বিজ্ঞাপন

লাউয়াছড়ায় গাছ পাচার, অভিযোগ বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধেই

October 25, 2020 | 3:55 pm

হৃদয় দেবনাথ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

মৌলভীবাজার: লাউয়াছড়ার জাতীয় উদ্যান ও কলাছড়া থেকে গাছ চুরির ঘটনায় বন কর্মকর্তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃতি ও সংরক্ষণ বিভাগের শ্রীমঙ্গল রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেন যোগদানের পরই লাউয়াছড়ায় গাছ চুরির ঘটনা বেড়ে গেছে বলে স্থানীয়দের দাবি। সম্প্রতি লাউয়াছড়া থেকে মূল্যবান ১৭১টি গাছ পাচারের ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনাটি তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিজ্ঞাপন

বনবিভাগের উর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, লাউয়াছড়া থেকে গাছ পাচারের ঘটনায় ইতোমধ্যে দুইজন কর্মকর্তাকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানা যাবে বলেও জানান তিনি।

এ ঘটনায় বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজারের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, গাছ পাচারের ঘটনায় ইতোমধ্যে বন বিভাগের দুইজন এসিএফকে ঘটনা তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্তের পর লাউয়াছড়া থেকে গাছ পাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে বনবিভাগের কর্মকর্তার যোগসাজসে লাউয়াছড়া এবং কালাছড়া বিট থেকে গাছ পাচারের ঘটনায় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সিলেট বিভাগের সমন্বয়ক আব্দুল করিম সারাবাংলাকে বলেন, বন বিভাগের অসাধু ব্যক্তিদের সরাসরি সহযোগিতায় বনের গাছ কেটে পাচার হচ্ছে। যা সবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এতেই প্রমাণিত হয় লাউয়াছড়া ও  কালাছড়া বন রক্ষায় বনবিভাগ সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। কাজেই, দেশের অন্যতম রিজার্ভ ফরেস্ট এই দুটি বনকে রক্ষা করতে হলে শুধু বনবিভাগের ওপর আস্থা না রেখে সরকারের উচিত বিশেষ নজর রাখা।

উল্লেখ্য, লাউয়াছড়ায় গাছ কাটতে এসে প্রতিবেদকের নজরে পড়েন এক ব্যক্তি। আলাপচারিতায় তিনি নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করেন। এই প্রতিবেদক তখন প্রকৃতি ও সংরক্ষণ বিভাগের লাউয়াছড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোনায়েম হোসেনকে বিষয়টি জানান। গাছ উদ্ধার করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলে প্রতিবেদককে জানালেও পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাছ উদ্ধার তো নয়ই; এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই নেননি বনবিভাগের এই কর্মকর্তা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিসি

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন