বিজ্ঞাপন

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের অর্ন্তভুক্ত করার তাগিদ

April 2, 2022 | 10:02 pm

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সামাজিকীকরণের আওতায় এনে তাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এ ধরনের শিশুদের প্রশিক্ষণ ও পরিচর্চার মাধ্যমে সক্ষমতা বৃদ্ধি করে তাদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে।

শনিবার (২ এপ্রিল) দুপুরে কমিউনিকেশন ডিসঅর্ডারস বিভাগের ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২২ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের চেয়ারপার্সন তাওহিদা জাহান।

এর আগে, কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস-২০২২ উপলক্ষে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে এক বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের করা হয়।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগ নিয়মিতভাবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করে যাচ্ছে। উদারতা, সহানুভূতিশীলতা ও মানবিকতা নিয়ে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের পাশে দাঁড়াতে হবে।

এ সময় তিনি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারলে তারা দেশ ও সমাজের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগের চেয়ারপারসন তাওহীদা জাহান বলেন, বাচন ও ভাষা থেরাপি বাংলাদেশে একাডেমিয়াতে একটি নতুন জ্ঞানক্ষেত্র। সে হিসেবে এর পঠন-পাঠন ও গবেষণার সঙ্গে এদেশের গবেষক ও শিক্ষার্থীরা তেমনভাবে পরিচিতি নয়। ফলে গত সাত বছরে এই বিভাগটি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে বাংলাদেশের চিরায়ত জ্ঞান কাঠামোর ঐতিহ্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এর অভিযাত্রাকে সমুন্নত রাখতে। সেই সঙ্গে এদেশের বাচন ভাষাবৈকল্যে আক্রান্ত বিভিন্ন বয়সের মানুষকে প্রায়োগিক থেরাপি প্রদানের জন্য উন্নততর কৌশল উদ্ভাবনেরও প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। যাতে তাদেরকে সমাজের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা যায়।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, যাদের ভাষিক যোগাযোগে সীমাবদ্ধতা আছে, তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হলে তারা দেশের মূলধারায় উন্নয়নের অংশীদার হিসেবে ভূমিকা রাখতে পারবে। একটি প্রতিবন্ধীবান্ধব বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রয়াসে ভাষা ও বাচন সমস্যায় আক্রান্ত মানুষদের প্রতি ইতিবাচক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরিতে কমিউনিকেশন ডিসঅর্ডারস বিভাগ বদ্ধপরিকর।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান, কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডার্স বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. হাকিম আরিফ, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ, জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ, হাসপাতালের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সরদার এ নাঈমসহ অনেকে।

সারাবাংলা/আরআইআর/একেএম

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন