বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল পাকিস্তানের আজ্ঞাবহ মুখপাত্র: আমু

September 21, 2022 | 10:48 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পাকিস্তানেরই আজ্ঞাবহ একজন মুখপাত্র। তাদের কাছ থেকে পাকিস্তান প্রীতি নতুন কিছু নয়।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রয়াত সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী স্মরণে মহিলা আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হোসেন আমু বলেন, বিএনপির পাকিস্তান প্রীতি কোনো নতুন কথা নয়। তার কারণ বিএনপির জন্মই পাকিস্তানের প্রেতাত্মা হিসেবে। বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই পাকিস্তানের জন্য সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে এসেছে। জিয়াউর রহমানই সর্বপ্রথম এই দেশে যুদ্ধাপরাধীদের কলমের খোঁচা দিয়ে মুক্ত করে দিয়েছেন জেলখানা থেকে। খালেদা জিয়া তাদের সঙ্গে জোট গঠন করেছে, সরকার গঠন করেছে। সুতরাং মির্জা ফখরুল তাদেরই আজ্ঞাবহ একজন মুখপাত্র।

তিনি বলেন, মির্জা ফখরুলরা দীর্ঘদিন এই দল করে আসছেন। তারা জানেন বিএনপির ভোটার, বিএনপির সমর্থক, বিএনপির সবকিছুর প্রেতাত্মাই হচ্ছে পাকিস্তান। সুতরাং আজকে তাদের কাছ থেকে পাকিস্তানপ্রীতি আমাদের কাছে নতুন কিছু বা আশ্চর্যের নয়। বাংলার মানুষ এটা জানে। বাংলার মানুষ জানে বলেই তারা সবসময় প্রত্যাখ্যাত হয়। এই দেশের মুক্তিযোদ্ধারা আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। এদেশের গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল স্বাধীনতার সব শক্তি আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আছে বলেই তাদের গাত্রদাহ।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচন প্রসঙ্গে আমু বলেন, বিএনপির যে যা কথাই বলুক নিশ্চয়ই আমরা আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করবো। তারা পরাজিত হবে বলেই বিভিন্নভাবে রাজনৈতিক ধোঁয়া সৃষ্টি করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করছে। বিভিন্ন রকম কথা বলে আগামী নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করছে। এ ব্যাপারে আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে।

সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর রাজনৈতিক অবদান স্মরণ করে আমির হোসেন আমু বলেন, তিনি দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থতার কারণে বিভিন্ন সময়ে প্রশ্ন উঠেছে এই পদটা (সংসদ উপনেতা) এভাবে রাখা যায় না। সংসদের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ। তারপরও কিন্তু নেত্রী তাকেই আমৃত্যু এ পদে রেখেছেন। কারণ তিনি ত্যাগ-তিতীক্ষার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় বিভিন্নভাবে দিয়েছেন। যেভাবে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ছিলেন, তেমনি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ছিলেন। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য আজীবন কাজ করেছেন।

তিনি বলেন, সঠিক সময়ে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে। এজন্য মহিলা আওয়ামী লীগকে ধন্যবাদ জানাই।

বিজ্ঞাপন

মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে স্মরণ সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক। সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া (বীরবিক্রম), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি।

সারাবাংলা/এনআর/এনইউ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন