বিজ্ঞাপন

এতক্ষণে হাথুরুসিংহে কহিলেন বিষাদে!

February 17, 2018 | 4:43 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

বিজ্ঞাপন

মাত্র বাংলাদেশে এসেছে শ্রীলঙ্কা, প্রথম সংবাদ সম্মেলনে মুখোমুখি চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। বাংলাদেশকে প্রথম প্রতিপক্ষ হিসেবে পাওয়াটা একটা বোনাস কি না, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এমন প্রশ্ন হলো বেশ কয়েক বার। কিন্তু প্রতিবারই হাথুরু প্রশ্নটা ‘ডাক’ করলেন, স্বীকারই করলেন না। মাঠে গিয়ে খেলা যে তার কাজ নয়, সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। অবশেষে সফরের শেষে এসে সত্যিটা স্বীকার করলেন। বাংলাদেশের কোচ হওয়ায় কিছু কৌশলগত ব্যাপারে এগিয়ে ছিলেন, তাও মানলেন।

প্রথম তিন ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ যখন উড়ছিল, এরপর তাদের মাটিতে নামিয়ে নিয়ে এসেছে শ্রীলঙ্কা। ত্রিদেশীয় সিরিজের শেষ দিক থেকেই দেখা গেছে, শর্ট বলে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার বোলাররা। এরপর টেস্ট সিরিজেও সেই ব্যর্থতার পুনরাবৃত্তি। হাথুরুসিংহে মানলেন, এখানে একটু এগিয়ে ছিলেন তিনি।

‘হ্যাঁ, আমার মনে হয় কিছুটা সুবিধা তো পেয়েছিই। আমার বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে নিয়ে আলাদা আলাদা পরিকল্পনা ছিল। আমি জানতাম চাপের মুখে তারা কীভাবে পরিকল্পনা করবে। প্রথম দুই ম্যাচে তারা অনেক তেঁড়েফুড়ে থাকবে, আমি জানতাম। সেটা না হলেই আমি বরং হতাশ হতাম। ওসব আমি মনে রাখিনি। এরপর যেভাবে ফিরতে পেরেছি তাতেই আমি খুশি।’

বিজ্ঞাপন

পুরো সফরটা যে তার জন্য বেশ সন্তুষ্টিজনক, তাও মনে করিয়ে দিলেন হাথুরু, ‘ব্যক্তিগতভাবে এই সফরটা আমার জন্য খুবই তৃপ্তিদায়ক। কিন্তু আমি আবারও বলছি, আমি চাই বাংলাদেশ ভালো করুক। তারা কোন পথে চলছে, আমি সেদিকে দৃষ্টি রাখব।’

কিন্তু বাংলাদেশ কি নিজের ফাঁদেই পা দিয়েছে? শ্রীলঙ্কা কোচ অবশ্য সেরকম কিছু বললেন না। তবে এমন শুরুর পরও যেভাবে হোঁচট খেয়েছে, তাতে তিনি অবাক, ‘আমার মনে হয় না ওরা একদম দিশাহারা হয়ে পড়েছে। তারা কিন্তু শুরুটা খুবই ভালো করেছিল। অন্য দুই দলের সঙ্গে কীভাবে খেলতে হয় তাও তারা দেখিয়েছে। আমার মনে হয় একটা ম্যাচের ব্যর্থতাই তাদের বেশি করে পেয়ে বসেছে। আমি ভাবিনি তারা এরকম দ্রুত ভেঙে পড়বে।’

সারাবাংলা/এএম/এমআরপি

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন