বিজ্ঞাপন

`৭৫ এর ঘাতকরা শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়’

March 8, 2021 | 10:55 pm

১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘাতকরা বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত উপ-মহা পরিদর্শক আব্দুল কাহার আকন্দ। তিনি ৫ আগষ্ট ও ২১ আগষ্টসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন। এমনকি তারা মনে করেন- শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে সেটা সম্ভব হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্ত : অর্জিত অভিজ্ঞতা বিনিময়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় আব্দুল কাহার আকন্দ এসব কথা বলেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সোমবার (৮ মার্চ) গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিবি ফাউন্ডেশন’র উদ্যোগে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বিবি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বাহাদুর বেপারী।

আব্দুল কাহার আকন্দ দীর্ঘ আলোচনায় বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, অভিন্ন উদ্দেশ্যে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। সেই একই ধারাবাহিকতায় ঘাতকরা শেখ হাসিনাকেও হত্যা করতে চায়। আমাদের ঘরে-বাইরে সব সময় সতর্ক থাকতে হবে। এরা দেশ, জাতি, মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস বিরোধী শক্তি।

এ সময় আব্দুল কাহার আকন্দ বঙ্গবন্ধু হত্যার তদন্তের নানা প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ২২ বছর পর এই মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে। এই মামলায় কোনো রেকর্ড ছিল না। এমনকি এই হত্যাকাণ্ডের কোনো মামলাও ছিল না। তাই জেল হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়েই বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার কিছু বিষয় জানা যায়।

বিজ্ঞাপন

আব্দুল কাহার আকন্দ প্রশ্ন রেখে বলেন, তাকেই কেন এসব মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হলো? আরও তো অনেক পুলিশ কর্মকর্তা ছিল। মানুষের কর্মকাণ্ড থেকে অনেক কিছু প্রকাশ পায়। আমার চাকরি জীবনের কর্মকাণ্ড থেকেও হয়তো কিছু প্রকাশ পেয়েছিল। এক পুলিশ কর্মকর্তা তো মামলার তদন্ত করার কথা বলায় অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছিলেন। আবার হাইকোর্টে বিচারকরাও বঙ্গবন্ধু হত্যার মামলার শুনানি করতে বিব্রতবোধ করেছিলেন। তাদের আইনে বিব্রত হওয়ার সুযোগ আছে। তাই হয়তো সেই সুযোগ তারা নিয়েছেন। কিন্তু জাতির পিতার মামলায় ব্রিবত হওয়াটা কতটা যৌক্তিক- সেটা একটা প্রশ্ন হতে পারে।

মামলার তদন্ত করতে গিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে উল্লেখ করে আব্দুল কাহার আকন্দ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড এমন কোনো বিষয় নয় যে, পাঁচ-সাতজন মিলে চিন্তা করলেন আর মেরে ফেললেন। যেমনি স্বাধীনতা শব্দটি হুট করে আসেনি, তেমনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডও সাধারণ কোনো পরিকল্পনায় হয়নি। স্বাধীনতার আগে থেকেই তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার মাধ্যমেই তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল। কারণ তিনি বড়লোকদের রাজনীতি করতেন না, তিনি রাজনীতি করতেন সাধারণ মানুষের জন্য। বঙ্গবন্ধু হত্যার ধারাবাহিকতায় জেল হত্যার ঘটনা ঘটানো হয়। একইভাবে ২১ আগষ্ট হামলার ঘটনা ঘটানো হয়।

এই সভায় বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শেখ মসলিশ ফুয়াদ অংশগ্রহণ করেন। আর সাংবাদিক নজরুল ইশতিয়াক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

বিজ্ঞাপন

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন