বিজ্ঞাপন

‘ভামোস বাংলান্টিনা’

December 14, 2022 | 6:52 pm

মাহমুদুল হাসান শামীম

ভামোস – স্প্যানিশ শব্দ। যার অর্থ- লেটস গো, চলো যাই। দেশের এবং জাতীয় দলের কোন সাফল্যে আর্জেন্টাইনদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয় শ্লোগান ভামোস আরহেনতিনা। অনেকটা সাবাস আর্জেন্টিনা। এখন তাদের কন্ঠে শোণা যাচ্ছে ভামোস বাংলাদেশ। ভামোস আর্জেন্টিনা, ভামোস বাংলাদেশ এই দুই শ্লোগান মিলিয়ে সন্ধি শ্লোগানও বানিয়েছে তারা ভামোস বাংলান্টিনা। শুধু শ্লোগানই নয় একটি কেকের নামও দিয়েছে তারা বাংলান্টিনা কেক।

বিজ্ঞাপন

আর্জেন্টিনার মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার

১৯৮৬ বিশ্বকাপে দিয়েগো ম্যারাডোনার সম্মোহনী কালজয়ী ফুটবল পারফরমেন্সের পর বিশ্বজুড়েই আর্জেন্টিনার সমর্থক বেড়েছে। তবে বাংলাদেশে তা আবিশ্বাস্য। কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে নিয়ে সমর্থনে ব্যাপক কর্মকান্ডে মেতে উঠেন বাংলাদেশের সমর্থকরা। এই উন্মাদনার খবর বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে ফিফার টুইটের মাধ্যমে। এবার তা নজর কাড়ে আর্জেন্টিনার ফুটবল ফেড়ারেশন, আর্জেন্টিনা পেশাদার ফুটবল লিগ এবং আর্জেন্টিনার কোচ স্কালোনির। অকুন্ঠ সমর্থনের জন্য তারা ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের মানুষকে। মেসির মা,মেসির স্ত্রী, আর্জেন্টিনা দলের খেলোয়াড়, সাংবাদিকরাও তাদের ফেসবুক পেইজে, টুইটার একাউন্টে বাংলাদেশের সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান। বাংলাদেশিদের উন্মাদনা নজর কাড়ে আর্জেন্টিনার মিডিয়ারও। বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে, প্রিন্ট মিডিয়ায় তারা ফলাও করে খবর ছাপে বাংলাদেশিদের এই সমর্থনের। অনেক টিভিতে হয়েছে টকশো। সেখানে দেখানো হয়েছে বাংলাদেশের ঘরে ঘরে উড়ানো আর্জেন্টিনার পতাকা, বিভিন্ন র‍্যালি, বিশাল স্ক্রিনে আর্জেন্টিনার খেলা দেখার দৃশ্য। বাংলাদেশের আর্জেন্টিনার সমর্থক কারো কারোর সঙ্গে সরাসরি কথা বলা হয়েছে কোন কোন নিউজে, টকশোতে। কোন কোন টক শোতে আলোচনা হয়েছে বাংলাদেশকে নিয়ে। শোনানো হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। পুরনো ঢাকার কাচ্চি বিরিয়ানির রিসেপি নিয়ে হয়েছে রান্নার শো। এমনকি রবীন্দ্রনাথের এক প্রেমিকা ছিলেন আর্জেন্টিনার ভিক্টোরিয়া ওকাম্পো তার কথাও বলেছেন টকশোর আলোচকরা।

মুগ্ধ আর্জেন্টিনার মানুষ

বিজ্ঞাপন

আর্জেন্টিনা ফুটবলের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের এমন ভালবাসা দেখে মুগ্ধ আর্জেন্টাইন নাগরিকরাও। বুয়েনস এইরেসের কেন্দ্রস্থলে বড় পর্দায় আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়ার খেলা দেখেছেন হাজারো মানুষ। আর্জেন্টিনার পতাকার পাশাপাশি তাদের অনেকের হাতে ছিল বাংলাদেশের পতাকাও। ঐ দিনই ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশ পেয়েছে এক ঐতিহাসিক জয়। সে খবর জানানো হলে হাজারো জনতা ভামোস বাংলাদেশ- এগিয়ে যাও বাংলাদেশ,সাবাস বাংলাদেশ স্লোগানে উল্লাস প্রকাশ করে। আর্জেন্টিনার শীর্ষস্থানীয় প্রায় সব টিভিতে বাংলাদেশের এই জয়ের খবর প্রচার করা হয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জয়ের মূহূর্তের ভিডিও ক্লিপ দেখানো হয়, তাদের বুলেটিনগুলোতে। বিভিন্ন সংবাদপত্রেও ছিল বাংলাদেশের এই জয়ের খবর। আর্জেন্টিনার সোস্যাল মিডিয়ায় বাংলাদেশকে অভিন্দন জানানোর জোয়ার বয়ে যায়।

