বিজ্ঞাপন

চলচ্চিত্রাঙ্গনের অবস্থা এমনই হওয়ার কথা ছিল

February 2, 2019 | 11:16 am

প্রতীক আকবর ।।

বিজ্ঞাপন

‘চলচ্চিত্র ব্যবসায় নতুন ধারণা ও নতুন ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিবেশ তৈরি হওয়ার আগে চলচ্চিত্রাঙ্গনের চলমান পরিস্থিতি ধসে পড়তে হবে। আর সেই ধ্বংসস্তুপ থেকে সূচনা হবে নতুন সময়ের চলচ্চিত্র।’– কথাগুলো বলেছিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র পরিচালক তারেক মাসুদ। রেদওয়ান রনি পরিচালিত প্রথম সিনেমা ‘চোরাবালি’র প্রচারণামূলক একটি অনুষ্ঠানে একই কথা বলেছিলেন আরেক খ্যাতিমান চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

অনেক আগে থেকেই কিছু পরিচালক-প্রযোজক এবং কিছু চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বুঝতে পারছিলেন চলচ্চিত্রাঙ্গনে দ্রুতই প্রয়োজন হবে নতুন কিছুর। আর যারা একথা বোঝেননি তারা একবিংশ শতাব্দীতে এসেও নির্মাণ করছেন ধার করা গল্পে মানহীন ছবি। আর এই দুয়ের কারণে সিনেমা ব্যবসায় নেমেছে ধ্বস। বন্ধ হয়ে গেছে সিনেমা হল। তবে সবচেয়ে ক্ষতি হয়েছে বিশ্বাসের। দিনে দিনে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছেন দর্শকরা।

চলচ্চিত্রাঙ্গন খারাপ অবস্থা পার করছে, এই কথা বলেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরাই। গত পাঁচ বছরে দেশের সিনেমা নির্মাণের সংখ্যা ক্রমানুযায়ী কমেছে। বন্ধ হয়ে গেছে পরিচিত ও ঐতিহ্যবাহী অনেক সিনেমা হল। এসব চিত্র চলচ্চিত্রের খারাপ অবস্থাই প্রমাণ করে।

বিজ্ঞাপন

অথচ ভালো গল্প এবং ভালো সিনেমা হলে দর্শকরা যে হুমড়ি খেয়ে সিনেমা দেখতে যায় বা অনেকদিন ধরে সিনেমা হলে কোনো নির্দিষ্ট সিনেমা প্রদর্শন হয়, তার উদাহরণ কিন্তু তৈরি হয়েছে গত দু্ই-তিন বছরে। ‘ঢাকা অ্যাটাক’, ‘আয়নাবাজি’, ‘দেবী’, ‘পোড়ামন ২’, ‘দহন’ সিনেমাগুলো তারই প্রমাণ। ভালো গল্প ও ভালো নির্মাণের সিনেমা দেখার জন্য অপেক্ষা করেন দেশের মানুষ। শিক্ষার্থীরা দেশের ছবি না পেয়ে ঝুঁকছে বিদেশি ছবির দিকে। যে চাকুরিজীবী বা গৃহিনী সারা সপ্তাহ কাজে ব্যস্ত থাকেন, ছুটির দিনে তারাও যেতে চান সিনেমা হলে, ভালো সিনেমা দেখতে। ভালো সিনেমা নির্মিত হলে সেটা উপভোগ করে সব শ্রেণী-পেশার দর্শক। কিন্তু কোথায় সেই ভালো সিনেমা, কোথায় সেই প্রেক্ষাগৃহ?

আর্ট ফিল্ম বা বাণিজ্যিক সিনেমার ভেদাভেদ নয়, সিনেমার গল্প ও নির্মাণ ভালো না হলে কারো ছবিই গ্রহণ করেন না দর্শক। যার প্রমাণ- শাকিব খানের মতো সুপারস্টারের সিনেমাও ফ্লপ হয়। আবার এই সুপারস্টার অভিনীত ভালো নির্মাণের ছবিগুলো হয়েছে ব্যবসাসফল। দেশের প্রেক্ষাগৃহে ‘নবাব’, ‘শিকারি’ ভালো ব্যবসা করলেও, পরের ছবিগুলো কেন আগের মতো ভালো ব্যবসা করতে পারেনি, সেটা সবাই বুঝতেই পারছেন।

ভালো ও নতুন গল্প হলে দর্শকরা মাত হয়ে যেতে পারেন সেই গল্পে। যেমন- ‘ঢাকা অ্যাটাক’ কিংবা ‘আয়নাবাজি’র মতো ছবি হল বিমুখ দর্শকদেরও টেনে এনেছে প্রেক্ষাগৃহে। এমন আরো অনেক ছবি আছে, যেগুলোর জন্য অপেক্ষা করে আছেন দর্শকরা। সাহিত্য, সত্য ঘটনাসহ ভালো গল্পের সিনেমা সবসময়ই পায় দর্শক প্রশংসা। ‘অজ্ঞাতনামা’, ‘খাঁচা’র মতো ছবি চারটি হলে প্রদর্শিত হলেও প্রশংসা পেয়েছে সব মহলের।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি অনেক মহলেই কথা উঠেছে সিনেপ্লেক্স নির্মাণের বা ভালো মানের হল নির্মাণের। তার অন্যতম কারণ নবীন পরিচালকরা নতুন ধরনের গল্প নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করতে চান। আর সেই ছবিগুলো প্রদর্শণের সবচেয়ে ভালো জায়গা সিনেপ্লেক্স। যে ধারণাটা অনেকদিন ধরে চর্চা করে আসছে কলকাতার চলচ্চিত্র শিল্প। একবিংশ শতাব্দীর প্রথম থেকে সেখানকার দেব-জিতের যে দাপট ছিল, তা এখন কমে গেছে অনেকাংশেই। সে তুলনায় গল্পের ছবি নির্মাণ হচ্ছে অনেক। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন সিনেপ্লেক্স। অন্যদিকে বন্ধ হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে সিঙ্গেল স্ক্রিনের।

দেশেও এমন চর্চা শুরু হলে ভালোই হবে বলে মনে করছেন চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা। কিন্তু এই হল পরিচালনা করতে যত সিনেমা দরকার সেই পরিমাণ সিনেমা তৈরি হচ্ছে না এখন। আর তাই স্টার সিনেপ্লেক্স বা ব্লকবাস্টারের জন্য ২০১৫ সালে ৫৫টি, ২০১৬ সালে ৬২টি এবং ২০১৭ সালে ৬৯টি হলিউডের সিনেমা সেন্সর করতে হয়েছে বাংলাদেশ সেন্সর বোর্ডকে। সিনেমার অভাবে শ্যামলী সিনেমা হলও কিছুদিন হলিউডের সিনেমা প্রদর্শন করেছে। আর ঢাকার বাইরে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে অত্যাধুনিক সুবিধা সম্বলিত ‘পিক্স সিনেপ্লেক্স’র কথা যাদের মনে আছে, তারা নিশ্চয়ই এখন আর সেই সিনেপ্লেক্সের খবর জানেন না। ডলবি সাউন্ড সিস্টেম, সম্পূর্ণ থ্রিডি ও ফুল এইচডি ব্যবস্থার হল দুটি এখন শুধুই স্থাপনা।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং দেশবরেণ্য সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু দশম জাতীয় সংসদের সময়কালে সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন ‘হল উন্নয়ন কমিটি’র সদস্য হয়ে। তিনি সারাবাংলাকে জানালেন, একশ সিটের সিনেপ্লেক্স করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই ধরনের একটি কাজ করে (পিক্স সিনেপ্লেক্স) ভালো ফল পাওয়া যায়নি। শুধু তাই নয় সিনেপ্লেক্স নির্মাণ এবং হল উন্নয়নের জন্য ২ শতাংশ হারে ঋন সুবিধা দেয়ার কথা ছিল সরকারের। সেটিরও বাস্তবায়ন হয়নি। তবে তিনি আশা করেন এই সমস্যাগুলো একাদশ জাতীয় সংসদের নতুন তথ্যমন্ত্রী দেখবেন।

নাসিরউদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু প্রেক্ষাগৃহ সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়ে ভালো ছবি নির্মাণের জন্য চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদানের সংখ্যা বাড়ানোর আহ্বান জানান। আর ডিএফপি-কে নবীন পরিচালকদের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করার পরামর্শ দেন।

বিজ্ঞাপন

সময়ের ব্যস্ততম প্রযোজক আবদুল আজিজ। চলচ্চিত্রে রয়েছে অসংখ্য সংকট। চলচ্চিত্র ব্যবসায়ি হিসেবে তিনি প্রায়ই সেই সমস্যার সম্মুখীন হন। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বললেন প্রেক্ষাগৃহের কথা। ‘দেশের তিনশ সংসদীয় আসনে তিনশটি সিনেপ্লক্স হলে চলচ্চিত্রের জন্য ভালো হবে।’ এই বলেই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।

প্রেক্ষাগৃহ সমস্যাকে গুরুত্ব দিয়েছেন আরও দুজন পরিচালক। মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ এবং ফাখরুল আরেফিন খান। রাজ বলেন, ‘নতুন সময়ে আমাদের প্রথমেই দরকার সিনেপ্লেক্স। দ্বিতীয় হলো গল্প।’ অন্যদিকে ফাখরুল আরেফিন খানও সবেচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন প্রেক্ষাগৃহের ওপর। তার মতে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো প্রযুক্তি। আরেফিন বলেন, ‘প্র্রেক্ষাগৃহ আর প্রযুক্তি ঠিক হয়ে গেলে, বাকিগুলো আপনাআপনি দৌঁড়াবে।’

গত তিন বছরের (২০১৫-১৬-১৭) পরিসংখ্যান বলছে, এই সময়ে দেশে পঞ্চাশের বেশি হলিউডের ছবি প্রদর্শিত হয়েছে। এই ব্যাপারটিতে আতংকিত নন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট একটি পক্ষ। বরং তাদের ভয় যৌথ প্রযোজনা এবং আমদানি করা সিনেমা নিয়ে। অথচ বছরে সর্বোচ্চ চার থেকে পাঁচটি যৌথ প্রযোজনার ছবি প্রদর্শিত হয় বাংলাদেশে।

ভয় পাওয়ার অনেক কারণ হয়ত আছে। কিন্তু তাই বলে নিজেদের উন্নত না করে বসে থাকলে তো হবে না। দেশের নবীন প্রযোজক ও পরিচালকরা এমন কথাই জানিয়েছেন তাদের পরামর্শে। ‘নোলক’ সিনেমার প্রযোজক সাকিব সনেট। প্রথমবারের মতো প্রযোজনায় এসেছেন তিনি। জানিয়েছেন চলচ্চিত্র উন্নয়নের জন্য কিছু পরামর্শ। তিনি চলচ্চিত্রের মানুষদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘চলচ্চিত্রের বিপক্ষে রাজনীতি করা বাদ দিয়ে চলচ্চিত্রের পক্ষে রাজনীতি করুন। যার মাধ্যমে সবাই নিশ্চিত করবেন চলচ্চিত্রের গুণগত মান এবং ব্যবসায়িক দিকগুলো।’

উদাহরণ দিয়ে সাকিব সনেট বলেন, ‘গল্প- মৌলিক গল্পের চাহিদা এবং গ্রহণযোগ্যতা সবচেয়ে বেশি। তাই মৌলিক গল্পের ওপর জোর দিতে হবে। অভিনয়শিল্পী- সকল শিল্পীদের উচিৎ কাজ ছাড়া আলোচনায় না থেকে কাজের মাধ্যমে কাজ দিয়ে আলোচনায় থাকা। প্রযুক্তি- আমাদের হাতের নাগালেই পর্যাপ্ত প্রযুক্তি আছে। কিন্তু তা অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে। সেগুলোর পর্যাপ্ত ব্যবহার দরকার। সিনেমা হল- হল মালিকদের উচিত হলগুলো বিনোদনমূলক এবং সম্পূর্ণরূপে বাণিজ্যিক করা। তখনই তারা মুনাফা নিশ্চিত করতে পারবেন। তথ্য মন্ত্রণালয় অর্থাৎ সরকারকে উদ্দেশ্য করে সাকিব চলচ্চিত্র শিল্পকে দেশের অন্যান্য লাভবান শিল্পের মত গড়ে উঠতে সব ধরণের সাহায্য এবং সহযোগিতার আহ্বান জানান।

আরেক নবীন পরিচালক আফজাল হোসাইন মুন্না। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। তার পরামর্শের মধ্যে রয়েছে, ‘ই-টিকেটিং, ফিল্ম রেটিং, শহরগুলোতে সিনেপ্লেক্স, রুফটপ সিনেপ্লেক্স, সিনেপ্লেক্স নির্মাণে ঋণ সুবিধা, প্রতিটি বড় শপিং কমপ্লেক্সে একটা হলেও মিনি হল।’

চলচ্চিত্রে অনুদানের বিষয়ে মুন্না বলেন, ‘একজন পরিচালককে একবারের বেশি অনুদান দেয়া যাবেনা। এছাড়া দেশে অভিনয় ও ফিল্মস্টাডির আন্তর্জাতিক মানের বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন। আর সিনেমা পরিবেশনার সমস্যা কাটাতে সেন্ট্রাল সার্ভার থেকে হলগুলোতে প্রজেকশনের ব্যবস্থা করা উচিত।

দেশের আলোচিত নায়িকা মাহিয়া মাহির পরামর্শ তিনটি। সারাবাংলাকে মাহি বলেন, ‘গল্প নিয়ে কথা বলব না, কারণ সেগুলো পরিচালক-প্রযোজক-গল্পকারের বিষয়। তথ্য মন্ত্রণালয় নির্দিষ্টভাবে যদি প্রথমেই হল সমস্যা নিয়ে কাজ করে তাহলে আরও ভালো হবে। দ্বিতীয়ত হলো ডিসট্রিবিউশন সিস্টেম। আমাদের দেশের সিনেমা পরিবেশনায় একটা সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছে। সরকারিভাবে ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল হলে আর কোনো সমস্যা থাকবে না। আর তৃতীয় হলো পাইরেসি সমস্যার সমাধান।’

এসব দাবি ছাড়াও ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ বাংলাদেশ অনেকদিন ধরে একটি বড় দাবি জানিয়ে আসছে। দেশে একটি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্রর দাবি করে আসছে তারা। যে কেন্দ্র হবে হবে পরিচালক-প্রযোজক এবং দর্শকদের। কলকাতার নন্দন যেমন, ঠিক সেই আদলে একটি ‘জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র প্রয়োজন’। এসব দাবি নিয়ে ২০১৭ সালের ৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র সভা। যেখানে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্রের সব ক্ষেত্রের মানুষ। উপস্থিত ছিলেন তখনকার তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। ‘জাতীয় চলচ্চিত্র কেন্দ্র’ প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আশ্বাসও দিয়েছিলেন তথ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই আশ্বাস আর বাস্তবায়িত হয়নি। সেই সভায় চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডকে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড রূপে গোড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয়েছিল। আর এইসব ব্যাপার মিলিয়ে চলচ্চিত্র নীতিমালা প্রনয়ণেরও দাবি ওঠে সভায়। সেসময় সভায় উপস্থিত থাকা  বাণিজ্যিক সিনেমা ও স্বাধীন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরাও সেসময় ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ বাংলাদেশ-এর এসব দাবির সঙ্গে একমত প্রকাশ করেছিলেন।

এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক এবং চলচ্চিত্র গবেষক ফাহমিদুল হক বলেন,
সমস্যা এবং সমাধানের চেষ্টা মুখে মুখে না করে আর সভার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে কাজের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন জরুরি।প্রেক্ষাগৃহ, সেন্ট্রাল সার্ভার, ই-টিকেটিং, পাইরেসি বন্ধ করাসহ আরও অনেক সমস্যা রাতারাতি সমাধান করা সম্ভব নয়। তবে চলচ্চিত্রাঙ্গনের ব্যবসাটা যেহেতু সিনেমা নিয়ে, তাই সিনেমাটা ভালো করে নির্মাণ করতে হবে সবার আগে। বর্তমানে এত সমস্যার মধ্যেও ভালো গল্পের ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে দর্শকরা সেই ছবি দেখতে যান সদলবলে। আর যখন সমস্যাগুলোর সমাধান হবে তখন নিশ্চয়ই পরিস্থিতি আরও বদলে যাবে। কিন্তু তার জন্য চাই বেশি বিশে ভালো ছবি।

নতুন সময়ে এই বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন অনেকেই। তাই অনেক সমস্যা থাকলেও তার মধ্যেই তৈরি করতে চাচ্ছেন ভালো গল্পের সিনেমা বা সত্য ঘটনা অবলম্বনে সিনেমা। যাদের দক্ষতা আরও বেশি তারা চাচ্ছেন আন্তর্জাতিকমানের সিনেমা নির্মাণ করতে। কারণ তারা বুঝতে পেরেছেন, আগের মতো কাজ করে টিকে থাকা সম্ভব না। আর এই ধারণাটি চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হতো না, যদি চলচ্চিত্রের অবস্থা এতটা খারাপ না হত।

সারাবাংলা/পিএ/পিএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন