বিজ্ঞাপন

বিএনপি নেতা হাবিবকে হাইকোর্টে হাজিরের নির্দেশ

November 8, 2023 | 1:09 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করার ঘটনায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবকে তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। তবে সেই তলবে হাজির না হওয়ায় হাবিবুর রহমান হাবিবকে অবিলম্বে আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) প্রতি এ নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৮ নভেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান। আর বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব।

এর আগে, হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানকে নিয়ে হাবিবুর রহমানের দেওয়া বক্তব্য ইউটিউবে ছড়িয়ে পড়লে হাইকোর্ট গত ১৫ অক্টোবর স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ এক আদেশ দেন আদালত। যেখানে হাবিবুর রহমানকে তার বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তলব করা হয়।

বিজ্ঞাপন

তবে ৬ নভেম্বর তলবের ধার্য দিনে তিনি হাইকোর্টে হাজির না হওয়ায় হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসানকে কথা বলে হাবিবের অবস্থান জানানোর নির্দেশ দেন। এবং বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আজকের দিন (৮ নভেম্বর দিন) ধার্য করেন।

সে ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজ আদালতকে বলেন, আমি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আমাকে জানিয়েছেন হাবিবুর রহমান হাবিবের স্থায়ী এবং বর্তমান ঠিকানায় তাকে খুজে পাওয়া যায়নি। হাবিবের পরিবারের সদস্যরা বলেছেন হাবিবুর রহমান কোথায় আছে তা তারা জানেন না।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছ থেকে এই তথ্য জানার পর হাইকোর্ট হাবিবুর রহমান হাবিবকে অবিলম্বে আদালত হাজির করতে পুলিশের আইজিপির প্রতি নির্দেশ দেন। এবং এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ৭ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।

বিজ্ঞাপন

আর বিটিআরসির আইনজীবী খন্দকার রেজা-ই-রাকিব আদালতকে জানিয়েছেন, হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী হাবিবুর রহমান হাবিবের দেওয়া ‘অবমাননাকর বক্তব্য’ ইউটিউব ও ফেসবুক থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর তৎকালীন বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। এরপর ২০১৯ সালে মো. আখতারুজ্জামান হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এই বিচারপতিকে নিয়েই ‘অবমাননাকর বক্তব্যের’ অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আদালত অবমাননার রুল জারি করা হয়।

রুলে আদালত অবমাননার দায়ে হাবিবের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

গত ১৫ অক্টোবর বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন