বিজ্ঞাপন

সরকারের সদিচ্ছায়ই সম্ভব জামায়াতের বিচার

January 17, 2019 | 11:04 am

।। মোহাম্মদ নূরুল হক ।।

বিজ্ঞাপন

মুক্তিযুদ্ধের সময় বিতর্কিত ভূমিকার অভিযোগে রাজনৈতিক দল-সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচারের দাবি দীর্ঘদিনের। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে যেমন, তেমনি বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবীরাও এই দাবি জানিয়ে আসছেন।

জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে হাইকোর্টে একটি রিট করেন তরিকত ফেডারেশনের তৎকালীন মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ ২৫ জন। ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে দলটির নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।

হাইকোর্টের ওই রায় ঘোষণার পর তৎকালীন আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার রায় দলটির রাজনীতি নিষিদ্ধের ‘আইনি প্রক্রিয়ায় শক্ত ভিত্তি’ হিসেবে কাজ করবে। তবে, এ প্রসঙ্গে ওই সময়ে বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, ইসি রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতকে নিবন্ধন দিয়েছিল। একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসির দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষিত হওয়ায় ইসির অক্ষমতারই প্রকাশ ঘটেছে।

বিজ্ঞাপন

ওই রায়ের পর ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।

এর আগে জামায়াত নেতা গোলাম আযমের মামলার ঘোষিত রায়ের পর্যবেক্ষণে জামায়াতকে ‘ক্রিমিনাল সংগঠন’ বলেও আখ্যায়িত করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বলেন, সংগঠনটির রাজনীতি প্রতারণাপূর্ণ। এখনো বাংলাদেশে জামায়াতের নেতৃত্ব দিচ্ছেন একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধীরা। দলটি স্বাধীনতাবিরোধিতার অবস্থান থেকে সরে আসতে পারেনি। এখনো  তারা বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। ট্রাইব্যুনাল তার পর্যবেক্ষণে সরকারি-বেসরকারি শীর্ষ পদে স্বাধীনতাবিরোধী কোনো ব্যক্তিকে না বসানোসহ সরকারি পদ থেকে ওইসব ব্যক্তিকে সরিয়ে দেওয়ার পক্ষেও অভিমত দিয়েছিলেন।

এদিকে, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হলে এই বিচার-প্রক্রিয়া দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধাপরাধ বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিফেন জে র‌্যাপ পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। তিন দিনের সফর শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আধুনিক অপরাধ আইনে ব্যক্তির বিচার করা হয়ে থাকে, সংগঠনের বিচার করা হয় না। জাতীয় সংহতি সুরক্ষার স্বার্থেও দলের বিচার সমীচীন নয়। তার মতে, একটি রাজনৈতিক দলে হাজার হাজার কর্মী থাকেন। তারা দলকে অপরাধ করার সিদ্ধান্ত দেননি। দলের নেতৃত্ব কিংবা অন্য কোনো পর্যায়ের ব্যক্তিরা অপরাধ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। ব্যক্তিবর্গ অপরাধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই অপরাধ যারা করেছেন, শুধু তাদের বিচার করা উচিত। রাজনৈতিক দলের বিচার করাটা ভবিষ্যতে জাতীয় সংহতির জন্য সহায়ক নয়।’

বিজ্ঞাপন

ওই সময় তার এই মন্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘র‌্যাপের বক্তব্য তার নিজস্ব অভিমত। বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটানোর লক্ষ্যে অবশ্যই যুদ্ধাপরাধী দল হিসেবে জামায়াতের বিচার করা উচিত।’

এত কিছুর পরও মুক্তিযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকার অভিযোগে সংগঠন হিসেবে এখন পর্যন্ত জামায়াতের বিচার শুরু করা হয়নি। কিন্তু কেন শুরু করা যায়নি, তার উত্তর খোঁজার আগে কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করা যাক। এগুলো হলো—

১।  জামায়াত রাজনৈতিক দল না ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’?

২।  অপরাধ প্রমাণিত হলে শাস্তি কী হবে, কার হবে?

বিজ্ঞাপন

৩।  বিচারে জামায়াতের শাস্তি হলে দলটির নেতাকর্মীরা কী করবেন?

৪।  দেশে জামায়াত-শিবিরের একটি ভোটব্যাংক রয়েছে, তার প্রভাব রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে পড়বে কি না?

৫।  জামায়াতের মালিকানায় আর্থিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেগুলোর ভাগ্যে কী ঘটবে?

২০১৩ সালে জামায়াতকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ বলে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া পর্যবেক্ষণের পরই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারপ্রার্থীরা নতুন করে ভাবতে শুরু করেন। সম্প্রতি সেই দাবি আরও জোরালো হয়েছে। হাইকোর্টের রায়ের আলোকে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করার পর জামায়াত কার্যত আর রাজনৈতিক দল নেই। এটি কেবলই একটি সংগঠন। কেমন সংগঠন? এর উত্তরও গোলাম আযমের মামলার পর্যবেক্ষণে ট্রাইব্যুনালই পরিষ্কার করে দিয়েছেন। বলেছেন, জামায়াত ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’। দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী এরই মধ্যে একাধিক সন্ত্রাসী-জঙ্গি সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে ট্রাইব্যুনাল-আখ্যায়িত একটি ‘সন্ত্রাসী সংগঠনকে’ এই মুহূর্তে নিষিদ্ধ করলে কিংবা মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারের মুখোমুখি করলে স্টিফেন জে  র‌্যাপের ‘রাজনৈতিক দলের বিচার করাটা ভবিষ্যতে জাতীয় সংহতির জন্য সহায়ক নয়’ শীর্ষক তত্ত্বও খাটে না। অর্থাৎ, জামায়াতের বর্তমান পরিচয় রাজনৈতিক দল নয়, সন্ত্রাসী সংগঠন মাত্র। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় এই সংগঠনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িত। সঙ্গত কারণে বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে এই ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’টিকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করালে জাতীয় সংহতির ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়ার বিন্দুমাত্র আশঙ্কা নেই। বরং বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কলুষমুক্ত জাতি হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

এর আগে মানবতাবিরোধ অপরাধের দায়ে জামায়াতের শীর্ষ নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, কামারুজ্জামান, মীর কাসেম ও আবদুল কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে। আরও বেশ কয়েকজন জামায়াত নেতার মামলা বিচারাধীন। কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো— মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে সংগঠনটির বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তি কী হবে? কার শাস্তি হিসেবে? সংগঠন পরিচালনার সঙ্গে যুক্তদের, নাকি একাত্তরে যারা এর নেতৃত্বে ছিলেন তাদের? কেবল দল নিষিদ্ধ হবে, না দলের শীর্ষনেতা থেকে শুরু করে পর্ববর্তী সময়ে যারা দলটিতে যোগ দেবেন, তাদেরও বিচারের মুখোমুখি করা হবে, সেই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ সংক্রান্ত আইন সংশোধন করতে হবে।

এরপর যে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে, সেটি হলো—দল বা সংগঠন হিসেবে জামায়াতের বিচার হলে এর নেতাকর্মীদের কী হবে? একাত্তরে যারা বিতর্কিত ভূমিকা পালন করেননি কিংবা যারা পরবর্তী সময়ে এসে জামায়াতে যুক্ত হয়েছেন, তাদের নিয়েও ভাবতে হবে।  কারণ আপাতদৃষ্টিতে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা না করলেও তারা সেই ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ বা দলটিরই নেতাকর্মী। ফলে সংগঠনের শাস্তি হলে আপাতদৃষ্টিতে নিরপরাধ জামায়াত নেতারা নতুন নামে নতুন সংগঠন গড়ে তুলতে পারেন।  এছাড়া তারা চলে যেতে পারেন আন্ডারওয়ার্ল্ডে।  চালাতে পারেন চোরাগোপ্তা হামলা।  প্রশাসনকে ফেলতে পারেন বিপাকে।  সে বিষয়টি সরকারকে আগে থেকেই ভাবতে হবে।  একইসঙ্গে পরবর্তী সম্ভাব্য নেতিবাচক পরিস্থিতি মোকাবিলায়ও প্রস্তুতি নিতে হবে সরকারকে।  কারণ, রাজনৈতিক নেতার কাছে যেমন সহজে জবাবদিহিতা চাওয়া যায়, রাজনৈতিক পরিচয়হীনের কাছে তত সহজে চাওয়া যায় না। তাকে শনাক্ত করাও কঠিন হয়ে পড়ে। এজন্য মানবতাবিরোধী অপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতের শাস্তি যা-ই হোক, সরকারকে কিছু বিষয়ে সুচিন্তিত পদক্ষেপ নিতে হবে।  বিচার-প্রক্রিয়া শেষে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা যেন কোনোভাবেই আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতিতে জড়িয়ে না পড়েন, সে ব্যাপারেও সরকারকে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে।

এদিকে, আওয়ামীবিরোধী শিবিরে আন্দোলন-সংগ্রাম-ভোটের মাঠে জামায়াতের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান রয়েছে।  রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, জামায়াতকে ছাড়া বিএনপি অচল।  আবার সারাদেশে জামায়াতের কিছু জনসমর্থন রয়েছে বলেও কেউ কেউ দাবি করেন।  জামায়াতের যেসব নেতার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে, তাদের সবার বিচার ও বিচারপরবর্তী রায় কার্যকর হয়ে গেলে বাকি নেতাদের যদি ভোটাধিকার থাকে, তাহলে ভোটের মাঠেও তার প্রভাব পড়বে। কিন্তু এর বিপরীতেও যুক্তি আছে। সদ্য অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের একটিতেও জামায়াতের কোনো প্রার্থী জয় লাভ করেননি। এর আগে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রার্থীদের সঙ্গেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দাঁড়িয়েছিলেন জামায়াতের প্রার্থী। ওই নির্বাচনে জামানত হারাতে হয় তাকে। এসব ফলই প্রমাণ দেয়, দেশে সব দলের অংশগ্রহণে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ভোটের মাঠে জামায়াতের তেমন কোনো গুরুত্ব নেই। সংগঠনটি এমনিতেই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।  এর ফলে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় বিতর্কিত ভূমিকার দায়ে জামায়াতে বিচার হলে ভোটের রাজনীতিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্ক্ষা খুবই ক্ষীণ। যে দুয়েকজন বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানাবেন, উপযুক্ত যুক্তি দিয়ে তাদের বোঝাতে পারলে শেষ পর্যন্ত তারাও বিচারের বাস্তবতা মেনে নেবেন। সঙ্গত কারণে ক্ষমতাসীনরা যদি জামায়াতকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করায়, ভোটের বাজারে তাদের বিরুদ্ধে প্রচার-প্রচারণা চালানোর তেমন বড় ধরনের কোনো আশঙ্কা আছে বলে হয় না।

বাকি থাকলো জামায়াত পরিচালিত আর্থিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা। জামায়াতকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করালে এই দল বা সংগঠনটি যেসব আর্থিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে, সেগুলোতে বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা কেউ কেউ করতে পারেন। কারও কারও আশঙ্কা থাকতে পারে, জামায়াতের বিচার-দণ্ড হলে এর আর্থিক-সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোর শীর্ষ পদের ব্যক্তিরা অসন্তুষ্ট হতে পারেন। এতে বিরূপ প্রভাবও পড়তে পারে এসব এসব প্রতিষ্ঠানে। তবে যেটুকু বিরূপ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে, তাও কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

এ কথা বলা অসঙ্গত হবে না— জামায়াত পরিচালিত প্রতিষ্ঠানগুলোয় যে লগ্নি, তা কেবল দলটির নেতাদেরই নয়, এ দেশের জনগণেরও। জনগণের অর্থ-স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্র-সরকারের। সেদিক থেকে বিবেচনা করলে জামায়াতের বিচার-শাস্তির পাশাপাশি দলটির পরিচালিত আর্থিক-সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনায় পরিবর্তন আনতে হবে। আর এই পরিবর্তন অযৌক্তিক কিংবা বেআইনি কিংবা অবাস্তবও নয়। বরং একটি স্বাধীন-সার্বভৌম জাতিকে কালিমামুক্ত করার জন্য ক্ষমতাসীনদের এই দায়িত্বটুকু নিতে হবে।

এখন কেবল দেখতে হবে, মুক্তিযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকার জন্য জামায়াতের বিচারে সরকার কতটা আন্তরিক। জামায়াতের বিচারের ক্ষেত্রে প্রচলিত সাধারণ আইন বা ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্টে কোনো অস্পষ্টতা থাকলে তা সংশোধন করতে তড়িৎ পদক্ষেপ নেওয়া উচিত সরকারের। প্রয়োজনে সংযোজন-বিয়োজন করাও।

অবশ্য জামায়াতের বিচারে টানা দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়া আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে ইতিবাচক দেখা গেলো। গত ৯ জানুয়ারি আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি বলেন, ‘জামায়াতের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনালস) আইন সংশোধনের জন্য আবার উদ্যোগ নিচ্ছে আইন মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা নিয়ে এই আইনের খসড়াটি আবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হবে, যেন মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হয়।’

ইতোপূর্বে উল্লিখিত পাঁচটি বিষয়কে মাথায় রেখে এবং আইনমন্ত্রীর বক্তব্যের আলোকে একথা বলা অসঙ্গত হবে না যে,  মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতার অপরাধে জামায়াতের বিচার এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।  এই জন্য সরকারের সদিচ্ছার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ জরুরি। তবেই জাতির দীর্ঘদিনের ন্যায্য দাবি পূরণে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার আরও একধাপ এগিয়ে যাবে। আর মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতের হাতে সংঘটিত কালিমা থেকে মুক্ত হবে জাতি।

লেখক: বার্তা সম্পাদক, সারাবাংলা ডটনেট

সারাবাংলা/টিআর

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন