বিজ্ঞাপন

সনদ তোলার ‘ডিজিটাল ঝামেলা’য় ক্ষুব্ধ ইবি শিক্ষার্থীরা

April 2, 2024 | 8:21 am

আজাহারুল ইসলাম, ইবি

ইবি: চীনের দুঃখ হোয়াংহো, কুমিল্লার দুঃখ গোমতি। আর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীদের দুঃখ সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট ও নম্বরপত্র উত্তোলন করতে না পারা। ফল প্রকাশের কয়েকমাস পেরিয়ে গেলেও এসব কাগজপত্র তারা তুলতে পারছেন না। উটকো এই ঝামেলায় চাকরির ক্ষেত্রে কাগজপত্রও জমা দিতে পারছে না। আর এ বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে কাগজ সংকটের দোহাই দিয়েছিল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর। তবে এখন কাগজ সংকট কাটলেও দিতে পারছেন না সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট ও নম্বরপত্র। সনদ ও ট্রান্সক্রিপ্ট প্রস্তুতের জন্য অন্তত সাড়ে চার হাজার করে নয় হাজার কাগজ আনা হয়েছে। তবে সনদ-নম্বরপত্রের সফটওয়্যারের কাজ শেষ না হওয়ার কারণে এমনটি হচ্ছে বলে জানান তারা।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর সূত্রে, ফল প্রকাশের পরেরদিনই সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট, নম্বরপত্র ও ফল প্রকাশের নম্বরপত্রের আবেদন করতে পারেন শিক্ষার্থীরা। আবেদনের পর ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত এসব কাগজ হাতে লিখে দেওয়া হয়। তবে আর আগের নিয়মে হাতে লিখে দেওয়া হবে না। বিড়ম্বনা ও সময়ক্ষেপণ এড়াতে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে এসব কাগজপত্র ডিজিটালি দেওয়া হবে। নির্দিষ্ট সফটওয়্যারে অটোমেশনের মাধ্যমে কাগজপত্রগুলো তৈরি হবে। তবে সফটওয়্যার তৈরির কাজ এখনও সম্পন্ন না হওয়ার ফলে বিড়ম্বনায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, ইতোমধ্যে এই শিক্ষাবর্ষের অন্তত ১২টি বিভাগের স্নাতক শেষ হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট ও নম্বরপত্র দিতে হচ্ছে। কিন্তু এখনও তারা এসব তুলতে পারেননি। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতরে গেলে তারা বলছেন ডিজিটাল পদ্ধতিতে আমাদের কাগজপত্র দেবে। তবে ডিজিটালের নামে তারা সময়ক্ষেপণ করছে। যতদিন এই পদ্ধতি পুরোপুরি প্রস্তুত না হচ্ছে ততদিন আগের নিয়মে কাগজপত্র দিতে পারে।

বিজ্ঞাপন

ল’ অ্যান্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ফারহান শাহরিয়ার বলেন, আমাদের পরীক্ষা শেষ হয়েছে অনেক আগেই, ফলাফলও প্রকাশ হয়েছে। অ্যাডভোকেটশিপ পরীক্ষায় বসতে গেলে অন্তত ছয় মাস আগে বার কাউন্সিলে ইন্টিমেশন জমা দিতে হয়। এর সঙ্গে সনদ, ট্রান্সক্রিপ্ট সহ প্রয়োজনীয় কাজগপত্র আবশ্যক। কিন্তু এখনও কাগজ তুলতেই পারলাম না। হয়তো পরবর্তী বার কাউন্সিল পরীক্ষা ধরতেই পারব না। প্রশাসনের টালবাহানায় আমাকে আরও অতিরিক্ত এক বছর অপেক্ষা করতে হবে।

একজন উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বলেন, আমরা চাইলে এনালগ পদ্ধতিতে জরুরি প্রয়োজন হলে কাউকে কাগজপত্র দিতে পারি। তবে এক্ষেত্রে আমাদের সঠিক হিসাব রাখা কঠিন হয়ে যাবে। তাই আমরা চাচ্ছি সিস্টেমটা প্রস্তুত করে একেবারে কাগজপত্রগুলো দিতে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ কে আজাদ লাভলু বলেন, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে নতুন ফরম্যাটে অনলাইনের মাধ্যমে সবগুলো ডকুমেন্ট দেওয়া হবে। সার্টিফিকেট ছাড়া অন্যান্য ফরম্যাটের কাজ এখনও শেষ হয়নি। এটা শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই জরুরি বিষয়। আইসিটি সেল এই বিষয়টি দেখছে।

বিজ্ঞাপন

আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, সার্টিফিকেট, ট্রান্সক্রিপ্টসহ অন্যান্য ডকুমেন্টস সবগুলোই রেডি হয়ে গেছে। এগুলোর প্রিন্ট করার পেপার সাইজের সঙ্গে মার্জিন মেলাতে হবে। এসব প্রিন্টের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব প্রিন্টার আছে তার সাইজের সঙ্গে মিল করে সফটওয়্যারে মার্জিন সেটাপ করতে হচ্ছে। ট্রায়াল চলছে। আশা করছি দুয়েকদিনের মধ্যে শিক্ষার্থীরা কাগজপত্র উত্তোলন করতে পারবেন।

সারাবাংলা/এনইউ

Tags: , , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন