বিজ্ঞাপন

পারলো না বাংলাদেশ

December 13, 2018 | 6:06 pm

স্পোর্টস ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

বল হাতে আশা জাগিয়েছিলেন আফিফ হোসেন আর নাঈম হাসানরা। তবে সেই আশা অনেকটা একাই শেষ করে দিলেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যান কামিন্দু মেন্ডিস। তার ব্যাটে ভর করেই এসিসি ইমার্জিং এশিয়া কাপে সেমিফাইনালে বাংলাদেশকে ৪ উইকেটে হারিয়ে আসরের ফাইনাল নিশ্চিত করলো লঙ্কানরা।

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) অনূর্ধ্ব-২৩ এই প্রতিযোগিতায় কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩৭ রান তোলে বাংলাদেশ। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪৮.২ ওভারে মাত্র ৬ উইকেট হারিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা।

২৩৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৮৭ রানেই চার উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। তাতে কিছুটা আশা জাগে বাংলাদেশ দলে। তবে লঙ্কানদের হয়ে দলীয় সর্বোচ্চ ৯১ রান করে বাংলাদেশের সেই আশা ভেঙে দিলেন মেন্ডিস। এছাড়াও ওপেনার শাদুন ওয়াকারকোডি ৪৭, শেহান জয়সুরিয়া ৩৯ ও আসেলা গুনারত্নে ২৪ রান করেন।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম। এছাড়াও শফিউল ইসলাম, নাঈম হাসান, আফিফ হোসেন ও তানভীর ইসলাম ১টি করে উইকেট পান।

আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। দলীয় ২ রানেই ব্যক্তিগত ১ রানে ফেরেন ওপেনার জাকির হাসান। এরপর ৪১ রানেই তিনটি উইকেট হারায় লাল-সবুজ জার্সিধারীরা। ব্যক্তিগত ১০ রানে ফেরেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর ৮ রানে ফেরেন অধিনায়ক নুরুল হাসান।

এরপর দলের হাল ধরেন ওপেনার মিজানুর রহমান এবং অলরাউন্ডার মোসাদ্দেক হোসেন। কিন্তু দলীয় ১০৬ রানে ব্যক্তিগত ৩৯ রানে ফেরেন মোসাদ্দেক। এরপর ইয়াসির আলীকে সঙ্গে করে এগুতে থাকেন মিজানুর। দু’জন মিলে ৫২ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ১৫৮ রানে রানআউট হয়ে ফেরেন ৭২ রান করা ওপেনার মিজানুর।

বিজ্ঞাপন

আফিফ হোসেন (১৪) ও নাঈম হাসান (৫) হাসান ফেরেন সাজঘরে। একদিক থেকে হাল ধরা ইয়াসির আলীও ফেরেন ব্যক্তিগত ৬৬ রানে। তাতেই বাংলাদেশের ইনিংস আর বেশিদূর গড়ায়নি। ২৩৭ রান তুলতেই সবকটি উইকেট হারায় টাইগাররা যুবারা।
লঙ্কানদের ছামিকা করুনারত্নে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন। আশিথা ফার্নান্দো নেন ২টি উইকেট। এছাড়াও ১টি করে উইকেট নেন কামিন্দু মেন্ডিস ও শেহান জয়সুরিয়া।

আগামী ১৫ ডিসেম্বর (শনিবার) আসরের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে লঙ্কানরা। কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে আসরের ফাইনাল।

এর আগে গ্রুপ পর্বে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান, আরব আমিরাত এবং হংকং। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৯৭ রানে হেরে বসে জুনিয়র টাইগাররা। পরের দুটি ম্যাচেই টানা জয় তুলে নিয়ে সেমির টিকিট কাটে মোসাদ্দেক সৈকত, নাজমুল শান্ত, নুরুল হাসান সোহান, আফিফ হোসেন, শফিউল ইসলামরা।

নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে ২৮ রানের জয় তুলে নেয় নুরুল হাসান সোহানের দলটি। আর গ্রুপের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে ৮৪ রানে হারিয়ে সেমিতে উঠে জুনিয়র টাইগাররা।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ একাদশ:

নুরুল হাসান সোহান (অধিনায়ক), মিজানুর রহমান, জাকির হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, মোসাদ্দেক হোসেন, নাঈম হাসান, ইয়াসির আলি, আফিফ হোসেন, শফিউল ইসলাম, তানভীর ইসলাম এবং শরিফুল ইসলাম।

শ্রীলঙ্কা একাদশ:

শাম্মু আশান (অধিয়ানায়ক), শেহান জয়সুরিয়া, কামিন্দু মেন্ডিস, আভিশকা ফার্নান্দো, হাসিথা বায়োগোডা, শাদুন ওয়াকারকোডি (উইকেটরক্ষক), আসেলা গুনারত্নে, আশিথা ফার্নান্দো, লাসিথ অ্যাম্বুলডেনিয়া, ছামিকা করুনারত্নে এবং শেহান মাদুশাঙ্কা।

সারাবাংলা/এসএন

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন