বিজ্ঞাপন

‘জলবায়ু কর্মকৌশল প্রণয়নে তরুণদের নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে হবে’

November 4, 2022 | 12:03 am

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে সারাবিশ্বে এক ভয়াবহ বাস্তবতা; বিশেষ করে বাংলাদেশের মতো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য। কিন্তু এই প্রতিকূলতা আমাদের উদ্ভাবনী টেকসই সমাধানগুলো খোঁজার এক বিশেষ দ্বার উন্মোচন করেছে। তাই এগিয়ে যাওয়ার সর্বোত্তম উপায় হলো- জলবায়ুর ন্যায়বিচার নিশ্চিতে দেশের তরুণদের যথাযথ নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ঢাকা ক্লাইমেট টক-২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘জলবায়ু ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে জলবায়ু সংকটের সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। এ গ্রহকে রক্ষায় এমনভাবে কাজ করতে হবে যাতে প্রক্রিয়াটি ন্যায্য, ন্যায়সঙ্গত হয়। এবং বিশ্বের প্রত্যেক তরুণ যাতে এগিয়ে আসে।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে আমরা বেশকিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের পাশাপাশি অপ্রত্যাশিত হারে ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাত্রা বেড়েই চলছে। এই সমস্যার সমাধান সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এসব দুর্যোগ দেশের দরিদ্রদের বেশিরভাগ প্রভাবিত করছে। এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে আমাদের কৃষি খাতে।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, “দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। তবে সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আমাদের তরুণ প্রজন্মের কাছে উল্লেখযোগ্য সৃজনশীল সমাধান রয়েছে। বিশেষ করে ভৌগলিক অবস্থান, ভাষা এবং তার এলাকায় বিদ্যমান জলবায়ু ঝুঁকির প্রকৃতি বিবেচনা করে তরুণরা প্রতিটি সম্প্রদায়ের জন্য একটি উপযুক্ত আবহাওয়ার পূর্বাভাস ব্যবস্থা উদ্ভাবন করতে পারে। এছাড়াও টেকসই প্রকৃতিভিত্তিক জলবায়ু সংকটের সমাধানের জন্য ‘সবুজ উদ্যোক্তা’ হিসেবে বাংলাদেশের পরিবেশ ও জনগোষ্ঠীর জীবনমানের ইতিবাচক পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিতে পারে।”

তিনি বলেন, ‘আরেকটি বড় সমস্যা হলো- দরিদ্র জনগোষ্ঠী। দুর্যোগ তাদের জীবনকে আরও ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রকৃতি-বান্ধব ব্যবসা এবং জীবনধারার জন্য উদ্যোগ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। যাতে ঝুঁকি মোকাবিলায় জনগণ নিজেদের প্রস্তুত করতে পারে। অভিযোজনের জন্য প্রাথমিক প্রয়োজন হলো- সঠিক লোকায়িত জ্ঞান ও বিজ্ঞানসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন। যেখানে তরুণরাই প্রধান ভূমিকায় থাকতে পারে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন