বিজ্ঞাপন

কিছুটা ভড়কে গিয়েছিলেন আবু হায়দার

December 31, 2019 | 6:54 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারাতে শেষ ওভারে জয়ের জন্য কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। ক্রিজের এক প্রান্তে বিস্ফোরক ডেভিড মালান ও অন্য প্রান্তে ছিলেন টেল এন্ডার আবু হায়দার রনি। লিয়াম প্লাংকেটের প্রথম বলটি সিঙ্গেল নিয়ে আবু হায়দারকে স্ট্রাইক দিলেন মালান। স্ট্রাইকে এসেই দ্বিতীয় বলে চার মেরে দিলেন আবু হায়দার। পরের বল বাতাসে ভাসিয়ে পাঠালেন সীমানার বাইরে। চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নিয়ে মালানকে স্ট্রাইক দিলেন।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু মালান পড়লেন রান আউটের ফাঁদে। জয়ের জন্য ১ বলে কুমিল্লার প্রয়োজন তখন ৩ রান। অথচ উইকেটে নেই কোন মারকুটে ব্যাটসম্যান। অপর প্রান্তে আসছিলেন আরেক টেল এন্ডার মুজিব-উর-রহমান। শেষ ডেলিভারিতে তিনি ৩ রান নিতে পারবেন কিনা সেটা ভেবেই ভড়কে গিয়েছিলেন আবু হায়দার।

মুজিব অবশ্য পেরেছেন। প্লাংকেটকে চার মেরে কুমিল্লাকে নাটকীয় জয় উপহার দিয়েছেন এই আফগান অফ স্পিনার। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত পুরো সময়টিই নিরন্তর ভাবনায় কেটেছে আবু হায়দারের।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে জয়ের পর সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি একথা জানালেন।

বিজ্ঞাপন

‘আমার পরিকল্পনা ছিল মালানকে কিভাবে স্ট্রাইক দেওয়া যায়। শেষ ওভারে যখন খেলা চলে এসেছে এক রান দেওয়ার অবস্থা ছিল না। কারণ রান প্রয়োজন ছিল ১৬। আমিও চেষ্টা করেছি মেরে রান নেওয়ার। আসলে ওই সময় সহজ ছিল না। নতুন ব্যাটসম্যান এসে ১ বলে তিন রান করা কঠিন। এই জন্য একটু সমস্যা হয়ে গিয়েছিল।’

বিপিএলের পয়েন্ট টেবিলে কুমিল্লার অবস্থা একেবারেই নড়বড়ে। এই ম্যাচের আগে ৭ ম্যাচ খেলে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ নম্বরে ছিল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। ম্যাচটিতে হেরে গেলে হয়ত এখানেই কুমিল্লার বিদায় ঘণ্টা বেজে যেত। কিন্তু ৩ উইকেটের জয়ে সেই শঙ্কা কিছুটা হলেও দূরিভূত হয়েছে। সঙ্গত কারণেই ম্যাচটিকে গুরুত্বপূর্ণ বলেই আখ্যা দিলেন কুমিল্লার এই বাঁহাতি পেসার।

‘প্লে অফের চিন্তা করলে এই ম্যাচটা আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ এই ম্যাচটা হেরে গেলে আমরা আউট হয়ে যেতাম। এই ম্যাচটি জেতায় আমাদের সুযোগ আছে। বাকি চার ম্যাচের চারটিতেই যদি জিতি বা তিনটায়ও জিতি তাহলে আমাদের জন্য সুযোগ আছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এমআরএফ/এনএ

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন