বিজ্ঞাপন

নথি গায়েবের ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

November 2, 2021 | 10:56 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, মন্ত্রণালয় থেকে নথি গায়েবের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ব্যাপারে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে মন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

জাহিদ মালেক বলেন, এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। তদন্তের পর যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তা নেওয়া হবে।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের ২৯ নম্বর কক্ষ থেকে ১৭ নথি হারানোর কথা জানিয়ে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের উপসচিব (প্রকল্প বাস্তবায়ন-১ শাখা) এবং অতিরিক্ত দায়িত্ব (ক্রয় ও সংগ্রহ-২) নাদিরা হায়দার। এই ১৭ নথি ছিল স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) শাহাদৎ হোসাইনের কক্ষের পাশের কক্ষের কেবিনেটে। এই কক্ষটিতে বসেন স্বাস্থ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ক্রয় ও সংগ্রহ শাখা-২-এর সাঁট মুদ্রাক্ষরিক ও কম্পিউটার অপারেটর মো. জোসেফ সরদার ও আয়েশা সিদ্দিকা। গায়েব হওয়া নথিগুলো এই দুই কর্মীর কেবিনেটেই ছিল যার চাবি তাদের কাছেই থাকতো।

বিজ্ঞাপন

জিডিতে বলা হয়, চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের ক্রয়সংক্রান্ত শাখা-২ এর কম্পিউটার অপারেটর জোশেফ সরদার ও আয়েশা বুধবার কাজ শেষ করে ফাইল কেবিনেটে রেখে যান। ওই ফাইলে ১৭টি নথি ছিল। পরদিন দুপুর ১২টার দিকে কাজ করতে গিয়ে দেখা যায়, ফাইলগুলো কেবিনেটে নেই।

রোববার (৩১ অক্টোবর) সিআইডি ফরেনসিক বিভাগ এবং শাহবাগ থানা পুলিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তদন্ত শুরু করে। পরে ওই শাখার কর্মী বেল্লাল পলাশ, আব্দুল বারী, আয়েশা সিদ্দিকা, যোশেফ সরদার, বাদল ও মিন্টুকে সিআইডি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।

সোমবার (১ নভেম্বর) রাতে ঢাকা থেকে সিআইডির একটি দল রাজশাহী গিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ঠিকাদার নাসিমুল গনি টোটনকে ঢাকায় নিয়ে আসে। তাকেও সিআইডি কার্যালয়ে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জনসংযোগ) আজাদ রহমান। পরবর্তীতে মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) আরও তিন কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিআইডি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/একেএম

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন