বিজ্ঞাপন

সব দেশেই জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে: প্রধানমন্ত্রী

March 7, 2022 | 3:59 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমানে দ্রব্যমূল্য নিয়ে একটা কথা এসেছে। এটা তো শুধু বাংলাদেশ না। করোনা ভাইরাসের কারণে সারাবিশ্বের অর্থনীতি মন্দা। যে কারণে আজকে পৃথিবীর সব দেশে, সেই সূদুর আমেরিকা থেকে শুরু করে সব দেশেই জিনিসপত্রের দাম ভীষণভাবে বেড়ে গেছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৭ মার্চ) দুপুরে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ইউক্রেন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেইসঙ্গে এখন বিশেষ করে একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ইউক্রেন এবং রাশিয়া। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছে, সেটা নিয়েও একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সারাবিশ্বে। যার কুফলটা আসছে এখন। আমরাও তার কুফল ভোগ করছি।

তিনি বলেন, আমাদের এখানে হয়ত কিছু জিনিসের দাম বাড়ছে। আর আন্তর্জাতিক বাজারে যখন বেড়ে যায়, তখন তার একটা প্রভাব পড়ে। তাছাড়া কিছু লোক তো এখানে আছেই, একটু ব্যবসা করে তারা কিছু পয়সা কামাই করতে চায়। সেখানে মনিটরিং করার ব্যবস্থা আমরা করছি।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এখন আর বাঙালিকে হাত পাততে হয় না। এটা হল বাস্তবতা। আমরা নিজেরা পারি। এটাই হচ্ছে আমাদের একমাত্র অর্জন। যে অর্থনৈতিক মুক্তির কথা জাতির জনক বলে গিয়েছিলেন অন্তত কিছুটা হলেও আমরা তা অর্জন করে আজকে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। যে বাংলাদেশের কথা শুনলে লোকে নাক ছিটকাত। বাংলাদেশ মানে তো গরিব, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, দুর্ভিক্ষ ইত্যাদি কথা শুনতে হতো। আজকে যেমন প্রাকৃতিক দুযোগ মোকাবেলায় আমরা পারদর্শী যেকোন আপদ আসলে সেটা মোকাবেলা করতে পারি এবং করোনার সময় সেটা আমরা প্রমাণ করেছি বলে মনে করেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এইজন্য দেশবাসীকেও বলছি, আমার দলকেও বলব, খাদ্য যেন কখনো আমাদের অভাব না হয়। তাই এক ইঞ্চি জমি যেন অনাবাদী না থাকে। যে যা পারবে কিছু উৎপাদন করবে, নিজের চাহিদাটা নিজে পূরণ করতে চেষ্টা করবে। নিজের খাদ্যটা নিজে যোগান দিতে চেষ্টা করবে। যদি আমরা এটা করতে পারি তাহলে আমাদের কারো মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, আর যাই হোক আমাদের মাথাপিছু আয় তো বৃদ্ধি পেয়েছে। বিএনপির আমলে কতই বা ছিল? কিন্তু আজকে আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি করে নিয়ে আসছি ২ হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলার। অর্থ্যাৎ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পরে আমরা পুষ্টির ব্যবস্থা করেছি। বিনা পয়সায় চিকিৎসা, বই বিতরণ, সবধরনের ব্যবস্থা আমরা করে যাচ্ছি। আজকে হতদরিদ্র কর্মহীনদের ঘর দিয়ে যাচ্ছি। ১৯৯৬ সাল থেকে শুরু করেছিলাম, জাতির পিতা গুচ্ছগ্রাম করেছিল। আজকে প্রায় ১০ লাখের মতো মানুষ হবে ইতোমধ্যেই ঘর দিতে সক্ষম হয়েছি। এই ধরনের গৃহহীন হয়ত আর এক লাখ বা দেড় লাখ বা পৌঁনে দুই লাখ ঘর করে দিলে একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না বাংলাদেশে।

তিনি বলেন, এখানেই আমাদের সাফল্য। মাত্র ১৩ বছর, এই ১৩ বছরের মধ্যে একটা আমূল পরিবর্তন আমরা সমাজে আনতে পেরেছি। এই ১৩ বছরের মধ্যে এখন আর পুরনো কাপড় বিদেশ থেকে এনে পড়াতে হয় না। এখন আমাদের দেশের মানুষ নিজেরাই সেটা তৈরি করতে পারে এবং পরতেও পারে। অন্তত মানুষের এই জীবনমানটা আমরা উন্নত করতে পেরেছি।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীরবিক্রম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি ও হুমায়ুন কবির। সভার শুরুতে সূচনা বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গণভবন প্রান্তে সভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/এএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন