‘নমিনাল জিডিপির ভিত্তিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বিশ্বে ৩৫তম’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, নমিনাল জিডিপির ভিত্তিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বিশ্বে ৩৫তম। যেখানে বাংলাদেশের পরের অবস্থানগুলোতে রয়েছে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের মতো দেশ।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এই অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এবার বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস এমন এক সময়ে আমাদের সামনে এসেছে যখন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির পথে রয়েছে। নমিনাল জিডিপির ভিত্তিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বিশ্বে ৩৫তম। যেখানে বাংলাদেশের পরের অবস্থানগুলোতে রয়েছে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনামের মতো দেশ। আর পিপিপির (পারচেজিং পাওয়ার প্যারিটি) ভিত্তিতে জিডিপিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার এখন ২৫তম। যেখানে মাত্র ১৪ বছর আগেও বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫৮তম।’

তিনি বলেন, ‘যার নেতৃত্বে এ গতিতে আমরা অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জন করেছি তার হাতকে শক্তিশালী করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া আদর্শকে ধারণ করেই আমরা দেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সক্ষম হব।’

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারিতে আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বড় ভূমিকা ছিল, যা থেকে এ প্রজন্মের কূটনীতিকরা অনুপ্রাণিত হতে পারেন বলে বক্তব্যে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে যে আবেগঘন বক্তব্য দিয়েছিলেন সেখানে গণহত্যা নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক তদন্তের কথা বলেছিলেন, যে কাজটি এখনো আমরা শেষ করে আনতে পারিনি।’

এ সময় সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ফারুক চৌধুরীসহ তৎকালীন কূটনীতিকদের প্রশংসা করে তারা দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন বলেও মন্তব্য করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। আলোচনা সভার আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব ও অন্যান্য কর্মকর্তারা।

এ সময়, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি (বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনে) তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণ শোনানো হয়। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সব পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম