বিজ্ঞাপন

৪৭ বছরেও বাংলাদেশ পেলো না ফুটসাল ফুটবল!

May 9, 2018 | 6:42 pm

জাহিদ-ই-হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

দেশে ফুটসালের অস্তিত্ব শুধু ‘আন্ডারগ্রাউন্ডে’। জাতীয় পর্যায়ে ফুটসালের কোনো পুরুষ বা নারী দল নেই! তাই বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ফুটবলের এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের ‘নির্দিষ্ট দল’ কখনই অংশ নেয়নি। স্বাধীনতার ৪৭ বছরেও সেই অর্থে দেশের মাটিতে গড়ে উঠেনি ফুটসাল সংস্কৃতি। বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় এই ফরম্যাটের সংস্কৃতি দেশে গড়ে উঠছে না কেন?

দেশের পুরুষদের পৃথক কোনো ফুটসাল দল নেই। মেয়েদেরও নেই। যদিও বেশিরভাগ দেশের পুরুষ ও নারীদের পৃথক পৃথক ফুটসাল টিম আছে। বাংলাদেশের নেই। শুধু তাই নয়। দেশে সেই অর্থে নেই কোনো ফুটসাল মাঠও। হ্যান্ডবল, রোলারস্কেটিং বা বাস্কেটবল মাঠকেই ফুটসালের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

এবারই প্রথম মেয়েদের হাত ধরে আন্তর্জাতিক কোনো ফুটসাল টুর্নামেন্টে অংশ নেয় বাংলাদেশ। সেটাও বড় মাঠের ফুটবলারদের নিয়ে। তবে, এর মাধ্যমে দেশে অন্তত ‘ফাইফ-এ-সাইড’ ফুটবলের যাত্রা শুরু হয়।

বিজ্ঞাপন

ফুটবলের হাহাকারের যুগে ফুটসাল নিয়ে এতো বছরেও কখনও উদ্যোগী হতে দেখা যায়নি। যেখানে মালয়েশিয়া-ইরানের মতো দল রীতিমতো ফুটসাল র‌্যাংকিংয়ে জায়গা করে নিয়েছে। চীনের ছোট্ট প্রদেশ চাইনিজ তাইপেরও আছে ফুটসাল দল। এ দল নিয়মিত ফুটবলের বাইরের দল।

দেশে ফুটসালের সংস্কৃতি গড়ে না ওঠার কারণ জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) টেকনিক্যাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক ডিরেক্টার পল স্মলি বলেন, ‘আমরা অনেক পরিকল্পনাই করি। কিন্তু সেগুলোর ফলন হয় না। এদেশে স্বাভাবিক ফুটবলের চর্চা থাকলেও কোথাও ফুটসাল নেই। ফুটসাল ভিন্ন একটি ফুটবল খেলা। বলটাও ছোট। এখানে পারসোনাল এবিলিটিটাও একেবারে অন্যরকম। কিন্তু এখনও মানুষ জানেই না এ বিষয়ে।’

বিজ্ঞাপন

‘বেশ কয়েকবার ফুটসাল টুর্নামেন্টের আয়োজন নিয়ে কথা বলেছিলাম, কিন্তু ফেডারেশন আপাতত সিনিয়র ফুটবল-নারী ফুটবল নিয়ে ব্যস্ত। ‘ যোগ করেন তিনি।

ক’দিন আগেই থাইল্যান্ডে এএফসি নারী ফুটসাল চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয় সাবিনা-কৃষ্ণারা। অভিজ্ঞতার জন্য হলেও বাংলাদেশ ফুটসালের নতুন যাত্রা সুখকর ছিলো না। তিন ম্যাচে ২০ গোল হজম করে বুঝেছে ফুটবল আর ফুটসালের আসল পার্থক্য।

সাবিনাদের কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন জানালেন, ‘বিশ্বে জনপ্রিয় খেল ফুটসাল। আমাদের দেশে ফুটবল নিয়ে মেতে থাকলেও ফুটসাল নেই। কারণ এ নিয়ে মাতামাতি নেই। মেয়েদের সেই যাত্রাটা শুরু হলো। সংস্কৃতি গড়ে তুলতে বাফুফেকে উদ্যোগী হতে হবে। স্কুল থেকে বয়সভিত্তিক পর্যায়ে টুর্নামেন্ট করে খেলোয়াড় তৈরি করতে হবে। আলাদা মাঠও প্রয়োজন। মাঠগুলো ছোট ছোট। হ্যান্ডবল, বাস্কেটবল বা রোলার স্কেটিং মাঠও ফুটসালের কাজে ব্যবহার করা যাবে।’

বিজ্ঞাপন

৪৭ বছরেও যেখানে ফুটসাল দল হয়নি, সেখানে মেয়েদের ফুটসাল যাত্রাকে আপাতত ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে ফুটবল ফেডারেশন। কারণ এএফসি নিজেও বাংলাদেশকে ফুটসালের উর্বর ভূমি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে বলে জানান কোচ ছোটন।

এখন দেখার বিষয়, বাফুফে কতটা উদ্যোগী হয় দেশের মানুষের মধ্যে ফুটসাল সংস্কৃতির ধারা বইয়ে দিতে?

সারাবাংলা/জেএইচ/এমআরপি

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন