বিজ্ঞাপন

বাধনের মায়ের চিকিৎসায় এক লাখ টাকা সাহায্য ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর

June 16, 2020 | 7:10 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

গত মে মাসের ২৯ তারিখ দেশের বয়সভিত্তিক জাতীয় ফুটবল দলে খেলা উদীয়মান ফুটবলার জাহিদ আহসান বাধনের মাকে বাঁচানোর আকুতির কথা প্রকাশ পায় সারাবাংলায়। অবশেষে দেখা মিলল সাহায্যের। জাহিদ আহসান বাধনকে নিয়ে সারাবাংলার সংবাদটি নজর এড়ায়নি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের।। বাধনকে করা বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদের পর এই ফুটবলারের মায়ের চিকিৎসারয় আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

বিজ্ঞাপন

মায়ের চিকিৎসা বাবদ আজ মঙ্গলবার (১৬ জুন) বাধনের হাতে এক লাখ টাকার চেক তুলে দেন দেশের ক্রীড়ার এই অভিভাবক।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সব সময়ই চেষ্টা করি আমাদের খেলোয়াড়দের পাশে থাকতে। আর আমি যখন জানতে পারলাম আমাদের একজন উদীয়মনা খেলোয়াড়ের মায়ের দু’টি কিডনিই নষ্ট হয়ে গেছে তাৎক্ষণিকভাবেই আমি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। আর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এই এক লাখ টাকার সহযোগিতা দেই।’

বিজ্ঞাপন

বাধনের মায়ের চিকিৎসার জন্য অর্থ প্রদান করে, এই বিপদের সময়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে ভালো লাগছে বলেও জানান জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। তিনি আরও বলেন, ‘তাদের সাহায্য করতে পেরে আমার অনেক ভালো লাগছে। ইন শাহ্‌ আল্লাহ্‌ ভবিষ্যতেও কোনো খেলোয়াড় বা তাদের পরিবার কোনো সমস্যায় পড়লে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের পাশে দাঁড়াব আমরা।’

কেবল জাহিদ আহসান বাধনের পাশেই নয়, কোভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সকল খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়িয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। খেলোয়াড়দের আর্থিক সাহায্য প্রদান করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

এ ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে যেসকল খেলোয়াড়রা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের সাহায্যের জন্য আমরা ইতোমধ্যেই এক হাজার ক্রীড়াবিদকে এক কোটি টাকার সহযোগিতা প্রদান করেছি। এছাড়াও আমরা আরও প্রায় ৩ কোটি টাকা তাদের জন্য বরাদ্দ দিয়েছি। আমরা আশা করি সারা বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে এই সহযোগিতা পৌছাতে পারব।’

বিজ্ঞাপন

মায়ের স্বপ্ন ছেলে বড় ফুটবলার হবে। সেই পথেই এগোচ্ছেন বাধন। ময়মনসিংহের জেলা ফুটবলে শুরু করে ফার্স্ট ডিভিশন খেলে যাচ্ছেন এই উদীয়মান ফুটবলার। মাঝে ২০১৫ সালে অনূর্ধ্ব জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্পে ডাক পেয়েছিলেন। সেই দলের সতীর্থ রাকিব হাসান এখন সিনিয়র জাতীয় দলের পরিচিত মুখ। বাধনের ইচ্ছাটাও সেরকম। তবে তার আগে মাকে বাঁচানোই যেন একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বাধনের।

সারাবাংলা/এসএস

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন