দুদক কমিশনার সেজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে চাকরির তদবির, আটক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর কমিশনার সেজে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন দেন লক্ষ্মীপুরের মাহমুদুল হাসান সুমন।  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন তিনি যেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রীকে বলে একজনের চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। তার কথা বার্তায় সন্দেহ হলে বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা তাকে আটক করে।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরীফ মাহমুদ সারাবাংলাকে এ তথ্য জানান।

শরীফ মাহমুদ বলেন, ‘গতকাল একজন দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খান পরিচয় দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করেন। তিনি (মাহমুদুল হাসান সুমন) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করে বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনকে ফোন করে একজনকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের বিষয়ে তদবির করেন।’

শরীফ মাহমুদ আরও বলেন, ‘মোজাম্মেল হক খান এক সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাই তার কণ্ঠ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর চেনা। ওই ব্যক্তির কণ্ঠ মোজাম্মেল হক স্যারের মতো না হওয়ায় তাকে সন্দেহ হয়। সন্দেহ থেকেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবসহ অন্যান্যদের বিষয়টি জানান। সচিব স্যারও কৌশলে ওই ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হন যে তিনি দুদকের কমিশনার নন। পরে মোবাইল নম্বরটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিলে তারা ওই ব্যক্তিকে আটক করে।’

দুপুরের দিকে ওই ব্যক্তিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরে আনা হয় জানিয়ে জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, মো. মাহমুদুল হাসান সুমন নামে তার কাছ থেকে একটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া তার কাছ থেকে একটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘রিগ্যান ইনভেস্টিগেশনস’ নামে একটি সংস্থার বাংলাদেশের প্রধান ইনভেস্টিগেটর হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটর বলে পরিচয়পত্রে উল্লেখ রয়েছে।

তিনি আরও জানান, ফোন করার পর আটক হওয়ার বিষয়টি দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক খানকেও জানানো হয়। মোজাম্মেল হক খানকে দেখানোর জন্য বিকেল ৪টার দিকে ওই ব্যক্তিকে সচিবালয় থেকে দুদকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা/ইউজে/এমআই