বিজ্ঞাপন

মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ৬ এর নিচে

June 9, 2022 | 4:02 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সরকার মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরেছে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ। গেল কয়েক বছরের মধ্যে এবারই মূল্যস্ফীতির এই উচ্চ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। নতুন অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ধরে রাখাই সরকারের অন্যতম চ্যালেঞ্চ বলে অভিমত দিচ্ছিলেন অর্থনীতিবদরা। তবে সরকার মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ছয়ের কোঠায় ধরে রেখেছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনের সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য তুলে ধরেন। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।

বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের মূল কৌশল গহবে বিদ্যমান চাহিদার প্রবৃদ্ধি কমিয়ে সরবরাহ বাড়ানো। সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে অগ্রাধিকার দিয়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে প্রণোদনা কার্যক্রমসহ খাতভিত্তিক বাজেট বরাদ্দ সুচিন্তিতভাবে নির্ধারণ করেছে।

তিনি বলেন, আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হবে মর্মে আশা করছি।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন-

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ছিল ৫ দশমিক ৩ শতাংশ। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরেও একই লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল সরকার। তবে করোনার মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের উপরে উঠে যায়। কিন্তু প্রসস্তাবিত বাজেটে সরকার মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য বাড়ালেও ৫ দশমিক ৬ শতাংশে ধরে রেখেছে।

এদিকে, দেশে গত কয়েক মাস ধরেই মূল্যস্ফীতি বেড়ে চলছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত টানা তিন মাস ধরে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের ওপরে ছিল। গত পাঁচ-ছয় বছরে এমন দেখা যায়নি। তবে ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রণীত বাজেটের শিরোনাম ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন’।

নতুন বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। এর আগে, ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটের আকার ছিল ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে তা ১০ হাজার ১৮১ কোটি টাকা কমে পাঁচ লাখ ৯৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকায় নেমে আসে। সে হিসাবে নতুন বাজেটের আকার সবশেষ বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বা ১২ দশমিক ৩২ শতাংশ বেশি। আর সংশোধিত বাজেটের চেয়ে এটি ৮৪ হাজার ৫৬৪ কোটি বা ১৪ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি।

আগামী অর্থবছরের জন্য বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে দুই লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। অন্যদিকে জিডিপি’র আকার প্রাক্কলন করা হয়েছে ৪৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫৯ কোটি টাকা। জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। অন্যদিকে আগামী অর্থছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ হবে বলে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন