বিজ্ঞাপন

আবরার হত্যা: উচ্চ আদালতের আদেশ দাখিল ২২ ডিসেম্বর

December 6, 2020 | 3:26 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালত বদলি বিষয়ক উচ্চ আদালতের আদেশ দাখিলের জন্য আগামী ২২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৬ ডিসেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ আদেশ দেন।

গত ৩ ডিসেম্বর কারাগারে থাকা ২২ আসামির আইনজীবীরা অনাস্থা প্রদান করে একটি আবেদন জমা দেন৷ আজ রোববার ওই অনাস্থার আবেদনের ওপর শুনানি হয়। শুনানিতে আইনজীবীরা বলেন, পূর্বে জবানবন্দি ও জেরা হয়ে যাওয়া সাক্ষী সিআইডির এসআই রকিবুল হাসানকে রি-কল ছাড়াই আইন বর্হিভূতভাবে পুনরায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে।

এছাড়াও সাক্ষীদের জবানবন্দির পর জেরায় আইনজীবীদের প্রশ্ন হুবুহু রেকর্ড হয়নি। এ আদালতের নিরপেক্ষতা ও ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে আসামিদের আত্মীয়-স্বজন আশঙ্কা করেছেন। তাই এ আদালত পরিবর্তনের জন্য আমরা উচ্চ আদালতে আবেদন করবো। এমতাবস্থায় উচ্চ আদালতে আবেদনের জন্য মামলার কার্যক্রম মূলতবি রাখা প্রয়োজন। শুনানি শেষে বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত উচ্চ আদালতের আদেশ দাখিল পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম মূলতবি করেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগে গত ৩ ডিসেম্বর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অনাস্থা আবেদন উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার আইন বর্হিভূতভাবে মামলার ৩৩ নং সাক্ষী সিআইডির এসআই রকিবুল হাসানের জবানবন্দি গ্রহণ করায় আদালতের নিরপেক্ষতা ও ন্যায় বিচারের বিষয়ে আশঙ্কা রয়েছে। অন্য আদালতে মামলাটি বদলীর জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে। এমতাবস্থায় মামলার বিচারকাজ মূলতবি রাখার আবেদন করেন আইনজীবীরা। সাক্ষীদের জবানবন্দির পর জেরায় আইনজীবীদের প্রশ্ন হুবহু রেকর্ড হয়নি বলে আবেদনে উল্লেখ করা হয়।

এ নিয়ে মামলাটিতে ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। গত ১৩ জানুয়ারি আবরার হত্যা মামলার নথিটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত। এরপর মহানগর দায়রা জজ আদালত দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ পাঠানোর আদেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি আদালতে জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।

অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি ১৯ জন। এছাড়া তদন্তে আরও ছয় জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এর মধ্যে ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিন জন পলাতক রয়েছে। তাদের মধ্যে আট জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, শিবির সন্দেহে তাকে ডেকে নিয়ে বন্ধ ঘরে পিটিয়ে মেরেছেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এআই/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন