বিজ্ঞাপন

বিএনপি নেতা মিজানের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা

June 27, 2018 | 1:34 pm

।। সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ।।

বিজ্ঞাপন

ঢাকা: রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে আটকের ৩২ ঘণ্টা পর ধানমন্ডি থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হলো বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজর (অব:) মিজানুর রহমান মিজানকে। সেই সঙ্গে একই সময় আটক বিএনপির অন্য ৫ কর্মীকে গেফতার দেখানো হয়েছে।

বুধবার (২৭ জুন) ধানমন্ডি থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলা করে গোয়েন্দা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম।

বুধবার ডিএমপির মিডিয়া শাখার অতিরিক্ত উপ কমিশনার ওবায়দুর রহমান সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ধানমন্ডি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল লতিফও মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সকালের দিকে ডিবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা হয়।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতার হওয়া অন্য ব্যক্তিরা হলেন, মিজানু্র রহমান মিজান, আসাদ আলী, মোহাম্মদ জিন্নাত, জুনায়েদ হোসেন ও শফিকুল ইসলাম।

ওসি বলেন, মিজানসহ ৫ জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাত সাড়ে ১০ টায় গুলশান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু বকর ছিদ্দিক সারাবাংলাকে বলেন, দিনভর অভিযোগের জন্য অপেক্ষা করেছি। এখনো কেউ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আসেনি। ।

বিজ্ঞাপন

গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, মেজর (অব:)মিজানুর রহমান মিজান পুর্ব পরিকল্পিত একটি গ্রুপ তৈরি করে গাজীপুরের নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছিলেন। তারা আওয়ামীগ সমর্থিত ভোটারদের সাথে মিশে কিছু উটকো (ছোট)ঝামেলা বিশ্ব মিডিয়ায় প্রচার করে নির্বাচন বানচালের পরিকল্পনা করছিলেন। এজন্য মিজানের ৪ জনের ওই গ্রুপটির হাতে বিশেষভাবে তৈরি ডিভাইস সম্বলিত হাতঘড়ি দেওয়া হয়। সেই হাতঘড়ি ডিভাইসসহ চারজনকেও আটক করে ডিবি। তাদের মুল উদ্দেশ্যই ছিল গাজীপুরের নির্বাচনকে বিতর্কিত করা। এজন্য তারা বিএনপির অনেক নেতার সাথে কথাও বলেছে। তবে কোন কোন নেতার সাথে কথা বলেছেন মিজান তা তদন্তের স্বার্থে এখনই বলতে রাজি হয়নি ডিবির কর্মকর্তারা। আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড পেলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত বেরহবে বলে জানানো হয়।

গুলশান থানার পুলিশের একজন এসআই নাম প্রকাশ না করার শর্তে সারাবাংলাকে বলেন, মিজানের নির্দেশে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় আক্তার জামান নামে বিএনপির এক ব্যক্তির টিনসেড বাড়িতে বসে ওই চারজন পরিকল্পনা করছিলেন। এ সময় তারা মিজানের সাথে ফোনে কথা বলছিলেন। সেই রেকর্ডও গোয়েন্দা পুলিশ উদ্ধার করেছে। গুলশান-১ এর ৮ নম্বর রোডের ১০ নম্বর বাড়ির ৬০২ নম্বর ফ্লাট থেকে মিজানকে আটকের পর আশুলিয়া থেকে বাকী চারজনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৬ জুন) দুপুরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার দেবদাস ভট্টাচার্য্য সারাবাংলাকে বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আইসিটি অ্যাক্টের ধারায় গুলশান থানায় মামলা দেওয়ার পর বিকেলে আদালতে তোলা হবে।

সারাবাংলা/ইউজে/জেডএফ

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন

আটকের ২৪ ঘণ্টাতেও গ্রেফতার দেখানো হয়নি বিএনপি নেতা মিজানকে

 

 

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন