বিজ্ঞাপন

ইউক্রেন সীমান্তে সৈন্য বাড়াচ্ছে রাশিয়া: ন্যাটো

February 16, 2022 | 8:21 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা উপস্থিতি আরও বাড়ছে বলে দাবি করেছেন ন্যাটোর মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ। ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের আগে বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘আমরা রুশ বাহিনীর কোনো সৈন্য প্রত্যাহারের প্রমাণ পাইনি। অবশ্যই এটি ( রাশিয়া সেনা প্রত্যাহার না করা) প্রকৃত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার বার্তার জন্য একটি প্রতিবন্ধকতা।’ তিনি বলেন, ‘বরং আমরা যা দেখেছি তা হলো রাশিয়া ইউক্রেন সীমান্তে সৈন্য সংখ্যা বাড়িয়েছে এবং আরও সৈন্য সীমান্তে আসার পথে রয়েছে।’

এর আগে মঙ্গলবার রাশিয়া জানায়, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কিছু সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগর কোনাশেনকভ এক বিবৃতিতে বলেন, যেহেতু সামরিক প্রশিক্ষণ কর্মকাণ্ড শেষ হয়েছে, তাই প্রতিবারের মতো এবারও কিছু সেনাকে সীমান্ত থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলীয় কয়েকটি ইউনিটের সেনারা গাড়ি ও রেলযোগে সামরিক ঘাঁটিতে ফিরে আসছেন। সামরিক কনভয়ের অংশ হিসেবে পৃথক ইউনিট পায়ে হেঁটে ফিরবে।

আরও পড়ুন 

বিজ্ঞাপন

রুশ কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্ত ইউক্রেন ইস্যুতে মস্কোর সঙ্গে পশ্চিমা শক্তির সাম্প্রতিক উত্তেজনা প্রশমনে কাজ করবে বলে মনে করা হয়েছিল। তবে রাশিয়ার এমন ঘোষণাকে সন্দেহের চোখে দেখছে ইউক্রেন ও ন্যাটো সদস্যরা।

রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের খবরের প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেন, আমরা আমাদের মিত্রদের সঙ্গে নিয়ে রাশিয়াকে নিবৃত্ত করতে সক্ষম হয়েছি। তবে তিনি রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারের খবরটি আদৌ বাস্তবায়িত হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, রাশিয়া নানা সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিবৃতি দেয়। তবে এর সবই বাস্তব হয় না। এবার রুশ সেনারা যতক্ষণ পর্যন্ত —সীমান্ত থেকে সরছে— এই দৃশ্য আমরা না দেখছি, ততক্ষণ তা বিশ্বাস করব না।

এছাড়া মঙ্গলবার  বিশ্লেষকদের উদ্ধৃত করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, রাশিয়ার সেনারা হুমকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। স্পষ্টত এখনো হামলা আশঙ্কা রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে রাশিয়া সফররত জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলৎজের সঙ্গে বৈঠকের পর ফের তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। যৌথ সংবাদ সম্মেলনে পুতিন বলেন, ‘আমরা একসঙ্গে কাজ করতে চাই। আমরা আলোচনার পথে যেতে প্রস্তুত। ইউরোপে আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না।’ শুরু থেকেই পুতিন অবশ্য একথা বরাবরই বলে আসছেন। তবে ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া অভিযানের উদাহরণ টেনে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা শক্তি পুতিনের যুদ্ধবিরোধী অবস্থানকে সন্দেহ করে আসছে।

আরও পড়ুন

সারাবাংলা/আইই

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন