বিজ্ঞাপন

‘বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা ৭ দশক জনগণের পাশে রয়েছেন’

August 30, 2022 | 8:09 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা সাত দশক জনগণের পাশে রয়েছেন। কাজেই বিএনপির আন্দোলনের হুমকিতে আওয়ামী লীগ ভীত নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) সকালে তিনি তার সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সরকার নাকি দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করছে, বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সরকার কেন নৈরাজ্য সৃষ্টি করবে। সরকার চায় জনগণের স্বস্তি ও স্থিতিশীলতা। প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই দেশে আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি নিজেরা নিজেদের মিছিলে মারামারি করছে, পুলিশের ওপর হামলা করছে, আর দোষ দিচ্ছে আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনকে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালেও মানুষকে শান্তি ও স্বস্তি দেয়নি, এখনও দিচ্ছে না। বিএনপির দুঃশাসনের ভয়াবহতা এখনও দেশ ও জাতি ভুলে যায়নি।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতা বিরোধী উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তিকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি আবারও দেশে নৈরাজ্য তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তাদের কথিত আন্দোলনে জনসমর্থন না থাকায় তারা সন্ত্রাস নির্ভর হয়ে পড়েছে।’ জনগণের সম্পদ এবং স্বস্তি নিশ্চিতে বিএনপিকে সন্ত্রাস, নৈরাজ্যের পথ পরিহারের আহ্বান জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

কথা দিয়ে কথা না রাখা বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র- এমন দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি যা বলে, করে তার বিপরীত। তারা নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ভোটাধিকার নিয়ে কথা বলে। অথচ এর সবকয়টি তাদের হাতে ভূ-লুণ্ঠিত হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপির দ্বিচারিতা দেশের জনগণের কাছে স্পষ্ট।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও জনমুখী রাজনীতি বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যতকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে বলে মনে করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘তাই বিএনপি অগণতান্ত্রিক পথে ক্ষমতা দখলের পায়তারা করছে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে স্পষ্ট করে বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি কাকে বলে তা অতীতে প্রমাণ করতে পারেনি। আমরা রাজনৈতিকভাবে সকল কর্মসূচি মোকাবিলা করব। কর্মসূচিতে সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকার কঠোরভাবে দমন করবে।’

বিজ্ঞাপন

বিএনপির আন্দোলন মানে সহিংসতা, জনগণের সম্পদে আগুন দেওয়া। তাই তাদের কোনো অপকর্ম আওয়ামী লীগ বিনা চ্যালেঞ্জে ছেড়ে দেবে না বলে হুঁশিয়ার করে দেন ওবায়দুল কাদের। জ্বালানি তেল কমানো প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘যারা এতদিন অন্ধ সমালোচনা করেছেন, এখন তাদের মুখ বন্ধ কেন?’

বিশ্ব পরিস্থিতি চাপে যখন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয় তখনও প্রধানমন্ত্রী সরকারের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে বলেছিলেন, ‘এই মূল্য বৃদ্ধি সাময়িক, সময় হলে দাম সমন্বয় করা হবে’- সেই কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার জনগণের দুঃখ-দুর্দশা বোঝেন বলেই তেলের দাম কমিয়ে নজির সৃষ্টি করেছে।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন