বিজ্ঞাপন

‘করোনা মোকাবিলায় সরকার-গণমাধ্যম একযোগে কাজ করবে’

March 30, 2020 | 6:11 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকার ও গণমাধ্যম একযোগে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, সরকার ও গণমাধ্যমসহ আমরা সবাই যেন একসঙ্গে কাজ করে এই সংকট থেকে উত্তরণ পেতে পারি, সে আলোচনা হয়েছে। আমরা ঐক্যমতে পৌঁছেছি যে বৈশ্বিক দুর্যোগের এই সময়ে অবশ্যই  আমরা সবাই একযোগে কাজ করব।

সোমবার (৩০ মার্চ) দুপুরে ঢাকায় তথ্যমন্ত্রীর মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে গণমাধ্যম নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এ কথা বলেন।

নিউজপেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) সভাপতি এ কে আজাদ, নির্বাহী সদস্য মতিউর রহমান ও তারিক সুজাত; সম্পাদকীয় পরিষদের সভাপতি মাহফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজাম; অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্সের (অ্যাটকো) সিনিয়র সহসভাপতি ও এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু, অ্যাটকো’র অন্যতম পরিচালক ইকবাল সোবহান  চৌধুরী বৈঠকে যোগ দেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জাহানারা পারভীন এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

করোনা সংকট মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগের কথা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক দুর্যোগের এই সময়ে আমাদের দেশও করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকেনি। এই প্রেক্ষাপটে সংবাদপত্র ও টেলিভিশন মালিক, সম্পাদকীয় পরিষদ ও এডিটরস গিল্ড নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ দুর্যোগ মোকাবিলায় মানুষকে অবহিত ও সতর্ক করা, সঠিক চিত্র তুলে ধরা ও সার্বিকভাবে গণমাধ্যমের ভূমিকা ব্যাপক। তাই তাদের সঙ্গে নিয়ে সরকার একযোগে এই দুর্যোগ মোকাবিলায় কাজ করবে।

গুজব ও বিভ্রান্তির তথ্য ছড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগেও আমরা দেখেছি, এমন দুর্যোগের সময়ে নানা ধরনের গুজব রটানো হয়। মানুষকে আতঙ্কিত করে তুলতে কিছু অনলাইন পোর্টাল ভুয়া সংবাদ পরিবেশন করে। এসব গুজব ও মিথ্যা সংবাদের বিরুদ্ধে আমাদের মূলধারার গণমাধ্যমগুলো ভূমিকা রাখতে পারে এবং রাখছে। সরকারও তাদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিচ্ছে। একইসঙ্গে এ ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে কিভাবে আরও জোরালো ভূমিকা রাখা যায়, সে বিষয়ে আমরা মূলধারার গণমাধ্যমের সহযোগিতা চেয়েছি। আমরা সবাই একমত হয়েছি, জনগণকে আতঙ্কিত করা কোনোভাবেই সমীচীন নয়।

বিজ্ঞাপন

করোনা পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমে সৃষ্ট সমস্যাকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় এনে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই সংকটময় সময়ে সংবাদপত্র ও টেলিভিশনও নানা সংকটের মুখোমুখি হয়েছে। বিশেষ করে সংবাদপত্রের সার্কুলেশন কমে গেছে, কোনোটা অর্ধেকে নেমে এসেছে, কোনোটা আরও কমে গেছে। হকারেরা ও সংবাদপত্রে যারা দৈনিকভিত্তিতে কাজ করেন, তারা নানা সমস্যায় পড়েছেন। টেলিভিশনেও কিছু সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা মোকাবিলায় সরকারের পক্ষ থেকে কী কী করা যায়, তাদের পাওনা বিলগুলো যেন আমরা তাড়াতাড়ি দিতে পারি— এসব বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

বৈঠক শেষে সম্পাদকীয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নঈম নিজাম বলেন, বিশ্বব্যাপী সংকটের সময়ও গণমাধ্যম ইতিবাচক ভূমিকা অব্যাহত রাখে এবং রাখবে। সংবাদপত্র শিল্পের স্বার্থে সরকারের বিভিন্ন দফতরে পত্রিকাগুলোর পাওনা বিলগুলো দ্রুত পরিশোধের অনুরোধ জানান তিনি।

সাংবাদিকরা এই সংকটের সময়েও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন উল্লেখ করে অ্যাটকো সহসভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু আগামী পাঁচ মাসের জন্য অ্যাটকোকে একটি থোক বরাদ্দ দেওয়ার অনুরোধ জানান। তিনিও সরকারের কাছে টিভিগুলোর পাওনা বিজ্ঞাপন বিল দ্রুত পরিশোধের অনুরোধ জানান। গুজব প্রতিরোধে মূলধারার গণমাধ্যম দৃঢ় ভূমিকা রাখবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআেইএল/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন