বিজ্ঞাপন

শহিদুল আলমের জামিন শুনানিতে বিব্রত হাইকোর্ট

September 4, 2018 | 12:59 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের জামিন চেয়ে করা আবেদনের শুনানিতে বিব্রত হয়েছেন হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।

মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি খোন্দকার দিলুরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি করতে বিব্রতবোধ করেন।

ফলে আইন অনুযায়ী বিষয়টি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। প্রধান বিচারপতি এ আবেদনের শুনানির জন্য তৃতীয় একটি বেঞ্চ গঠন করে দেবেন।

বিজ্ঞাপন

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

পরে আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আদালতের কাছে বলেছি, আমাদের যে জামিন আবেদনটি আছে সেটি শুনানি করা হোক। সিদ্ধান্ত কী হবে, সেটা আদালতের ব্যাপার। আমরা শুনানির সুযোগ চাই। আমরা কারণ জানতে চেয়েছি, কেন আমাদের আবেদন শোনা হবে না। পাঁচ দিন ধরে আমাদের আবেদনটি কার্যতালিকায় রয়েছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারণে এটি শুনানি করা যায়নি। গতকালও অ্যাটর্নি জেনারেলের পক্ষেই সময় নেওয়া হয়েছে। তারপরেই আজ (৪ সেপ্টেম্বর) এসে আদালত কী কারণে বিব্রতবোধ করেছেন, তা আমরা বুঝতে পারিনি।’

‘এক পর্যায়ে বলা হলো, বাস্তবতা বুঝতে হবে। আমরা তখন আদালতকে বলেছি, বাস্তবতা কী এটাই যে একজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজানো যাবে? তাকে আটকে রাখা হবে? আমি জানি, সংবিধান অনুযায়ী প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার সুরক্ষা পেতে এই আদালতেই আসতে হবে। এখানে এসে যদি নাগরিক হিসেবে ফিরিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে কোথায় যাব সেটা আমরা বুঝতে পারছি না।’, আরও বলেন সারা হোসেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, এখন প্রধান বিচারপতি কাছে আবেদন করা হবে, আগামীকালের মধ্যে যেন একটি বেঞ্চ ঠিক করে দেন।

এর আগে, গত ২৮ আগস্ট শহিদুল আলমের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।

এ মামলায় ৬ আগস্ট ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম শহিদুল আলমের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। গত ১৪ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হলে ১১ সেপ্টেম্বর শুনানির জন্য দিন ধার্য রাখেন। এরপর ১৯ আগস্ট শুনানির তারিখ এগোনোর জন্য আবেদন করা হলে তা গ্রহণ করেননি আদালত। এ অবস্থায় ২৬ আগস্ট শহিদুল আলমের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চাইলে ওই আদালত শুনানির জন্য তা গ্রহণ করেননি। এ অবস্থায় তারা হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলায় ৬ আগস্ট শহিদুল আলমকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। এর আগের দিন রাতে ধানমন্ডির বাসা থেকে তাকে তুলে নেয় ডিবি। সাত দিনের রিমান্ড শেষে গত ১২ আগস্ট শহিদুলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন নিম্ন আদালত।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেডকে/জেএএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন