বিজ্ঞাপন

যশোরের গাছ কাটার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শাহবাগে সমাবেশ

January 19, 2018 | 7:43 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

যশোর রোডের গাছ কাটার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সমাবেশ করেছে বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) শাহবাগের জাতীয় যাদুঘরের সামনে এই নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি তার বক্তব্যে বলেন, ‘বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চ্যাম্পিয়ন দাবিদার বলে যা ইচ্ছা তা করছে। এই স্বেচ্ছাচারী সরকার জনগণকে চাকচিক্যের কিছু স্থাপনা দেখিয়ে বিদেশে অর্থ পাচার করছে। উন্নয়নের নামে সরকার জনগণের ক্ষতি করছে। সাড়ে ৩শ কোটি টাকার মগবাজার ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ১৫শ কোটি টাকায়।’

বাম রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মী আবু নাসের অনিক বলেন, ‘যশোর রোডের গাছ কেটে সরকার তাদের উন্নয়নের কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে চান। কিন্তু যে উন্নয়ন প্রকৃতির ধ্বংস ডেকে আনে সে উন্নয়ন বাংলাদেশের প্রয়োজন নেই।’

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সহ-সাধারণ সম্পাদক কাকন বিশ্বাস বলেন, ‘এই সরকার আমাদের অতীত কে লুট করে নিয়ে গেছে। আমাদের ভবিষ্যতকেও তারা লুট করতে চায়। এই গাছ প্রধানমন্ত্রী লাগায়নি প্রকৃতি থেকে সৃষ্টি হয়েছে। আমরা কোনও ভাবেই এই গাছ কেটে ফেলতে দেবো না।’

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর কেন্দ্রীয় সভাপতি ইকবাল কবির তার বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের কমনসেন্স হারিয়ে গিয়েছে, আজ সকল সিদ্ধান্ত নির্ধারণ করতে হয় হাইকোর্টকে।’

ব্যারিস্টার জ্যোতিময় বড়ুয়া বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের কৃষকের জমি দখল, ফসল মাঠ নষ্ট ও শতবছরের গাছ কেটে উন্নয়নের নামে নোংরামি শুরু করেছে।’

বিজ্ঞাপন

কলামিস্ট ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘বর্তমান সরকারের উন্নয়ন-গণতন্ত্রের মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানো। কিন্তু সরকার প্রকৃতিকে বাঁচাতে ব্যর্থ। দেশের সাধারণ মানুষকে তারা শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না।’

আন্দোলনকারীদের দাবি যশোরের শত বছরের ঐতিহাসিক গাছ কাটার সিদ্ধান্তের জন্য দায়ী যশোর জেলা প্রশাসন, যশোর পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও সরকার দলীয় নেতারা।

এসময় সমাবেশে একাত্মতা প্রকাশ করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, ছাত্র ফেডারেশন ও সুশিল সমাজের বিভিন্ন ব্যক্তিরা।

সারাবাংলা/এসও/এনএস

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন