তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

এর আগে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ, তাদের উপাসনালয় ও বাড়িঘরে সহিংস হামলার ঘটনা রোধে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে গত ২১ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী অনুপ কুমার সাহা ও আইনজীবী মিন্টু কুমার দাস।

রিটে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, তথ্য, যোগাযোগ ও প্রযুক্তি সচিব, সমাজ কল্যাণ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, রংপুরের ডিসি-এসপিসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/একে