বিজ্ঞাপন

ডিএনসিসির চিরুনি অভিযানে ১৩১ বাড়িতে মিললো এডিসের লার্ভা

June 6, 2020 | 6:23 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে দ্বিতীয় দফায় চিরুনি অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানে প্রথম দিনে ১৩১টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিসের লার্ভা পেয়েছে আভিযানিক দল। এসবের দায়ে ৮ বাড়ির মালিককে ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৬ জুন) সকাল ১০টা থেকে ডিএনসিসির সকল ওয়ার্ডে (৫৪টি) একযোগে পরিচালিত বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে (চিরুনি অভিযান) এসব লার্ভার সন্ধান পায় ডিএনসিসি। বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে ডিএনসিসির জনসংযোগ বিভাগ।

অভিযানের প্রথম দিনে ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ১১ হাজার ৯৬৯ টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ১৩১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৮ হাজার ৩৮০টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৮টি বাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনের মালিকের কাছ থেকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মোট ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অন্যান্য বাড়ি ও স্থাপনার মালিককে সতর্ক করা হয়।

লার্ভা পাওয়া স্থানগুলো হচ্ছে পরিত্যক্ত টায়ার, বালতি, ফুলের টব, বোতল, পানির মিটার, গ্যারেজ, পানির হাউজ, মাটির পাত্র, ভাঙ্গা মগ, বাড়ির মেঝে, পানির ট্যাংক, প্লাস্টিকের পাত্র, ছাদের ড্রেন, দইয়ের পাত্র, পরিত্যক্ত কমোড, ডাবের খোসা, ভাঙা পাতিল, বেইজমেন্ট, দুই বাড়ির মধ্যবর্তী স্থান ইত্যাদি।

বিজ্ঞাপন

১০ দিনব্যাপী এ অভিযান শুক্রবার ব্যতিত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরিচালিত হবে। চিরুনি অভিযান পরিচালনার উদ্দেশে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। আবার প্রতিটি সেক্টরকে ১০টি সাবসেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের ১টি সেক্টরে অর্থ্যাৎ ১০টি সাবসেক্টরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। এভাবে আগামী ১০দিনে সমগ্র ডিএনসিসিতে চিরুনি অভিযান সম্পন্ন করা হবে।

শনিবার চিরুনি অভিযানে উত্তরা অঞ্চলে মোট ৫৯২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়।

মিরপুর-২ অঞ্চলে মোট ২ হাজার ৩৯৮টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। ৯টির মালিককে মোট ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মহাখালী অঞ্চলে মোট ১ হাজার ৫৭৪টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ২৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলাম এসময়ে ৫টি মামলায় মোট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।

মিরপুর-১০ অঞ্চলে মোট ১ হাজার ১৪৭টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে।

কারওয়ান বাজার অঞ্চলে মোট ২ হাজার ৯৯টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়।

হরিরামপুর অঞ্চলে মোট ১ হাজার ৬৮৩টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ২৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

দক্ষিণখান অঞ্চলে মোট ১ হাজার ২৩৬টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে।

উত্তরখান অঞ্চলে ৯০০টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে।

ভাটারা অঞ্চলে মোট ৩২২টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে।

সাতারকুল অঞ্চলে ১৮টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে কোন এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। তবে সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে কীটনাশক ছিটানো হয়েছে।

অভিযান চলাকালে সকল এলাকাতেই এলাকাবাসীকে এডিস মশার বিস্তার রোধে সচেতন করা হয় এবং জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধানসহ সকলকে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার পরামর্শ প্রদান করা হয়। সেই সঙ্গে চিহ্নিত বাড়ি ও স্থাপনায় স্টিকার লাগিয়ে সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়েছে।

সারাবাংলা/এসএইচ/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন