বিজ্ঞাপন

‘স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এবারের ঈদ বেদনাদায়ক’

April 7, 2024 | 7:52 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এবারের ঈদ সবচেয়ে নিরানন্দ ও বেদনাদায়ক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৭ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনে পড়ে এ পবিত্র রমজানেও নিদারুণ কষ্টে জীবন-যাপন করছে সাধারণ মানুষ। নিত্যপণ্যের দামে লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানি সংকট তো আছেই। এ ছাড়াও, সরকারের লুটপাটের অর্থনীতির কারণে দেশে দুর্ভিক্ষ ক্রমসম্প্রসারিত হচ্ছে। বাকস্বাধীনতা প্রয়োগের জন্য অনেক মানুষকে জুলুম ভোগ করতে হচ্ছে। সভা-সমাবেশ-মিছিল করার অধিকার আওয়ামী লীগ এখন এককভাবে ভোগ করছে।’

নির্বাচন ব্যবস্থাকে সরকার কলুষিত করে ক্ষমতা দখলে রেখেছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী সন্ত্রাস মাত্রাছাড়া হয়ে উঠেছে। জনগণের ওপর প্রভুত্বকামী জুলুমবাজ সরকার পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত দেশব্যাপী হিংসার মন্ত্রণাদাতা ও শান্তির শত্রু। এরা গণতন্ত্রের মূল নীতিকে সমাধিস্থ করে এক সর্বগ্রাসী অত্যাচারী রাষ্ট্রের উদ্ভব ঘটিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মানুষের মনে ঈদের কোনো আনন্দ নেই। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এবারের ঈদ সবচেয়ে নিরানন্দ ও বেদনাদায়ক।’

বিজ্ঞাপন

রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য হচ্ছে, ক্ষমতায় এসেই গণতন্ত্রের লাশ ফেলে দেওয়া। এরা ক্ষমতাসীন হয়ে রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করে বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী মানুষের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা ও গায়েবি মামলা, হামলা, জেল, জুলুম, খবরদারী, অত্যাচার, উৎপীড়ন, খুন, গুম, লুণ্ঠন, দুঃশাসন চালিয়ে আসছে। জবরদস্তিমূলক ক্ষমতা ধরে রেখে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী গত প্রায় ১৬ বছরে দেড় লাখের বেশি হয়রানিমূলক মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশনায়ক তারেক রহমানসহ প্রায় ৫০ লাখের অধিক নেতাকর্মীকে আসামি করেছে।’

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক রীতি ও শালীনতাকে উপেক্ষা করে প্রতিহিংসার বশবর্তী বেগম খালেদা জিয়াকে আদালতের মাধ্যমে সাজা দিয়েছে। যে মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে তাতে তার বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। তাকে চিকিৎসা সেবা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। গণতন্ত্র-ভোটাধিকারের দাবিতে আন্দোলনের অপরাধে হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে এখনও কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন ভয়ংকর আতঙ্কের দেশ।’

রিজভী বলেন, ‘নির্বাচনের পর অনেককে জামিন দিলেও নতুন নতুন মামলায় কারাগারে নিক্ষেপ করা হচ্ছে। বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী হাজার হাজার মানুষ গুম, খুন, গুপ্তহত্যার শিকার হয়েছে। ছয় বছরের শিশু থেকে মায়ের পেটের বাচ্চাকেও গুলি করা হয়েছে। কবরে শায়িত ব্যক্তি, কোলের বাচ্চা, বিদেশে অবস্থানকারী মানুষ, কারাবন্দি লোককে নাশকতা, ককটেল বিস্ফোরণ, সরকারি কাজে বাধা দেওয়াসহ গায়েবি মামলায় জড়ানোর অগণিত উদাহরণ রয়েছে। তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত কেউই এই গায়েবি মামলা ও সরকারি নির্যাতন-নিপীড়ন থেকে রেহাই পায়নি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের সাজানো মিথ্যা মামলায় জর্জরিত বিএনপির তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রায় সকল নেতাকর্মী। কারও কারও বিরুদ্ধে ৪০০ থেকে ৫০০ মামলাও রয়েছে। একদিকে মামলার চাপ, আরেক দিকে ব্যবসা বাণিজ্যসহ সব হারিয়ে অনেকটা নিঃস্ব হয়ে পড়েছে বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী। এখনও কারবান্দি রয়েছেন এমন নেতা-কর্মীর সংখ্যাও কম নয়। কারাগারের চার দেয়ালের মধ্যে এবারও ঈদ করতে হচ্ছে দলটির অজস্র নেতাকর্মীকে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শাহেদা রফিক, তাহসিনা রুশদি লুনা, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন