বিজ্ঞাপন

উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যাবেন বার কাউন্সিল নেতারা

January 23, 2023 | 11:35 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জেলা আইনজীবী সমিতির সঙ্গে আদালতের উদ্ভুত পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে বর্ধিত সাধারণ সভা ডেকেছে আইনজীবীদের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। ওই সভায় আইনজীবী নেতাদের ডাকা হয়েছে। এ কারণে বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা বারে যাবেন।

বিজ্ঞাপন

সেখানে আইনজীবীদের সঙ্গে বসে শান্তিপূর্ণ সমাধান করার কথা জানিয়েছেন বার কাউন্সিলের কমপ্লায়েন্ট অ্যান্ড ভিজিলেন্স কমিটির চেয়ারম্যান জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ শারমিন নিগারের নামে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান ও বিচার কাজ বিঘ্নিত করার অভিযোগের তলবে ২১ আইনজীবী হাজিরের পর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এমন তথ্য দেন তিনি।

এ সময় আইনজীবীদের পক্ষে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় চান সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। এরপর আদালত ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেন আদালত। ওইদিন ২১ আইনজীবীকে আদালতে হাজির থাকতে হবে।

বিজ্ঞাপন

শুনানিতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ‘আগামী ২৮ জানুয়ারি বার কাউন্সিল একটি বর্ধিত সভা ডেকেছে। এতে জেলা বারের নেতাদের ডাকা হয়েছে। বার কাউন্সিল কমিটির সবাই সেখানে থাকবেন। আমরা মেসেজটা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাচ্ছি। আশা করি এ ধরনের ঘটনার সমাধান হবে।’

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘বার কাউন্সিলের সদস্য আমাদের সভার কথা জানিয়েছেন। আমাদের মিটিংয়ের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যাব। সেখানে আইনজীবীদের সঙ্গে বসে পরিস্থিতি কাম ডাউন (শান্ত) করব। এজন্য সময় দিতে পারেন। এরপর আদালত ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দেন।’

এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারকের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ স্লোগানের অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের নির্ধারিত দিনেই ২১ আইনজীবী আদালতে হাজির হন। ২১ আইনজীবীকে হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির সম্পাদক মো. মফিজুর রহমান বাবুল, আইনজীবী মিনহাজুল ইসলাম, এমদাদুল হক হাদি, নিজামুদ্দিন খান রানা, আনিছুর রহমান মঞ্জু, মো. জুম্মন চৌধুরী, রাশেদ মিয়া হাজারী, জাহের আলী, মো. আ. আজিজ খান, দেওয়ান ইফতেখার রেজা রাসেল, মো. ছদর উদ্দিন, মাহমুদুর রহমান রনি, মো. মাহবুবুর রহমান, মো. আরিফুল হক মাসুদ, মীর মোহাম্মদ রাইসুল আহম্মেদ, মহিবুর রহমান, মো. জাকারিয়া আহমেদ, মো. মোবারক উল্লা, মো. ফারুক আহমেদ, সফিক আহমেদ, ইকবাল।

বিজ্ঞাপন

আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আর আইনজীবীদের পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির, সম্পাদক আব্দুন নূর দুলাল, আইনজীবী রবিউল আলম বুদু ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ রাজা।

গত ১০ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন। রুলে ওই ২১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।

গত ৫ ও ৮ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিচার কাজ চলাকালীন কতিপয় আইনজীবী জেলা জজসহ বিচারকদের বিরুদ্ধে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেয়। ওই ঘটনায় গত ৯ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ বেগম শারমিন নিগার প্রধান বিচারপতির কাছে একটি আবেদন করেন। আবেদনে জেলা জজ আদালতে এজলাস চলাকালে বিচারকের নামে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দিয়ে বিচার বিঘ্নিত করা, বিচার ব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ মানহানির ঘটনায় প্রতিকার চাওয়া হয়।

জেলা জজ বেগম শারমিন নিগার আবেদনপত্রে উল্লেখ করেছেন যে, গত ২ জানুয়ারি এজলাস চলাকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিচারক মোহাম্মদ ফারুককে অশালীন ও অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এজলাস থেকে নামতে বাধ্য করার প্রতিক্রিয়ায় হাইকোর্ট রুল জারি করায় তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে গত ৫ ও ৮ জানুয়ারি এজলাস চলাকালীন কতিপয় আইনজীবী বিচারকের বিরুদ্ধে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেন।

বিজ্ঞাপন

পরে ওই চিঠি প্রধান বিচারপতি বরাবর উপস্থাপন করেন রেজিস্ট্রার জেনারেল। পরে বিষয়টি নিষ্পিত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে উপস্থাপনের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সে অনুসারে এই বেঞ্চে নথি উপস্থাপন করা হয়।

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন