বিজ্ঞাপন

‘দেশে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা যাচাইয়ে গবেষণা প্রয়োজন’

March 9, 2021 | 10:41 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, দেশে জাতীয়ভাবে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি চলছে। ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা যাচাইয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন। এছাড়া যাদের শরীরে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হচ্ছে তার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে কি না তাও জানা দরকার। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করতে চাই।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৮ মার্চ) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ‘করোনার এক বছরে বাংলাদেশ : সফলতা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। এতে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএইচআরএফ) আয়োজনে ও বিএসএমএমইউ’র সহযোগিতায় এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বিএইচআরএফের সভাপতি তৌফিক মারুফ ও এই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএইচআরএসের সহ-সভাপতি জান্নাতুল বাকিয়া কেকা।

আলোচনা সভার শুরুতেই মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মিডিয়া সেলের প্রধান অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির বিরুদ্ধে সারা বিশ্ব কিন্তু বিপর্যস্ত ছিল। আমেরিকার মতন সম্পদশালী দেশও কিন্তু হতচকিত হয়েছিল। কারণ চিকিৎসার গাইডলাইনও ছিল না তখন। অনেক দ্রুত পরিবর্তন হয়েছে চিকিৎসার গাইডলাইন। প্রথমদিকে আমাদের হাই ফ্লো ন্যাজাল কেনোলা নিয়ে কোনো ধারণা ছিল না। আমাদের বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা থাকার পরেও আমরা কাজ করে গেছি। এপ্রিল-মে মাসের দিকে সারা বিশ্বে লকডাউন ছিল। দেশে যখন কিছু হবে তখন বিএসএমএমইউ পিছ পা হয়ে থাকতে পারে না। সময়ের উপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা নিয়ে আমাদেরও ঝাঁপিয়ে পড়তে হয়।

তিনি বলেন, সরকারকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অসুবিধায় পরতে হয়েছিল শুরুর দিকে। নানা রকম আলোচনা-সমালোচনা আমরাও করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে আমার মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে সকল চিকিৎসক ও ফ্রন্টলাইনারদের সহযোগিতায় আমরা সফল হয়েছি বলে মনে করি ব্যক্তিগতভাবে। এখানে সকলেরই অবদান আছে। যারা সেসময় বিভিন্ন ভাবে চিকিৎসকদের নিগৃহীত করার চেষ্টা করেছিল তারাও আসলে বিভ্রান্ত ছিল।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের সকলকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে কিছু কাজ আমাদের এখনো করা দরকার। আমাদের গবেষণা করা দরকার। ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা যাচাইয়ে গবেষণা প্রয়োজন। কারণ কোভিড-১৯ একটি নটরিয়াস ভাইরাস। এটা মিউটেশন হয়েছে অনেকবার। আমাদের দেশের স্ট্রেইনগুলো শনাক্ত করা প্রয়োজন। সেজন্য গবেষণা করা প্রয়োজন। পোস্ট কোভিড রোগীদের নিয়েও গবেষণা করা প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, আমরা বিএসএমএমইউতে বিভিন্ন গবেষণা করার জন্য আগ্রহী। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বমানের গবেষণাকেন্দ্র হিসেবে তৈরি করতে চাই। এজন্য আমরা দিনরাত নিরলস ভাবে কাজ করছি। এজন্য একটি ফান্ড দরকার, সেই ফান্ডের ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে। আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে, যেভাবে কাজ করে করোনাকে দমন করতে পেরেছি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে নারী দিবস উপলক্ষে বিএইচআরএফের নারী সদস্যদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন— সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আফম রুহুল হক, বিএসএমএমইউর সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিন, স্বাচিপ সভাপতি ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বিএমএ মহাসচিব ডা. এহতেসামুল হক, ডা. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ’সহ অন্যান্যরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/এনএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন