বিজ্ঞাপন

১৯% মানুষ দৃষ্টির ত্রুটিজনিত সমস্যায় আক্রান্ত, বিশ্বে হার ৩০%

December 10, 2021 | 3:12 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জন মানুষের মধ্যে ১৯ জনই দৃষ্টির ত্রুটিজনিত সমস্যায় ভুগছেন। বিশ্বব্যাপী এই হার ১০০ জনে ৩০ জন। সে হিসাবে দৃষ্টির ত্রুটিজনিত সমস্যায় বাংলাদেশের অবস্থান ভালো।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া গত ২০ বছরে ৩০ বছরের বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্ধত্বের হার কমেছে ৩৫ শতাংশ। দেশে বর্তমানে অন্ধত্বের প্রধান কারণ চিকিৎসার অভাবে চোখে ছানি পড়া। এছাড়া ডায়াবেটিসজনিত রেটিনোপ্যাথি, গ্লুকোমা ও বার্ধক্যজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন অন্ধত্বের প্রধান কারণ।

বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে দেশব্যাপী অন্ধত্ব জরিপ-২০২০ এর ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।

২০০০ সাল থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশের ৬৪টি জেলায় এ জরিপ পরিচালনা করে সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ, বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে পরিচালনা করা এই জরিপে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৬০টি ক্লাস্টার থেকে। জরিপে অংশ নিয়েছেন ১৮ হাজার ৮১০ জন।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে জরিপের তথ্য তুলে ধরে সিআইপিআরবি’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. এ কে এম ফজলুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ১৯ জন দৃষ্টি ত্রুটিজনিত সমস্যায় ভুগছেন। বিশ্বব্যাপী এই সংখ্যা প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৩০ জন। এরই মধ্যে বাংলাদেশ অন্ধত্ব নিবারণের লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছে। এমনকি প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান ভালো।

জরিপের ফলে জানানো হয়, পঞ্চাশোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্ধত্বের হার ভারতে ১ দশমিক ৭৫ শতাংশ (২০১৫-২০১৯), নেপালে ২ দশমিক ৫ শতাংশ (২০১২)। অন্যদিকে আমাদের দেশে এই হার ১ দশমিক ৫ শতাংশ (২০২০)। অন্যদিকে ত্রিশোর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর মধ্যে যেখানে পাকিস্তানে অন্ধত্বের হার ২ দশমিক ৭ শতাংশ (২০০২), সেখানে বাংলাদেশে এই হার শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বিগত ২০ বছরে বাংলাদেশে অন্ধত্বের হার শতকরা ৩৫ ভাগ কমেছে। চিকিৎসাবিহীন ছানি ছিল অন্ধত্বের প্রধান কারণ (৭১ শতাংশ)। এছাড়াও অন্যান্য প্রধান কারণগুলোর মধ্যে ডায়াবেটিসজনিত রেটিনোপ্যাথি, গ্লুকোমা ও বার্ধক্যজনিত ম্যাকুলার ডিজেনারেশন ইত্যাদি অন্যতম।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৯৯৯-২০০০ সালে পরিচালিত জরিপের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে ছানিজনিত অন্ধ ব্যক্তির সংখ্যা ছিল ৬ লাখ ৫০ হাজার জন, যা ২০২০ সালে উল্লেখযোগ্য হারে কমে হয়েছে ৫ লাখ ৩৪ হাজার জন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, যেসব ডাক্তার চোখের সেবা দিয়ে থাকেন, তারা এখানে উপস্থিত আছেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বড় ডাক্তার তারা। আমাদের সার্ভেটা খুবই প্রয়োজন। এর মাধ্যমে আমরা জানতে পারি কতগুলো লোক এখানে অন্ধত্ববরণ করেছেন। আমরা জানতে পারলাম, বাংলাদেশের সাড়ে ৭ লাখ অন্ধ আছেন। আরও জানতে পারি, কীভাবে তাদের অন্ধত্ববরণ করতে হয়েছে। আমরা কারণটা জানলে সেটি রোধ করার ব্যবস্থা সম্পর্কেও জানতে পারব।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. গোলাম মোস্তাফা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শরফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নুরুল হক, এশিয়া প্যাসিফিক একাডেমি অব অপথ্যালমোলজির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আভা হোসেনসহ অন্যরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন