বিজ্ঞাপন

এভারকেয়ারে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম সম্পন্ন

June 11, 2022 | 3:38 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: হৃদযন্ত্রে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বিএনপির চেয়ারপারসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম সম্পন্ন হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১১ জুন) দুপুর আড়াইটায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে তার এনজিওগ্রাম শুরু হয়। বিকেল ৩ টায় বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে ম্যাডামের এনজিওগ্রাম শেষ হয়েছে। উনি এখন ভালো আছেন।’

এর আগে বেগম খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এমন জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ম্যাডামের একুয়েট করোনারি হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে অতি দ্রুত তার হৃদযন্ত্রে এনজিওগ্রাম করার।’

‘একই সঙ্গে মেডিকেল বোর্ড ম্যাডামকে (বেগম খালেদা জিয়া) উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে পরিবারের সদস্যদের ব্যবস্থা নিতে বলেছেন’— জানান এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

বিজ্ঞাপন

এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১৮ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দিচ্ছে। বোর্ডে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোমিন-উজ জামান ও অধ্যাপক সামস মনোয়ার রয়েছেন।

শনিবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় মেডিকেল বোর্ডের প্রথম বৈঠক বসে। বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও যোগ দেন।

পরে মির্জা ফখরুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মুহূর্তে ম্যাডামের অবস্থা স্থিতিশীল। তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরে বিশেষ করে এনজিওগ্রাম করার পরে বোঝা যাবে, সমস্যা কতটা জটিল। এমনিতেই তো বিভিন্ন অসুখে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ একজন রোগী।’

বিজ্ঞাপন

৭৬ বছর বয়সী বিএনপি চেয়ারপারসন বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।

২০২১ সালের এপ্রিলে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এ নিয়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ দফায় ঢাকার বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হলো।

দুদকের করা দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যেতে হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্ত সাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে।

গত বছর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তার পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিস রোগ ধরা পড়ে। বেশ কিছু দিন হাসপাতালে থাকার পর বাসায় ফেরেন তিনি। শুক্রবার (১০ জুন) মধ্য রাতে খালেদা জিয়া হঠাৎ অসুস্থবোধ করলে ছোট ভাই শামীম এস্কান্দারের গাড়িতে তাকে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/একে

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন