বিজ্ঞাপন

বিএনপি না এলেও নির্বাচন করব: সিইসি

July 18, 2022 | 4:49 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিএনপি নির্বাচনে না এলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না বলে স্বীকার করে নিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে বিএনপি অংশ না নিলেও নির্বাচন করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সিইসি বলেন, আমরা জাতীয় সংসদ নির্বাচন করার জন্য প্রস্তুত। আমরা মনে করি, আগামী  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি যদি অংশগ্রহণ না করে, তাহলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে আমাদের যে উদ্দেশ্য, সেটি হয়তো সফল হবে না। তবে আমরা নির্বাচন করব।

সোমবার (১৮ জুলাই) বিকেলে খেলাফত মজলিস দলের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল এসব কথা বলেন। ইসি সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের পরিচালনায় সংলাপে ইসি কমিশনার মো. আলমগীর, রাশেদা সুলতানা, মো. আনিছুর রহমান ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান উপস্থিত ছিলেন।

সংলাপে খেলাফত মজলিস দলের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুর কাদের, নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, মাওলানা আমদ আলী কাসেমীসহ ১০ জনের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

বিজ্ঞাপন

সিইসি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ (বিএনপি) তাদের সমমনা কয়েকটি দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে না। নির্বাচন নিয়ে তাদের নিজস্ব কিছু দাবি রয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচনকালীন একটি বিশেষ সরকার তারা চাচ্ছেন। ওই সরকার ক্ষমতায় থাকলে তারা নির্বাচনে আসবেন। এটিও কিন্তু একটি অস্থিরতা ও সংশয় তৈরি করেছে।

বিএনপি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে সেই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না— এটি স্বীকার করে নিলেও নির্বাচন আয়োজন করবেন বলেও জানান সিইসি। একইসঙ্গে যোকোনো উপায়ে যেন বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেয়, সেই আহ্বানও জানান তিনি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, বিএনিপি যেভাবে নির্বাচন করতে চাচ্ছে, কারা অন্য দলের সঙ্গে, বিশেষ করে শাসক দলের সঙ্গে বসে সে বিষয়টি সুরাহা করতে পারে। তারা একটি ঐকমত্য তৈরি করতে পারলে সেই ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন করতে কোনো বাধা নেই। তবে এখনো আমরা সেই প্রতিশ্রুতি পাচ্ছি না। অথবা ওই অবস্থা এখনো তৈরি হয়নি।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, আমরা এখনো এ নিয়ে সংশয় ও দ্বিধা-দ্বন্দ্বের মধ্যে আছি যে আলটিমেটলি বিএনপি নির্বাচনে আসছে নাকি তারা সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে অবস্থান তৈরি করবে। এ বিষয়গুলো এখনো নিশ্চিত নয়। আমরা এখনো বিএনপিকে আহ্বান করছি, আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছি— তারা যেন যেকোনো উপায়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।

নির্বাচন নিয়ে বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল ভিন্ন হলে নির্বাচন কমিশনের কিছু বলার নেই— এমন মন্তব্য করে সিইসি বলেন, এর পক্ষে কিংবা বিপক্ষে আমাদের কোনো অবস্থান নেই। একটি রাজনৈতিক দলের স্বাধীনতা রয়েছে। তারা তাদের প্রজ্ঞা অনুযায়ী যেকোনো কৌশল বা কর্মসূচি হাতে নিতে পারে। তবে আমরা চাই আগামী নির্বাচন প্রতিনিধিত্বমূলক ও অংশগ্রহণমূলক হোক। আগামী নির্বাচনের পর যে সংসদ গঠন হবে, সেটি যেন সত্যিকারের প্রধিনিধিত্বমূলক হয়।

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে সিইসি আরও বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে প্রতি পাঁচ বছর পরপর জাতীয় সংসদের সাধারণ নির্বাচন করতে হয়। বর্তমান সরকার যে তারিখে প্রথম সংসদের প্রথম সভা করেছিল, সে তারিখ অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারির প্রথম দিকে আমাদের নির্বাচন করতে হবে। নির্বাচন একটি জটিল কর্মযজ্ঞ এবং এ ক্ষেত্রে অনেক ধরনের প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। অনেক সমঝোতার প্রয়োজন হয়। আমরা আমাদের পক্ষ থেকে আমাদের প্রস্তুতিগুলো নিচ্ছি।

সবাইকে আশ্বস্ত করে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই— নির্বাচন কমিশন হিসেবে আইনে আমাদের যে সক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যে বিধিবিধানগুলো রয়েছে, যেগুলো প্রয়োগের সুযোগ আমাদের রয়েছে, যেসব আচরণ বিধিমালা ও নির্বাচন পরিচালন বিধিমালা রয়েছে, এগুলো অনুযায়ী আমরা কাজ করব।

বিজ্ঞাপন

সিইসি বলেন, বর্তমানে নির্বাচন নিয়ে যে সংশয় রয়েছে যে একটি বড় অংশ নির্বাচনে আসতে চাচ্ছে না বা আসবে না বলে সুস্পষ্ট ঘোষণা রয়েছে। আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম এবং আপনারাও দাবি করছিলেন, নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয়। অংশগ্রহণমূলক অর্থই হলো দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন