বিজ্ঞাপন

লঞ্চ ভ্রমণে লাগবে জন্মসনদ কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্র

April 10, 2022 | 4:15 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: লঞ্চ ভ্রমণে শতভাগ যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে জন্মসনদ কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। আসন্ন ঈদ যাত্রায় এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১০ এপ্রিল) মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানান। নৌ পরিবহন সচিব বিভিন্ন লঞ্চের মালিক, মালিক সমিতির সভাপতি ও শ্রমিক সমিতির প্রতিনিধিরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সবাই সমন্বয় করে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা শতভাগ চেষ্টা করব। আমরা যেমন যাত্রী পরিবহনের প্রস্তুতি নিচ্ছি, তেমন যাত্রীদের কাছেও আমাদের আবেদন তারাও যেন নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করেন। গণমাধ্যমও নির্দেশনাগুলো যেন প্রচার করে। অপরিকল্পিতভাবে তারা যেন ঈদযাত্রা না করে সেটা আমাদের অনুরোধ থাকবে যাত্রীদের প্রতি।’

খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘কেবিনে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন থেকে লঞ্চযাত্রীদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও জন্ম নিবন্ধন সনদ দেখাতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

‘যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাদের জন্ম সনদের ফটোকপি সঙ্গে রাখতে হবে। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ও জন্ম নিবন্ধন সনদ লিপিবদ্ধ করে রাখবেন।’

যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্তব্য্য করে তিনি বলেন, ‘এ ছাড়া সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় চলাচলকারী লঞ্চগুলোতে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে যাত্রী কারা তা জানা যায় না। তাই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘কেবিনে হোক বা ডেকেই হোক লঞ্চে উঠতে গেলে পরিচয়পত্রে কপি সরবরাহ করতে হবে। তা ছাড়া টিকিট দেওয়া সম্ভব হবে না। যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে লঞ্চের কেবিনে কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেগুলো তদন্ত করার ক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিপদে পড়ে যায়। আমরা নিশ্চিত হতে চাই কোন যাত্রী কোন লঞ্চে পারাপার হচ্ছে।’

বিজ্ঞাপন

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমাদের নির্ধারিত যে ভাড়া সেটাই নিতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে কম ভাড়া নিয়ে অতিরিক্ত লঞ্চে তুলে ফেলে, তাতে লঞ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ থেকে জানানো হয়েছে, ২৭ তারিখ থেকে তারা পর্যায়ক্রমে ছুটির ব্যবস্থা করবে। যাতে রাস্তা এবং নৌপথে অতিরিক্ত চাপ তৈরি না হয়।’

পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি চলাচলে বিধিনিষেধ এবং অনেক ফেরি প্রত্যাহার করা হয়েছে জানিয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে সংকটে পড়েছি আমাদের গর্বের পদ্মা সেতু নিয়ে। এরইমধ্যে  কয়েকটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। এখন শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাট রুটে ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাত্র ৬টি ফেরি সেখানে চলছে। পদ্মা বহুমুখী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমরা চেষ্টা করবো এটা ২৪ ঘণ্টা করা যায় কিনা।’

স্পিড বোট রাতে আর দিনে বালুবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদযাত্রায় ২৭ তারিখ থেকে তারা পর্যায়ক্রমে ছুটির ব্যবস্থা করবে। যেন রাস্তা এবং নৌপথে অতিরিক্ত চাপ তৈরি না হয়।’

তিনি বলেন, ‘লঞ্চ মালিকরা তাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা ব্যবহার করবেন। ত্রুটি-বিচ্যুতি সারিয়ে নিয়ে লঞ্চগুলো ঈদযাত্রায় যুক্ত করার জন্য চেষ্টা করছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার কারণে পদ্মা সেতুর নিচ দিয়ে ফেরি চলাচলে বিধি-নিষেধ আছে। সেই কারণে আমরা অনেক ফেরি প্রত্যাহার করে নিয়েছি। এখন শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাট রুটে ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মাত্র ৬টি ফেরি সেখানে চলছে। পদ্মা বহুমুখী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে আমরা চেষ্টা করব এটি যেন ২৪ ঘণ্টা চলাচল করতে পারে। মাঝিকান্দিতে একটি মাত্র ঘাট। আমরা নির্দেশনা দিয়েছি, আগামী ৪ দিনের মধ্যে সেখানে নতুন আরেকটি ঘাট তৈরি হবে। এই রুটে আমাদের ৮৩টি লঞ্চ আছে। সেগুলো যেন ধারাবাহিকভাবে ২৪ ঘণ্টা চলে আমরা সেই ব্যবস্থা নিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

মাওয়া ঘাটে এখন ছয়টি ফেরি চলাচল করছে জানিয়ে খালিদ মাহমুদ বলেন, ‘যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে ফেরির সংখ্যা কীভাবে বাড়ানো যায়, কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

সারাবাংলা/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন