November 27, 2017 | 4:55 am
সারাবাংলা ডেস্ক
আসন্ন বড় অগ্ন্যুৎপাতের আশংকায় আরও বেশি এলাকা খালি করা হচ্ছে, বেড়েছে আতংকও।
ইন্দোনেশিয়ার সরকার বালি দ্বীপের সতর্কতা বাড়িয়ে সর্বোচ্চ করেছে। দেশের সতর্কতাও বাড়ানো হয়েছে।
বালির এয়ারপোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যদিও পর্যটন এলাকায় অনেক অসহায় পর্যটক এখনও ফিরতে পারেননি।
আগুং পর্বতের সর্বোচ্চ চূড়ার উপর থেকে ৩ হাজার ৪শ মিটার ( ১১ হাজার ১৫০ ফুট) উপর পর্যন্ত কালো ধোঁয়ার মেঘ দেখা যাচ্ছে।
ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ বলছে পর্বতের সর্বোচ্চ চূড়া থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে বিস্ফোরণ হবে।
বালির দুটি মূল রিসোর্ট কুটা ও সেমিনায়েক এই আগ্নেয়গিরির ৭০ কিলোমিটার এলাকায় অবস্থিত।
রবিবার স্থানীয় সময় ভোর ছয়টায় সতর্ক অবস্থা চারে উন্নীত করা হয়। ধারণা করা হয় এবারের অগ্ন্যুৎপাত অনেক বিশাল হবে।
সোমবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানায়, আগ্নেয়গিরি থেকে ক্রমাগত ছাই উগরচ্ছে, মাঝেমধ্যে আগুন বিস্ফোরিত হচ্ছে। ক্ষীণ বিস্ফোরণের শব্দও শোনা যাচ্ছে।
সংস্থাটি তাদের ফেইসবুকে পেইজে ইন্দোনেশিয়ার ভাষায় লিখেছে, “রাতের দিকে আগুণের আলো দেখা যায়, এটা নিঃসন্দেহে একটি বড় অগ্ন্যুৎপাতের ইশারা।”
কর্তৃপক্ষ স্থানীয় জনগণের মধ্যে নাক মুখ ঢাকার মুখোশ বিতরণ করছে। আগ্নেয়গিরির ১০ কিলোমিটার ব্যাসার্ধের মধ্যের লোকেদের সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত সপ্তাহে বালির আগুং পর্বতে ঘন ধোয়া বের হচ্ছে। ৫০ বছরের মধ্যে প্রথম এটি জেগে উঠেছে। তারপর থেকে সেটি গুরগুর শব্দ করে আতংক জাগিয়েই রেখেছে।