কাতারের স্টেডিয়ামগুলোতে কেউ বাংলাদেশি জানতে পারলে আর্জেন্টাইনরা তাদের সঙ্গে ছবি তুলছেন। পোল্যান্ডের সঙ্গে খেলার পর বাংলাদেশের এক দর্শক ইশারায় মেসির স্ত্রীকে তার সঙ্গে ছবি তোলার অনুরোধ জানালে আন্তোলেনা রোকুজ্জো বক্স থেকে বেরিয়ে এসে ঐ বাংলাদেশীর সঙ্গে ছবি তুলেন। বলেছেন তিনি জানেন বাংলাদেশে আর্জেন্টিনার অগণিত সমর্থক আছে। আর্জেন্টিনার এক সাংবাদিক বাংলাদেশের সমর্থকদের খরব জেনে , তাদের কর্মকান্ডের ছবি ও ভিডিও দেখে এতই মুগ্ধ যে এখন তিনি স্প্যানিশ ভাষার পাশাপাশি বাংলাতেও টুইট করেন, পোস্ট করেন। জানিয়েছেন আর্জেন্টিনা চ্যাম্পিয়ন হলে তিনি বাংলাদেশে আসবেন মেসির সমর্থকদের দেখতে। তাদের নিয়ে রিপোর্ট করতে।

নতুন শব্দ বাংলান্টিনা

বিজ্ঞাপন

দুই দেশের ক্রীড়াপ্রেমীদের এই উন্মাদনার মধ্যে জন্ম হয়েছে একটি নতুন শব্দের বাংলান্টিনা। লিয়ান্দ্রো গালিচ্চিয়ো নামের এক আর্জেন্টাইন যুবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের সমর্থকদের নিয়ে বেশ সক্রিয়। আর্জেন্টিনার ফুটবল নিয়ে মাতামাতি করা বাংলাদেশিদের বিভিন্ন ছবি, ভিডিও শেয়ার করে নিজের দেশের মানুষকে জানিয়ে দিচ্ছেন। নিজের জন্মদিনে বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার পতাকার রঙে রাঙানো একটি কেক কেটেছেন তিনি। এই কেকের নাম দিয়েছেন বাংলান্টিনা। আর্জেন্টিনার নেট জগতে ভাইরাল হয় সেই কেকের ছবি। জনপ্রিয়তা পায় নতুন শব্দ বাংলান্টিনা। আর্জেন্টিনার বেকারি জগতে ঠাঁই নিয়েছে নতুন নামের বাংলান্টিনা কেক।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সমর্থক গোষ্ঠী

আর্জেন্টিনার মানুষকে মিডিয়া জানিয়েছে তাদের দেশের সাড়ে চার কোটি মানুষের চেয়েও বেশি সমর্থক আছে বাংলাদেশে। আর্জেন্টিনার ফুটবলের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের ভালবাসা দেখে কিছু আর্জেন্টাইন উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশকে সমর্থন দেয়ার। কিন্তু সমর্থন দিবেন কিসে। ফুটবলে তো বাংলাদেশের কোন খবরই নেই। তারা খুঁজে বের করেন ক্রিকেট বাংলাদেশের জনপ্রিয় খেলা। সিদ্ধান্ত নেন ক্রিকেটেই সমর্থন দেবেন বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলকে নিয়ে খোলা হয় ফেসবুক গ্রুপ। নাম “ফ্যানস আর্হেন্তিনোস দে লা সিলেকসিয়ন দে ক্রিকেট দেবাংলাদেশ”, যার বাংলা অর্থ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের আর্জেন্টাইন সমর্থক গোষ্ঠী্। সেই গ্রুপে আর্জেন্টাইনদের পাশাপাশি যোগ দিচ্ছেন বাংলাদেশিরাও। এক সপ্তাহেই সদস্য সংখ্যা লাখ পেরিয়ে যায়। ফেসবুক গ্রুপটি খুলেছেন ড্যান ল্যান্ডে নামের এক আর্জেন্টাইন। পেশায় তিনি বুসোলে নামের একটি ট্র্যাভেলার্স ক্লাবের মালিক। এক বন্ধুর পরামর্শে তিনি গ্রুপটি খুলেন। ড্যান ল্যান্ডে বাংলা ভাষায় গ্রুপটিতে বাংলাদেশিদের স্বাগত জানান। আর্জেন্টিনার প্রতি সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেখানে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে বাংলা ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করেন তিনি। আর্জেন্টিনা দলকে সমর্থন দেয়ার জন্য এই পোস্টে ধন্যবাদ জানানো হয় বাংলাদেশকে। গ্রুপে তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের প্রোফাইলের লিংক শেয়ার করা হয়েছে। বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ দলের বিশ্বকাপ জয়ের ভিডিও দেয়া হয়েছে। মিরাজের একটি ছবি দিয়ে ক্যাপশানে লেখা হয়েছে-‘চলো বাংলাদেশ। ভারতের বিরুদ্ধে এক উইকেটে রোমাঞ্চকর জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের নায়ক ছিলেন মেহেদি মিরাজ,ও মুস্তাফিজুর রহমান। আর্জেন্টিনার পক্ষ থেকে আমরা অভিনন্দন জানাই এবং অসাধারণ এক জয় উদযাপন করছি।’

সম্ভাবনার নতুন দুয়ার

বিজ্ঞাপন

ঢাকা এবং বুয়েনস এইরেসের দুরত্ব প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার কিলোমিটার। বাংলাদেশের মানুষের আর্জেন্টিনাকে সমর্থনের উন্মাদনা আর তা জেনে বাংলাদেশকে নিয়ে আর্জেন্টিনার মানুষের প্রবল আগ্রহ ভৌগলিক সেই দূরত্ব ঘুচিয়ে দুই দেশের মানষুকে বেধেছে আত্মিক বন্ধনে। আর্জেন্টিনার লোকজনই মিডিয়াতে বলছে বাংলাদেশ-আর্জেন্টিনা ভাই ভাই। ফুটবল নিয়ে দুই দেশের মানুষের এই মেল বন্ধন সহযোগিতার নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে।

বাংলাদেশ কি উদ্যোগী হবে এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে? আর্জেন্টিনা কিন্তু এরই মধ্যে পদক্ষেপ নিতে শুরু করে দিয়েছে। আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার ঘোষণা দিয়েছেন। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব চূড়ান্ত করতে ক্যাফিয়েরো আগামী বছর বাংলাদেশ সফর করবেন। রবিবার (১২ ডিসেম্বর) দক্ষিণ আটলান্টিক অঞ্চলের সংবাদ সংস্থা মেরকোপ্রেস এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে। মেরকোপ্রেস-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাতার ফিফা বিশ্বকাপ খেলা লিওনেল মেসি ও আর্জেন্টিনা দলের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের প্রশ্নাতীত সমর্থনের কারণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর্জেন্টিনা সরকার।

ফুটবল সমর্থনের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া সম্পর্কের সম্মানে ঘনিষ্ঠ কূটনীতির সূচনা করতে উদ্যোগী হয়েছে আর্জেন্টিনা। এরই পথ ধরে দুই দেশের মধ্যে মৈত্রী, বাণিজ্য, পর্যটন, ফুটবল-ক্রিকেট সহযোগিতার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উদ্যোগী হতে পারে বাংলাদেশও।

তৈরি পোষাক রপ্তানি, পর্যটন

কয়েকদিন আগে মিডিয়ায় খবর হয়েছে – বাংলাদেশই শুধু মেসিদের ভালোবাসে না আর্জেন্টাইনরাও ভালবাসে বাংলাদেশের তৈরী পোষাক। সেখানে বলা হয়েছে আর্জেন্টিনায় বাংলাদেশ কি কি ধরণের তৈরি পোশাক রপ্তানি করে। কি পরিমাণ করে এবং কি হারে উর্ধ্বগতিতে বাড়ছে সে রপ্তানি।

গার্মেন্ট রপ্তানিকারকরা মেসি, আর্জেন্টিনা নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের উন্মাদনার প্রচার চালিয়ে এই দুই দেশে তৈরি পোষাক রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে পারেন। বিজিএমএ ও পর্যটন সংস্থা যৌথভাবে আর্জেন্টিনার বিভিন্ন মিডিয়াকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়ে বাংলাদেশের তৈরি পোষাক শিল্প ও বাংলাদেশ সম্পর্কে চাক্ষুষ ধারণা দেয়ার ব্যবস্থা করলে ব্যাপক প্রচার পাবে।বিভিন্ন মিডিয়ায় কথা বলতে গিয়ে অনেক আর্জেন্টাইন বলেছেন তাদের পরবর্তী সফরের গন্তব্য বাংলাদেশ। আর্জেন্টিনার মানুষের মধ্যে বাংলাদেশ নিয়ে যে বিপুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে তাতে আর্জেন্টিনার মিডিয়াও এ উদ্যোগে ইতিবাচক সাড়া দিবে।

ফুটবলে সহযোগিতা

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন ও তাদের স্পনসরদের কাছে বাংলাদেশের ফুটবল উন্নয়নে সহযোগিতা চাইতে পারে। আর্জেন্টিনার ফুটবলে রয়েছে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা। সে অভিজ্ঞতা দিয়ে বাংলাদেশের ফুটবলের উন্নয়ন পরিকল্পনায় তারা সহযোগিতা করতে পারে। তাদের যে একাডেমি আছে সেগুলোতে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় কিশোর ফুটবলারদের প্রশিক্ষণ গ্রহণের সুযোগ দিতে পারে। বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলগুলোর জন্য আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন কোচ দিয়ে সহায়তা করতে পারে। বাংলাদেশের বিভিন্ন বয়স ভিত্তিক দলগুলোর সফর ও আর্জেন্টিনার দলগুলোর সঙ্গে সিরিজ খেলার এবং বয়স ভিত্তিক বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার ব্যবস্থা করতে পারে। মেসির কাছে, তার স্পনসরদের কাছে বাংলাদেশে ‘মেসি ফুটবল একাডেমি’ তৈরির জন্য সহযোগিতা চাইতে পারে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

বাংলাদেশের ক্রীড়ামন্ত্রী কথা বলতে পারেন আর্জেন্টিনার ক্রীড়ামন্ত্রীর সঙ্গে। ঐ দেশের ফুটবল একাডেমিগুলোতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিশীল কয়েকজন কিশোর তরুণকে ফুটবল প্রশিক্ষণ স্কলারশিপ দেয়ার জন্য। (একই কাজ করা যেতে পারে ব্রাজিলের ক্ষেত্রেও)

ক্রিকেটে সহযোগিতা

বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে আর্জেন্টিনার বহুল পরিচিতি ফুটবলে। হকির বিশ্বকাপেও খেলে তারা। ফুটবল ছাড়া মেয়েদের হকি ও রাগবিও তাদের দেশের জনপ্রিয় খেলা। মজার ব্যাপার হলো ক্রিকেট আর্জেন্টিনার অনেক পুরনো একটি খেলা। সেই ১৮৬৮ সালে তারা উরুগুয়ের বিপক্ষে প্রথম আর্ন্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ খেলেছিল।

১৯৭৪ সালে আইসিসির সদস্যপদ পায় আর্জেন্টিনা। ১৯৭৯ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে অংশ নিয়েছিল তারা। ক্রিকেটে বাংলাদেশের সঙ্গে তিনবার দেখা হয়েছে আর্জেন্টিনার। তিনটিই ছিল আইসিসি ট্রফির ম্যাচ।

এখন নিয়মিত ক্রিকেট খেলে আর্জেন্টিনা। এ বছর জুলাইতে আইসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগ ডিভিশন সিক্সে তারা হারিয়েছে কুয়েত ও বাহরাইনকে। অক্টোবরে সাউথ আমেরিকান ম্যান্স চ্যাম্পিয়শিপে হারিয়েছে মেক্সিকো, পেরু, ব্রাজিল, চিলি ও বেলিসকে। নভেম্বরে আইসিসি টি-২০ ওয়ার্ল্ডকাপ রিজিওনাল বাছাইপর্বে বেলিস ও পানামাকে হারিয়েছে। হেরেছে কানাডা, যুক্তরাস্ট্র, বারমুডা ও বাহামার কাছে। আর্জেন্টিনা জোর দিচ্ছে ক্রিকেট উন্নয়নে। তাদের এ- দল নিয়মিত ম্যাচ খেলে। অনুর্ধ-১১, অনুর্ধ-১৩ অনুর্ধ-১৫ অনুর্ধ-১৯ এর নিয়মিত লিগ হয় আর্জেন্টিনায়। বাংলাদেশ ফুটবল উন্নয়নের জন্য আর্জেন্টিনার সহায়তা নিতে পারে। আবার আর্জেন্টিনার ক্রিকেট উন্নয়নে বাংলাদেশ সহায়তা করতে পারে।

ফুটবল উন্মাদনা থেকে তৈরি এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উদ্ভাবনী উদ্যোগ নেয়া উচিত বাংলাদেশের। ভামোস বাংলান্টিনা-এগিয়ে যাক বাংলাদেশ- আর্জেন্টিনা মৈত্রী- সহযোগিতা।

লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক, সংবাদ বিশ্লেষক

সারাবাংলা/এসবিডিই/এএসজি

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন