বিজ্ঞাপন

১৫ হাসপাতালে হচ্ছে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

February 15, 2022 | 10:17 am

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ১৫ হাসপাতালে গড়ে তোলা হচ্ছে আধুনিক চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। এজন্য ১৫টি সরকারি হাসপাতালে ‘হাসপাতালভিত্তিক চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৪ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকা।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নির্ধারিত সরকারি হাসপাতালে আন্তর্জাতিকভাবে নির্ধারিত আদর্শমান বজায় রেখে পরিবেশবান্ধব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

প্রকল্পের উদ্দেশ্য হচ্ছে, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্ধারিত ১৫টি (৩টি সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকার শেরেবাংলা নগরের ৪টি হাসপাতালের জন্য একটি, ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল এবং ১০টি সদর হাসপাতাল) চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবকাঠামো নির্মাণ ও আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা চালু করা হবে। প্রকল্প শেষে স্থাপিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে আধুনিক চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ জনবল সৃষ্টি করা হবে।

কমিশনের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা সারাবাংলাকে জানান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত বছরের ৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় পিইসি (প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি) সভা। ওই সভায় দেওয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়, দেশের অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হাসপাতাল বর্জ্য পরিশোধনের সঠিক ব্যবস্থাপনা না থাকায় হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, যক্ষ্মা, ডিপথেরিয়া, এমনকি এইডসের মতো মরণব্যাধির ঝুঁকি বাড়ছে।

প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম বলেন, ‘এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এর ফলে মানুষের স্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর কোনো বিরূপ প্রভাব ছাড়াই বিভিন্ন চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ, পরিবহন, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও অপসারণের সক্ষমতা তৈরি হবে এবং সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন ও সংক্রমণমুক্ত পরিবেশে চিকিৎসা সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।’

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জনবহুল শহরগুলোতে দৈনিক যে বর্জ্য সৃষ্টি হয় তার ৮০ শতাংশ সাধারণ গৃহস্থালি বর্জ্য আর ২০ শতাংশ মেডিকেল বর্জ্য। এই ২০ শতাংশ মেডিকেল বর্জ্য কোন না কোনভাবে ৮০ শতাংশ সাধারণ বর্জ্যের সঙ্গে মিশে যায়। যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এজন্য স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের বাইরে বর্জ্য সংগ্রহ, পরিবহন, পরিশোধন ও চূড়ান্তভাবে অপসারণের সঠিক ব্যবস্থাপনার জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর অভ্যন্তরে বর্জ্যকে জীবাণুমুক্তকরণের মাধ্যমে সাধারণ বর্জ্যে রূপান্তরিত করা হবে। এজন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উদ্যোগে স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রথমে ৩৫টি হাসপাতালে ৩টি পদ্ধতি (অটোক্লেভিং, ইনসিনারেশন ও ইটিপি) প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সরকারি হাসপাতালভিত্তিক চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে, ৪৫টি চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়, ১৫টি ক্যাটাগরি এ, বি, ও সি’ভুক্ত স্থাপনা অনাবাসিক ভবন, সরবরাহ সেবা, ২টি যানবাহন ভাড়া, ৫টি আউটসোসিং সেবা, ৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বেতন ভাতা, ৪৭টি আসবাবপত্র ক্রয়, ১২টি কম্পিউটার এবং আনুষঙ্গিক ক্রয়, মেরামত, সংরক্ষণ ও পুনর্বাসন করা হবে।

সারাবাংলা/জেজে/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন