আর্জেন্টিনার নির্দিষ্ট সমর্থকরা নিষিদ্ধ

সারাবাংলা ডেস্ক ।।

দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ। ১৪ জুন থেকে রাশিয়ায় রঙ ছড়াবে বিশ্বকাপ ফুটবল। এ নিয়ে ভক্ত ও দর্শকদের মধ্যেও চড়ছে উন্মাদনার পারদ। এবার সমর্থকদের জন্য আলাদাভাবে আইডেন্টিফিকেশন নাম্বারের (আইডি) ব্যবস্থা করা হয়েছে। উপযুক্ত কাগজপত্র প্রদর্শন করতে হয়েছে টিকিট কেনার সময়। সেটা হোক অনলাইন কিংবা সরাসরি। রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের অনুরোধেই এই ব্যবস্থা গ্রহণ করে ফিফা।

তবে, রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলা দেখতে যাওয়া প্রায় তিন হাজার আর্জেন্টাইন নির্দিষ্ট সমর্থকের উপর বিধি-নিষেধ আসতে পারে বলে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। পূর্ব অভিজ্ঞতার নিরিখে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের ওপর খড়গ আসতে পারে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

আর্জেন্টিনার প্রায় ৫০ হাজার ফুটবল ভক্ত বিশ্বকাপের টিকিট কিনেছে। মাঠে কিংবা গ্যালারিতে বসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে এমন সমর্থকদের তালিকা তৈরি করেছে আর্জেন্টিনা সরকার। রাশিয়ান সরকারের কাছে সেই তালিকাও পৌঁছে দিয়েছে তারা। তাতে, মাঠে বসে খেলা দেখা থেকে নিষিদ্ধ হচ্ছে বেশ কিছু আর্জেন্টাইন। এজন্য আর্জেন্টিনা ও রাশিয়া সরকার একটি চুক্তিও সই করেছে। আর্জেন্টিনা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাঠে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে এমন প্রায় তিন হাজার সমর্থক রাশিয়া যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই সংখ্যা ক্রমেই বাড়তে পারে। এর মধ্যে চারশ’ দর্শকের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওদের কঠোরভাবে স্টেডিয়ামে প্রবেশ থেকে বিরত রাখা হবে।

আর্জেন্টিনার ম্যাচ নিরাপত্তা কমিটির প্রধান গুইলেরমো মাদেরো বলেছেন, ‘আমরা অন্তত তিন হাজার দর্শকের ডাটাবেজ তৈরি করেছি। এর মধ্যে চারশ’ সমর্থক কোনোভাবেই স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে প্রবেশ করতে পারবে না।’ এদিকে, রাশিয়ান সরকার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে বিতর্কিত কোনো আর্জেন্টাইন সমর্থককে তারা অনুমোদন দেবে না। বিশেষ করে বারাস ব্রাভাস গ্রুপের কোনো সদস্যকে স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

আর্জেন্টাইন সরকারও বারাস ব্রাভাসদের রুখতে রাশিয়ায় ছয়জন নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে প্রেরণ করেছে। আর্জেন্টিনার ঘরোয়া ম্যাচগুলোতেও এই গ্রুপের সদস্যরা প্রায়ই সমস্যার সৃষ্টি করে। ফুটবল মাঠে সমর্থক হিসেবে বারাস ব্রাভাসদের সুখ্যাতির চেয়ে কুখ্যাতিটাই বেশি। ১৯৫০ সালে আর্জেন্টিনায় সর্বপ্রথম গড়ে ওঠে এই সংগঠনটি। ইউরোপের চরমপন্থী সমর্থক সংগঠনের আদলে গড়ে ওঠা এই দলটি ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে লাতিন আমেরিকার অন্য দেশগুলোতেও।

সারাবাংলা/এমআরপি