বিজ্ঞাপন

ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত প্রণব, ভূপেন ও নানাজি

January 26, 2019 | 2:45 pm

।। আন্তর্জাতিক ডেস্ক ।।

বিজ্ঞাপন

ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা ভারতরত্ন উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জি, সমাজকর্মী নানাজি দেশমুখ (মরণোত্তর) ও আসামের সঙ্গীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকা (মরণোত্তর)। শুক্রবার (২৫ জানুয়ারি) তাদের এই সম্মানে ভূষিত করা হয়। খবর দ্য হিন্দু ও এনডিটিভির।

দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা প্রাপকদের নাম ঘোষণার পর তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

প্রণব মুখার্জিকে নিয়ে মোদি বলেন, প্রণব দা আমাদের সময়ের একজন অসাধারণ রাষ্ট্রনায়ক। তিনি স্বার্থহীন ও ক্লান্তিহীনভাবে কয়েক দশক ধরে জাতির সেবা করে গেছেন। জাতির উন্নতির দিক নির্দেশনায় শক্তিশালী ছাপ রেখে গেছেন। তার জ্ঞান ও বুদ্ধিমত্তাসম ব্যক্তি খুব কমই আছে।

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, সাবেক ভারতীয় প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জির জন্ম পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার মিরাতিতে, ১৯৩৫ সালের ১১ ডিসেম্বর। তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস ও পলিটিক্যাল সায়েন্সের ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর আমলে ১৯৩ সালে প্রথম মন্ত্রিপরিষদে পদ পান প্রণব। কংগ্রেসের হয়ে ১৯৭৫, ১৯৮১, ১৯৯৩ ও ১৯৯৯ সালে রাজ্যসভা নির্বাচনে লড়েন তিনি। প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে প্রণব মুখার্জি বিভিন্ন সময় বাণিজ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের নেতার দায়িত্ব পালন করেছেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালের ২৫ জুলাই থেকে ২০১৭ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত ভারতের ১৩তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

জ্যেষ্ঠ আরএসএস নেতা ও পল্লী উন্নয়ন, কৃষকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা নানাজি দেশমুখকে নিয়ে মোদি বলেন, পল্লী উন্নয়নের ক্ষেত্রে নানাজি দেশমুখের নাক্ষত্রিক অবদান গ্রামে বসবাসকারীদের ক্ষমতায়নের জন্য এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তিনি নম্রতা, অধ্যবসায় ও নিপীড়িতদের প্রতি সেবার অনন্য ব্যক্তিত্ব। তিনি সত্যিকার অর্থেই একজন ভারত রত্ন।

প্রসঙ্গত, নানাজি দেশমুখ ১৯১৬ সালের ১১ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের পরভানি জেলার কাদোলি শহরে এক মারাঠি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে ভারতীয় মুক্তিযোদ্ধা বাল গঙ্গাধর তিলকের আদর্শ তাকে অনুপ্রাণিত করে।
তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক দলের (আরএসএস) সক্রিয় সদস্য ছিলেন। সমাজকর্মী হিসেবে শিক্ষার প্রতি জোর দিয়েছিলেন নানাজি। ১৯৫০ সালে গোরখাপুরে প্রথম সরস্বতী শিশু মন্দির স্থাপন করেন তিনি। ১৯৯৯ সালে তিনি পদ্মভূষণ উপাধিতে ভূষিত হন। ২০১০ সালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বিজ্ঞাপন

ভূপেন হাজারিকাকে নিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের সঙ্গীতকে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় করে তুলেছেন তিনি। শ্রী ভূপেন হাজারিকার গান সকল প্রজন্মের মানুষের কাছে সমাদৃত। তার গান ন্যায়, সংহতি ও ভাতৃত্ববোধের বার্তা ছড়ায়।

প্রসঙ্গত, বিশ্বখ্যাত ভূপেন হাজারিকার জন্ম আসামে, ১৯২৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। তিনি একাধারে গায়ক, গীতিকার ও সুরকার ছিলেন। ১৯৩৯ সালে ১২ বছর বয়স থেকেই গানের জগতে যাত্রা শুরু করেন ভূপেন। অসমীসহ বাংলা ও হিন্দি গানও লিখেছেন ও গেয়েছেন তিনি। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগ দিয়ে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১২ সালে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা পদ্ম ভূষণে ভূষিত হন তিনি। এর আগেই ২০১১ সালের নভেম্বরে ৮৫ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ভূপেন।

সারাবাংলা/আরএ

বিজ্ঞাপন

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন