বিজ্ঞাপন

মার্চের রফতানি আয় ‘ইতিবাচক’

April 6, 2021 | 7:52 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেই গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে সদ্য শেষ হওয়া মার্চে রফতানি আয় বেড়েছে ১২ শতাংশ। চলতি বছরের মার্চে ৩০৭ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালের মার্চ মাসেই দেশের রফতানি আয়ে প্রথম করোনার ধাক্কা লাগে। ওই মাসে ২৭৩ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি হয়।

বিজ্ঞাপন

২০২০ সালের মার্চে আগের বছর ২০১৯-এর তুলনায় রফতানি কমেছিল ১৮ শতাংশের বেশি৷ বিশ্লেষণ বলছে, চলতি অর্থবছরের মার্চে দেশের রফিতানি আয়ে ইতিবাচক ধারা ছিল।

মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রফতানি আয়ের সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করেছে। হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে, অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) পণ্য রফতানি আয়ে বাংলাদেশ আগের একই সময়ের চেয়ে সামান্য পিছিয়ে রয়েছে। এই সময়ে বাংলাদেশ পণ্য রফতানি করে ২ হাজার ৮৯৩ কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার আয় করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দশমিক ১২ শতাংশ কম।

বিজ্ঞাপন

গত বছরের শুরুতে চীন থেকে সারাবিশ্বে করোনা মহামারি ছড়িয়ে পড়ার পর মার্চে তা বাংলাদেশের রফতানি খাতকেও আক্রান্ত করে। তখন একের পর এক ক্রয়াদেশ বাতিল হচ্ছিল; নতুন ক্রয়াদেশ বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। এমনকি রফতানির জন্য প্রস্তুতি পণ্যগুলোও জাহাজিকরণ স্থগিত করেছিল বিদেশি ক্রেতারা। এক বছর পর আবারও বাড়তে শুরু করেছে মহামারির বিস্তার ও মৃত্যুহার। মার্চে পণ্য রফতানির চিত্র ঘুরে দাঁড়ালেও তা দেশের মাসিক লক্ষ্য থেকে ১০ দশমিক ৭৯ শতাংশ পিছিয়ে আছে। এই মাসে ৩৪৪ কোটি ডলারের পণ্য রফতানির পরিকল্পনা ছিল। আবার নয় মাসে পণ্য রফতানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে পিছিয়ে আছে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এ সময়ে রফতনির লক্ষ্য ছিল ৩ হাজার কোটি ডলার সমমূল্যের পণ্য। চলতি অর্থবছরে ৪ হাজার ১০০ কোটি ডলারের পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছিল সরকার।

ইপিবির তথ্য বলছে, পোশাক খাতের নীটপণ্য রফতানির ধারাবাহিক উন্নতি রফতানি খাতের ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে। তবে প্রধান রফতানি পণ্য ওভেনপণ্য আগের মতোই নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। নয় মাসে ১ হাজার ২৬৫ কোটি ডলারের নিটপণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ১৯৫ কোটি ডলার। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ঠিক ফেব্রুয়ারি মাসেও নিট পণ্যে ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছিল। একই সময়ে ওভেন পণ্য রফতানি হয়েছে ১ হাজার ৮৩ কোটি ডলারের, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৮৩ শতাংশ কম। পোশাক শিল্পের বাইরে পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বেশ ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। টাকার অংকে এসব পণ্য রফতানির আকার কম হলেও প্রবৃদ্ধিতে বেশ এগিয়ে আছে পাটপণ্য ও হোম টেক্সটাইল। মার্চ মাস শেষে ৯৫ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৭৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ বার্ষিক হিসাবে ২২ শতাংশ এবং লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে এই খাতে।

একইভাবে হোম টেক্সটাইল পণ্য রফতানি হয়েছে ৮৪ কোটি ডলারের যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি হয়েছিল মাত্র ৫৯ কেটি ডলারের হোম টেক্সটাইল। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রফতানি পণ্য। তবে এই সময়ের মধ্যে চামড়াজাত পণ্য খুব একটা প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারেনি। এই সময়ের মধ্যে মাত্র ৬৭ কোটি ডলারের চামড়াজাত পণ্য রফতানির টার্গেট নিয়ে ৬৮ কোটি কোটি ডলারের পণ্য রফতানির সাফল্য পাওয়া গেছে। তবে এই অংক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে শূন্য দশমিক ৫৩ শতাংশ কম।

বিজ্ঞাপন

এদিকে অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২৩ শতাংশ। প্রথম নয় মাসে রফতানির লক্ষ্য ছিল ৮৬ কোটি ডলার৷ তবে একই সময়ে রফতানি হয়েছে ৯৫ কোটি ডলারের বেশি।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমআই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন