বিজ্ঞাপন

‘সংকট সমাধানে রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে হবে’

August 25, 2020 | 11:29 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: রোহিঙ্গা সংকট একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা। এই সংকটের কারণে বিশ্ব মারাত্মকভাবে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছে। চলমান এই সংকট সমাধানের জন্য মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ তৈরি করতে হবে, যেন রাখাইনে নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে এবং রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে মিয়ানমার বাধ্য হয়। আর বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে হবে। সেটা করতে গেলে সব রোহিঙ্গার সমন্বয়ে সামিট আয়োজন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

রোহিঙ্গা ঢলের তিন বছর পূর্তিতে নিপীড়িত এই জনগোষ্ঠীর অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দুই দিনব্যাপী ভার্চুয়াল সম্মেলনের প্রথম দিন মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বক্তারা এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজ, অ্যাকশন এইড এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড স্টাডিজ দুই দিনব্যাপী এই ভার্চুয়াল সম্মেলনের আয়োজন করেছে।

সম্মেলনের আলোচনায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড স্টাডিজের অধ্যাপক মনজুর হাসান বলেন, রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধান জরুরি হয়ে পরেছে। তা না হলে বিশ্বকে নিরাপত্তাসহ নানাবিধ সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। একটি জনগোষ্ঠীকে এভাবে নিশ্চিহ্ন করার পেছনে যারা কাজ করছেন, তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমদ বলেন, গত কয়েক দশক ধরেই রাখাইনে গোপনে রোহিঙ্গা গণহত্যা চলছিল। কিন্তু ২০১৭ সালে এমন বর্বর ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। মিয়ানমার ও মিয়ানমারের বাইরে সব রোহিঙ্গাই তাদের নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কণ্ঠস্বরকে তুলে ধরতে হবে। তাই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা রোহিঙ্গাদের নিয়ে সামিট করতে হবে। যেখানে তারা তাদের বঞ্চনার কথা ও অধিকার ফিরে পাওয়ার কথা তুলে ধরবেন।

বিজ্ঞাপন

পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তাদের বসত-ভিটায় ফিরতেই হবে। বাংলাদেশ মানবিক কারণে এই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু তাদের নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপ বাড়াতে হবে, যেন তারা রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিয়ে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়। রাখাইনে নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠাতেও মিয়ানমারকে বাধ্য করতে হবে। নিরাপদ অঞ্চল মনিটরিংয়ের জন্য নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআইএল/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন