বিজ্ঞাপন

সিলেটের বাড়িতে সাবেক অর্থমন্ত্রী মুহিতের মরদেহ

April 30, 2022 | 10:34 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

সিলেট: সিলেটে এসে পৌঁছেছে সাবেক অর্থমন্ত্রী ড. আবুল মাল আবদুল মুহিতের মরদেহ। শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে ঢাকা থেকে মরদেহবাহী গাড়িটি এসে পৌঁছায় নগরীর ধোপাদিঘীরপাড়ের নিজ বাড়ি হাফিজ কমপ্লেক্সে। এটি হচ্ছে মুহিতের বাড়ি।

বিজ্ঞাপন

লাশবাহী গাড়ি সিলেটের বাসায় পৌঁছার পর স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এক নজর লাশ দেখতে ভিড় করেন নেতাকর্মীরা।

ঢাকার শ্রদ্ধা নিবেদন ও জানাজা শেষে বিকেলে ড. মুহিতকে বহনকারী গাড়ি সড়ক পথে সিলেটের পথে রওয়ানা দেয়। সঙ্গে ছেলে সাহেদ মুহিতসহ আত্মীয়-স্বজনরা ছিলেন।

এদিন বিকেলের ফ্লাইটে সিলেটে পৌঁছেছেন মুহিতের ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনসহ পরিবারের সদস্যরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেটে নামার পর নগরীর রায়নগরস্থ পৈত্রিক বাড়িতে গিয়ে কবরের স্থান নির্ধারণ করেন। এসময় তার সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

শফিকুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, সাবেক অর্থমন্ত্রীকে দাফন করা হবে নগরীর রায়নগরের পারিবারিক গোরস্থানে। সেখানে তার বাবা-মায়ের কবর রয়েছে।

আরও পড়ুন-

প্রিয়জনকে হারিয়ে কাঁদছে সিলেটের মানুষ

বিজ্ঞাপন

 

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে নগরীর হাফিজ কমপ্লেক্সের বাড়িতেই ফ্রিজআপ মাইক্রোবাসেই থাকবে ড. আবুল মাল আবদুল মুহিতের মরদেহ।

শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আবুল মাল আবদুল মুহিত। ৮৮ বছর বয়সী মুহিত বার্ধক্যসহ নানা ধরনের শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। তিনি একাধারে ছিলেন ভাষাসৈনিক, অর্থনীতিবিদ লেখক।

সরকারি চাকরিজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করা আবুল মাল আবদুল মুহিত তৎকালীন পাকিস্তান ও স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের অধীনে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দফতরে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮১ সালে সরকারি চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়ে অর্থনীতি ও উন্নয়ন নিয়ে গবেষণায় নিযুক্ত হন। এসময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার হয়ে কাজ করেন তিনি। পরে ২০০১ সালে তিনি যোগ দেন রাজনীতিতে। পরের বছরই আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত হন। আমৃত্যু দলের সেই পদে বহাল ছিলেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মুহিত। এসময় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পান তিনি। পরে ২০১৪ সালেও সংসদ সদস্য এবং টানা দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হন।

অর্থমন্ত্রী হিসেবে দুই মেয়াদে জাতীয় সংসদে টানা ১০টি বাজেট উত্থাপনের অনন্য রেকর্ড গড়েন আবুল মাল আবদুল মুহিত। একটানা এত বেশি বাজেট দেশের ইতিহাসে আর কোনো অর্থমন্ত্রী পেশ করতে পারেননি। এর আগে এরশাদ সরকারের অর্থ উপদেষ্টা হিসেবেও দুইটি বাজেট পেশ করেছিলেন মুহিত। সব মিলিয়ে তার উত্থাপন করা বাজেটের সংখ্যা ১২টি। এটিও সর্বোচ্চ বাজেট উত্থাপনের রেকর্ড। তবে বিএনপির সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত সাইফুর রহমানও ১২টি বাজেট উত্থাপন করেছেন সংসদে।

সারাবাংলা/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন